আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ক্ষমতা ব্যবহার করে সম্পদ অর্জনই লক্ষ্য

রাজনৈতিক আদর্শ বলতে কিছু নেই কারোর মধ্যে। শুধু ক্ষমতা ব্যবহার করে সম্পদ উপার্জন করাই সবার প্রয়াস। ক্ষমতায় এলে তারা এককথা বলেন, বিরোধী দলে গেলে আরেক কথা বলেন। এমন কোনো দৃষ্টান্ত নেই যে নীতির ভিত্তিতে তারা লড়াই করবেন। এখন যেসব লড়াই হচ্ছে তা মূলত ক্ষমতা গ্রহণের সংগ্রাম।

গত বৃহস্পতিবার বেসরকারি স্যাটেলাইট চ্যানেল এসএ টিভির লেট এডিশনে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. আকবর আলি খান এসব কথা বলেন।

ড. আকবর আলি বলেন, আদর্শের প্রতি কোনো দলের আনুগত্য নেই। দলের স্বার্থে, ব্যক্তির স্বার্থে এবং কর্মীদের স্বার্থে প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হয়। ফলে প্রতিবারই দেখা যায়, যারা ক্ষমতায় আসে তারা ক্ষমতাকে ব্যবহার করে কীভাবে সম্পদশালী হবে সেই বিষয়ে উৎসাহী থাকেন। সামগ্রিকভাবে দেশের জন্য কী হচ্ছে , মানুষের জন্য কী হচ্ছে সেটা নিয়ে তাদের চিন্তা থাকে না।

তিনি বলেন, ৩০০ আসনের মধ্যে ১৫৪ আসনে প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন। বাকি আসনে প্রার্থীদের যোগ্যতা যাচাই করার বা প্রার্থীদের জনপ্রিয়তা যাচাই করার কোনো সুযোগ প্রার্থীদের থাকছে না। ভোটারদের মতপ্রকাশের কোনো সুযোগ নেই। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক এই উপদেষ্টা আরও বলেন, আমাদের সংবিধানে কিছু দুর্বলতা রয়েছে। সেগুলো ভালো করে দেখা দরকার।

এখন সব ক্ষমতা প্রধানমন্ত্রীর অফিসে কেন্দ্রীভূত। রাষ্ট্রপতির কোনো ক্ষমতা নেই। সংবিধানে অনেক দুর্বলতা থাকায় এ সুযোগ তৈরি হয়েছে। যখন রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার থেকে প্রধানমন্ত্রী শাসিত সরকারে রূপান্তরিত হলো তখন প্রধানমন্ত্রী এমনভাবে নিশ্চিত করেন যে, আমাদের কোথাও ভারসাম্য নেই। ভারসাম্য না থাকার ফলে একবার রাষ্ট্রব্যবস্থা কুক্ষিগত হয়েছে এই কারণে বারবার সমস্যা তৈরি হচ্ছে।

ড. আকবর আলি খান আরও বলেন, সংবিধান অনুসারে ৫ বছর পর নির্বাচন হতে হবে। আর নির্বাচন হলে শতকরা ৯০ ভাগ আসনে নির্বাচন হতে হবে। কিন্তু এর মাধ্যমে সাময়িক সমস্যার সমাধান হতে পারে। তবে আমাদের রাষ্ট্র কাঠামোর ওপর যে মৌল সমস্যা রয়েছে তার সমাধান হবে না। যেমন আমাদের রাষ্ট্রপতির কোনো ক্ষমতা নেই।

প্রধানমন্ত্রীর অতিরিক্ত ক্ষমতা। আর সংসদ সদস্যদের যে ক্ষমতা তা একদিকে কমানো হয়েছে, অন্যদিকে আবার স্থানীয় সরকারের ওপরে তাদের ক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে। তবে নির্বাহী বিভাগের সঙ্গে বিচার বিভাগ সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের টানাপড়েন রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকারে যুগ্ম সচিবের সংখ্যা এক হাজারেরও বেশি। তার মধ্যে দুই-তিনশ পদ নেই।

এ সংখ্যাটা ওএসডি হয়ে আছে। কিছু কিছু ভালো জায়গায় পদায়ন পেতে তদবির করে। এটা সংবিধানের স্পষ্ট লঙ্ঘন। সরকারের উচিত স্পষ্ট একটি আমলাতন্ত্র গঠন করে দেওয়া।

 

 



অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.