আমাদের সময়ে একমাত্র টিভি চ্যানেল ছিল বিটিভি,
আমরা উন্নয়নের জোয়ারে ভাসতাম,
শান্ত শিষ্ট নিরুপদ্রব দেশের খবর তোতা পাখীর মুখে শুনতাম।
দ্য এ টিম , ম্যাকগাইভার, ছায়াছন্দ, পূর্ণদৈর্ঘ বাংলাছবি দেখতাম,
মুভি অফ দ্য উইক দেখতাম,
বিকাল ৫ টা থেকে রাত ১২ টা পর্যন্ত টিভি চালু থাকত ।
বাবা-চাচারা রাজনৈতিক খবর শুনতেন বিবিসি ভয়েস অফ অ্যামেরিকায়।
বিশ্বকাপ ফুটবল ক্রিকেট আজানের ও খবরের বিরতির ফাঁকে ফাঁকে দেখতাম।
আমরা সাদাকালো টিভি দেখতাম।
সার্ক শীর্ষ সম্মেলন আসলে হিন্দী, উর্দু ছবি দেখতাম।
ফেরদৌসী রহমানের গান শেখানোর অনুষ্ঠান "এসো গান শিখি" দেখতাম,
আর দুই হাত সামনে রাইখা জায়গায় দাঁড়াইয়া শরীরটারে ডাইনে বামে
ঘুরাইয়া অত্যন্ত মার্জিতভাবে প্রদর্শিত শিশুদের নাচ দেখতাম।
ফিতা ওয়ালা গানের ও সিনেমার ক্যাসেট ছিল,
ভি সি আর এ সিনেমার ক্যাসেট লাগাইলে টিভির পর্দায় চিকন মোটা দাগ পড়ত
মাঝেমধ্যে পর্দায় বিনা বাতাসে ঢেউ উঠত।
ফিতা ওয়ালা ক্যাসেটে গান শোনার সময় প্রায় সময় ফিতা স্টিলের
পিনের সাথেপ্যাচাইয়া যাইত।
আজম খান, ফেরদৌস ওয়াহিদ,সোলস, মাইকেল জ্যাকসন,মডার্ন টকিং শুনতাম,
এইসব ক্যাসেটে যদি হিব্রু ভাষায় মেহেদী হাসানের গজল বাইজা উঠত
তখন বুঝতাম ক্যাসেটের ফিতা উল্টাইয়া গেছে।
তবে আমাদের সময় আবুল মাল নামের কোন বুইড়া মাতাল ছিলনা,
কেউ চুরিডাকাতি করলে তার পক্ষে সাফাই গাইতনা,
আর গাইলেও পত্রিকা ওয়ালাদের কাছে বানাইয়া বানাইয়া জনগণ সম্পর্কে আপত্তিকর কথা কইতনা।
আর যদি এরকম অসভ্যতা বর্বরতা করত , আমরা কিন্তু তোমাদের মত তার
সামনে গিয়া - "আপনার প্রতিক্রিয়া কি? "বইলা মুখের সামনে বুমার ধরতামনা।
বরং আমরা সেই বুমারটারে মুখের ভিতর ঠাইসসা ধইরা ঢুকাইয়া দিতাম।
তারপর সোজা মীরপুর চিড়িয়া খানায়।
দূর বোকা দাঁত আসবে কোত্থেকে ?
তার দন্তহীন মুখের কথাই বলতেছি,
কষ্ট বলতে জাঙ্গিয়াসহ প্যান্টখানা খুলতে হইত আরকি।
—
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।