আগের তিন টেস্টের মতো মেলবোর্নেও একই পথে হাঁটছে ইংল্যান্ড। 'বঙ্ংি ডে' টেস্টে ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্সে কোনো পরিবর্তন আসেনি। তাই প্রথম দিনেই ব্যাটফুটে সফরকারীরা। ২২৬ রানেই শেষ ৬ উইকেট। স্বীকৃতি ব্যাটসম্যান বলতে এক কেভিন পিটারসেন।
এক পাশ আগলে রেখেছেন এই ইংলিশ তারকা। কিন্তু তাতে কি, আরেক পাশ থেকে ঠিকই একের পর এক উইকেট নিচ্ছেন অসি বোলাররা।
সম্মান রক্ষার ম্যাচেও ফ্যাকাসে ইংলিশদের ব্যাটিং। ভালো শুরুর পরও দিনের শেষটা ভালো করতে পারেননি ব্যাটসম্যানরা। প্রথম দুই সেশনে দাপট ছিল ইংলিশ ব্যাটসম্যানদেরই।
কিন্তু দিনের শেষ সেশনেই পিছিয়ে পড়ে কুকরা। শেষ বিকালে তিন উইকেট হারিয়ে পিছিয়ে পড়েছে ইংল্যান্ড।
ইংলিশদের ভরসা এখন কেভিন পিটারসেন। ৬৭ রান করে অপরাজিত রয়েছেন এই তারকা ব্যাটসম্যান। চার নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছেন।
মারকুটে পিটারসেন ১৫২ বলে খেলে করেছেন ৬৭ রান। এর মধ্যে চারটি বাউন্ডারি ছাড়াও একটি বিশাল ছক্কার মার রয়েছে।
পিটারসেন ছাড়া আর কোনো ইংলিশ ব্যাটসম্যানই স্বাগতিক বোলারদের ওপর চড়াও হতে পারেননি। তবে সবাই আউট হয়েছেন উইকেটে সেট হওয়ার পর। ওপেনার কারবারি আউট হয়েছেন ৩৮ রানে।
অধিনায়ক অ্যালিস্টার কুক করেছেন ২৭। জোনাথন ট্রটের তিন জায়গাটিতে যেন নিজেকে মানিয়ে নিতে পারছেন না জো রুট। এ ম্যাচেও তিনি ব্যর্থ। আউট হওয়ার আগে করেছেন ২৪ রান। এছাড়া ইয়ান বেল করেছেন ২৭।
আগের তিন ম্যাচের মতো এ ম্যাচেও সফল অসি বোলাররা। তিন ম্যাচে ২৩ উইকেট নেওয়া মিচেল জনসন কাল নিয়েছেন আরও দুই উইকেট। এছাড়া দুই উইকেট নিয়েছেন রায়ান হ্যারিস। ওয়াটসন ও সিডল একটি করে উইকেট শিকার করেছেন। সব মিলে মেলবোর্ন টেস্টের প্রথম দিনটা সাদামাটাই ছিল।
মাঠের ক্রিকেটে উত্তাপ না থাকলেও কাল নতুন এক রেকর্ড হয়েছে মেলবোর্ন ক্রিকেট মাঠে। তবে এই রেকর্ড ক্রিকেটাররা করেননি, করেছেন দর্শকরা। স্টেডিয়ামে দর্শক সমাগমের নতুন রের্কড গড়েছে এমসিজে। কাল ৯১ হাজার দর্শক খেলা দেখতে এসেছিলেন। এর আগে ১৯৬০-৬১ মৌসুমে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে টেস্টের দ্বিতীয় দিনে ৯০ হাজার ৮০০ দর্শক হয়েছিল।
কাল হয়েছে মোট ৯১ হাজার ৯২জন। টেস্ট ক্রিকেটের এই ঐতিহাসিক ভেন্যুটি সৃষ্টি করল নতুন এক ইতিহাস। ১৮৭৭ সালে এই মেলবোর্ন ক্রিকেট মাঠেই যাত্রা শুরু করেছিল টেস্ট ক্রিকেট।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।