বিটিআরসি চেয়ারম্যান সুনীল কান্তি বোস বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে এ তথ্য দিয়েছেন।
তিনি বলেন, “থ্রিজি সেবার মান নিশ্চিত ও মূল্যে নির্ধারণে বিটিআরসি কাজ শুরু করেছে। ”
এ সেবার মান নিশ্চিত করা এবং গ্রাহকদের জন্য সুবিধাজনক মূল্য নির্ধারণে একটি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
চেয়ারম্যান বলেন, “পরামর্শক নিয়োগের সব প্রস্তুতি শেষে তা অনুমোদনের জন্য ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। ”
“মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনে পরামর্শক নিয়োগ দেয়ার পর কম সময়ের মধ্যে থ্রিজি সেবার মান নিশ্চিত ও মূল্য নির্ধারণ করা হবে।
”
মোবাইল থ্রিজির ক্ষেত্রে নীতিমালায় বলা আছে, এই সেবায় ইন্টারনেটের যে গতি গ্রাহকদের দেয়া হবে তার কমপক্ষে ৭০ শতাংশ নিশ্চিত করতে হবে।
মূলত ইন্টারনেট গতির বিষয়টি নিশ্চিত করতেই এই উদ্যোগ বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন বিটিআরসির ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা।
তাছাড়া থ্রিজি সেবার গ্রাহকবান্ধব একটি মূল্য নির্ধারণে অপারেটরদের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠকও হয়েছে বলে জানান ওই কর্মকর্তা।
বর্তমানে অপারেটররা বিভিন্ন গতিতে থ্রিজি ইন্টারনেট সেবা দিয়ে আসছে। গ্রাহক সংখ্যার দিক থেকে দেশের সবচেয়ে বড় অপারেটর গ্রামীণফোন ৫১২ কেপিবিএস এবং এক এমপিবিএস গতির থ্রিজি সেবা দিচ্ছে।
এয়ারটেল ও বাংলালিংক এক এমপিবিএস, রবি এক থেকে তিন এমপিবিএস গতির থ্রিজি সেবা দিচ্ছে। আর রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিটক দিচ্ছে ২৫৬ কেপিবিএস থেকে সর্বোচ্চ ৪ এমপিবিএস থ্রিজি সেবা।
গত ৮ সেপ্টেম্বর নিলামের মাধ্যমে প্রতি মেগাহার্টজ ২ কোটি ১০ লাখ ডলার দরে চার বেসরকারি অপারেটর গ্রামীণফোন, বাংলালিংক, রবি ও এয়ারটেল থ্রিজি তরঙ্গ বরাদ্দ নেয়।
টেলিটক নিলামে অংশ না নিলেও সমপরিমান টাকা দিয়ে লাইসেন্স নেয়ার শর্তে থ্রিজি সেবা দিচ্ছে।
বর্তমানে এ পাঁচ অপারেটর ঢাকাসহ বিভিন্ন বিভাগীয় ও জেলা শহরে থ্রিজি সেবা সম্প্রসারিত করছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।