মঙ্গলবার রাতে সিন্ডিকেট সভায় ব্যবস্থাপনা বিভাগের এই সহকারী অধ্যাপককে
বরখাস্ত করা হয় বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ে রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এন্তাজুল হক।
২০১২ সালের অগাস্টে ব্যবস্থাপনা বিভাগের এক ক্লাসে ছাত্রীদের উদ্দেশ্য করে অশালীন মন্তব্য করায় তার বিরুদ্ধে সে সময়ের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীরা অভিযোগ আনেন।
ব্যবস্থাপনা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম বলেন, “শিক্ষার্থীদের অভিযোগ পাওয়ার পর আমরা একাডেমিকভাবে ওই শিক্ষককে ওই বর্ষের ক্লাস নেয়া থেকে বিরত রাখার সিদ্ধান্ত নিই। ”
বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য ও বাণিজ্য অনুষদের ডিন অধ্যাপক আমজাদ হোসেন বলেন, “উচ্চ আদালতের নির্দেশে কর্তৃপক্ষ শাওন উদ্দিনের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করে। ”
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন-নিপীড়ণ বিরোধী সেল পৃথকভাবে আরও একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে।
ওই কমিটির সুপারিশে মঙ্গলবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৫০তম সিন্ডিকেট বৈঠকে শাওনকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হয়।
রাবি যৌন নিপীড়ন বিরোধী সেলের প্রধান অধ্যাপক তানজিমা ইয়াসমীন জানান, সেলের সুপারিশে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী যৌন নিপীড়নের অপরাধে তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
২০১০ সালে এই বিভাগ থেকে পাস করে সেখানেই প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন শাওন।
সিন্ডিকেটের এ সিদ্ধান্তকে ‘অন্যায়’ দাবি করে চাকরিচ্যূত শাওন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ক্লাসে নিছক একজন বড় ভাই হিসেবে ছোট ভাইবোনদের নৈতিক শিক্ষা দেয়ার জন্য আমি ওই উদাহরণ ব্যবহার করেছিলাম। যার প্রেক্ষিতে বিভাগ থেকে শাস্তিও পেয়েছি।
”
গত দুই বছরে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অপর দুই শিক্ষক সাময়িকভাবে বরখাস্ত হন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।