আগুন্তক
গত কিছুদিনের অভিজ্ঞতায় ফেসবুক এবং ব্লগে আমার অনেক ধরণের লোকের সাথে তর্ক বিতর্ক হয়েছে। তাতে একটা মজার ব্যাপার লক্ষ্য করলাম। যারাই সরকারের অপকর্ম সমর্থন করছে তাদের যুক্তিগুলো মোটামুটি একিই ধরনের পদ্ধতি ফলো করে। যেমনঃ
১। প্রথমেই আসে মুক্তিযুদ্ধ চেতনা এবং যুদ্ধপরাধির বিচার নিয়ে।
তারা বলতে চায় আওয়ামীলীগ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি এবং যুদ্ধপরাধিদের বিচারের জন্য তাদের আবার ক্ষমতায় আসা দরকার। --- মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি বিপক্ষের শক্তি ব্যাপারটা কি জিনিস? বিএনপি এর সাথে এখন জামাত আছে বলে বিএনপি মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তি হয়ে গেল? তাহলে আওয়ামীলীগ ১৯৯৫ এ জামাতের সাথে থেকে মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে ছিল? আর এখন পক্ষে, তাইনা? এইসব রাজনৈতিক ভণ্ডামি দ্বারা কিভাবে প্রভাবিত হন আপনি? আওয়ামীলীগ তার স্বার্থে একবার মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে (জামাতের বিপক্ষে) আরেকবার বিপক্ষে (জামাতের সাথে) থাকে। তাই মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ বিপক্ষ রাজনীতিতে এপ্লাই করলে হবে না। আওয়ামীলীগ মুক্তিযুদ্ধ চেতনা নিয়ে ব্যবসা করে তার স্বার্থ অনুযায়ী। তারা নিজদলে রাজাকার রেখে যুদ্ধপরাধির বিচারের কথা বলে জনগণকে ধোঁকা দেয়।
তারা যুদ্ধপরাধির বিচারের কথা বলেছে কিন্তু করছে মানবতা বিরোধী অপরাধের বিচার। দুইটা এক বিষয় নয়।
যখন একটা সময়ে কোন স্থানে ঘটা কোন ঘটনার বিচার করা হয় তখন সেই স্থানে সেই ঘটনার সাথে যারা জড়িত তাদের সবাইকেই বিচারের আওতায় আনতে হয়। এটাই আইন। সেটা না করা হলে আইন আর আইন থাকে না, বিচার একচোখা হয়ে যায়।
ঠিক এটাই হয়েছে এখানে। সরকার সব রাজাকারদের না ধরে শুধু বিরোধীদলের গুলো কে ধরে প্রথমেই এটা যে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বিচার সেটা দেখিয়ে দিয়েছে। এর পর বিচার নিয়ে লুকোছাপা, সাক্ষী গুম, সরকারের হস্তক্ষেপ, ভুয়া সাক্ষী ইত্যাদি ইত্যাদি করার ফলে দেশের একটা বিশাল অংশকে এই বিচারের ব্যাপারে সন্দিহান করে তুলেছে। অত্যন্ত বড় কিছু অন্যায় এর সাথে যুদ্ধপরাধ এর বিচারকে এক করার মাধ্যমে আওয়ামী লিগ দেশে একটা বড় গ্রুপ তৈরী করছে যারা এখন বিশ্বাস করছে যে, এই বিচার নিরপেক্ষ নয় এবং ভুয়া। এরা আজকে জামাত এর সাথে সিম্পেথায়জ করা শুরু করছে|জামাত কে আওয়ামি লিগ অপরাধী থেকে ভিকটিমে পরিনত করছে |এসব অকাট্য সত্য।
আপনি চোখ বন্ধ করে এড়িয়ে গেলে লাভ হবে না। যার ফলে দেশে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। সরকার যদি বিচারটিকে স্বচ্ছ রাখতো, রাজনীতি না খেলত এবং সব অপরাধীকে ধরে বিচার কাজ সরাসরি সম্প্রচারের ব্যবস্থা করত তাহলে কোন সন্দেহ অবিশ্বাস বাঁধা কিছুই আসতে পারত না। কেউ কোন সন্দেহ ষড়যন্ত্র করার চান্স পেত না। সরকার মুক্তিযুদ্ধ চেতনা নিয়ে রাজনীতি করতে যেয়ে মুক্তিযুদ্ধ চেতনা আর ধর্মকে মুখোমুখি দার করিয়ে দিয়েছে।
দেশের সবাইকে ২ ভাগে বিভক্ত করে ফেলেছে। আপনি সেটা সমর্থন করছেন? সরকার অন্যায় ভাবে মুক্তিযুদ্ধ চেতনাকে ব্যবহার করে বিরোধী দল দমনে লিপ্ত হওয়ায় তারা নিজের অস্তিত্ব বাচাতে ধর্ম কে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে। ২০০৯ সালের পূর্বে বাংলাদেশ এইভাবে বিভক্ত ছিল না। মানুষে মানুষে এই রকম বিদ্বেষ ছিল না। আজ বাংলাদেশের মানুষ বিভক্ত।
পুরো জাতি আজ বিভক্তির জাতা কলে পড়ে দেশের বারোটা বেজে গেছে। একটি দল ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করার লক্ষে মানুষকে যা তা বুঝিয়ে একই জাতির ভিতর বিভক্তি তৈরি করেছে। ধর্মীয় শৃঙ্খলা বিনষ্ট করছে। মুখে মুক্তি যুদ্ধের বুলি আওড়িয়ে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা লুটপাট করে নিয়েছে। মিডিয়া এবং কিছু লোকদের তাদের লুটপাটকৃত অর্থ দিয়ে তাদেরকে দিয়ে মুখে মুক্তি যুদ্ধ ও চেতনার প্রচার ও প্রসার করে যাচ্ছে।
যার প্রমাণ গণজাগরণ মঞ্চ এবং বর্তমান মিডিয়া । আদতে এই সব চেতনার প্রচার কারীরা হল, টেন্ডার বাজ, চাঁদাবাজ, নিরীহ মানুষের সম্পদ লুন্ঠনকারী, রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুন্ঠনকারী, দূর্নীতিবাজ, যারা গত 5 বছরে অনেক ব্যাংক, বীমা, মিডিয়া পেয়েছে, আর সবি জনগণ গত 5 বছরে দেখেছে। দেশটাকে এক প্রকার ধ্বংস করে দিয়েছে
হিটলার ক্ষমতায় আসার আগেও জার্মানি অত্যন্ত শিল্প সংস্কৃতি মনা ইউরোপিয়ান উচ্চ মন মানসিকতার জাতি ছিল। কিন্তু ভেবে দেখেন এই অল্প সময়ের ভেতর হিটলার এমন একটা পরিস্থিতি তৈরি করতে পেরেছিল যে ৬ লক্ষ ইহুদী মেরে ফেলছে - কোন "সুশীল" তেমন টু শব্দ করে নাই। কেন জানেন , প্রোপাগান্ডা নামে একটা কথা আছে।
পলিটিসিয়ান রা এইটা ব্যবহার করে তাঁর নিজের স্বার্থ উদ্ধার করার নিমিত্তে মানুষের মধ্যে একটা সত্য কিংবা মিথ্যা জু জু সৃষ্টি করার জন্য। এই জন্য তারা নানা সময় নানা জিনিস দিয়ে আপনার আবেগ তৈরি করবে - ধর্ম দিয়ে (বাংলাদেশ পাকিস্তান) , জাতীয়তা বাদ দিয়ে ( জার্মানিকে বিশুদ্ধ রক্ত করার জন্য হিটলারের ইহুদী নিধন), সন্ত্রাসের ভয় দেখিয়ে (আমেরিকার ইরাকের তেল ক্ষেত্র দখল, ফ্রান্সের লিবিয়ার পানি সম্পদের উপর একাধিপত্য প্রতিষ্ঠা ) ঠিক এই কারনে প্রোপাগান্ডা ভীতি কাজ করে। প্রোপাগান্ডা এমন এক জিনিস যা দিয়ে সত্যকে মিথ্যা , মিথ্যাকে সত্য বানানো সম্ভব। এইটা শুধু আধুনিক সমাজের না - সুপ্রাচীন Trend. পলিটিক্স এর সবচেয় নোংরা ব্যপার হল " ক্ষমতায় যাওয়া " - কেন বলছি দেখেন। ক্ষমতার জন্য হেন কোন কর্ম নাই আপনি করবেন না।
এই যে এত গুলা সাধারন মানুষ মরে প্রতিদিন - কেন? দুই রাজপরিবারের কে আপনাকে শাসন করবে সেটা নির্ধারণ করার জন্য। এই ক্ষমতার জন্য দেখবেন একজন শেখ মুজিবের চেয়ে বেশি আওয়ামী লীগ হয়ে গেছে - জিয়ার চেয়ে জিয়ার আদর্শ সে ধারন করে। একজন কে ঝুলিয়ে দিয়ে যদি বলা যায় যে, " একটা ঝুলাইসি - বাকি গুলোকে ঝুলতে দেখতে চাইলে এক্ষুনি ভোট করুন ...... প্রতিকে। অনেকটা এই রকম, আমার গান যদি আপনার মনে একটুও দোলা দেয় তবে আপনার মোবাইল অপশন এ গিয়ে আমাকে ভোট করুন ... ... । " লাভের লাভ ওই ব্যক্তি যদি গান গেয়ে অর্থ বিত্ত প্রতিপত্তির মালিক হতে পারে তাঁর জন্য আপনি একটু হেল্প করলেন আর কি।
গান এখানে গৌণ ব্যপার - অর্থ প্রাপ্তি মুখ্য। তেমনি ক্ষমতা ঠিক রাখতে যদি কিছু মানুষের জীবন খরচ হয় তাকে রাজনীতিবিদরা ধরতব্বের মধ্যে আনেন না। তাই আমার কাউকে বিন্দুমাত্র বিশ্বাস হয় না - এই সব রাজনৈতিক দলের মানুষেরা একটি বিরাট অংশ মিথ্যাচারে পারদর্শী এবং ক্ষমতায় যাবার জন্য হিটলার এর প্রচারমন্ত্রির Theory তারা ও ব্যবহার করেন নাই - এটা মনে হবার কোন কারন নাই। তা হলে তারা তাদের পলিটিকাল প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার জন্য একটা State Orchestrated প্রচারণা চালাবেন এই সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়া যায় না। ন্যায় বিচারে কোন Compromise নাই।
আওয়ামীলীগ তার ইচ্ছেমত মুক্তিযুদ্ধ চেতনাকে ব্যবহার করে আর তাদের বলেন আপনি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি? আর আওয়ামীলীগ না আসলে বিচার হবে না এমন ধারণা কেন আপনার? তার মানে কি বিচার বিভাগ স্বাধীন নয় এটা বিশ্বাস করেন আপনি? আওয়ামীলীগের গত ৫ বছরের দুঃশাসন, দুর্নীতি, শেয়ার বাজার কেলেঙ্কারি, টেন্ডারবাজী, ছাত্রলীগের ভয়ংকর রুপ, পদ্মা সেতু দুর্নীতি, বিডিয়ার হত্যা ইত্যাদি ইত্যাদি এত গুলো অপকর্ম আমাকে ভুলতে বলছেন শুধু একটি কারন দেখিয়ে? যুদ্ধপরাধির বিচার আমাদের আবেগের সাথে জড়িত, বাস্তবতার সাথে না। যুদ্ধপরাধির বিচার হলেও দেশের যে আমুল পরিবর্তন হবে তাতো না। তাহলে সেটাকে এত গুরুত্ব দিয়ে আওয়ামীলীগের সব অপকর্ম মেনে নেব এমন বোকা ভাবেন কেন সবাইকে? যুদ্ধপরাধির বিচার বিচার বিভাগ চালাবে। আওয়ামীলীগ আসল কি গেল তার সাথে এর কোন সম্পর্ক নেই। যদি আপনি মনে করেন যে সম্পর্ক আছে তাহলে আপনি ধরেই নিচ্ছেন যে বিচার বিভাগ নিরপেক্ষ নয়, সরকারের অধীনে, আদালত সরকার দ্বারা পরিচালিত তাই নয়কি? তাহলে তো আপনি নিজেও একচোখা বিচারের সমর্থক।
তাহলে আর গণতন্ত্রের কথা বলবেন না, ন্যায় বিচারের কথা বলবেন না।
২। তারপর তাদের যুক্তি বিএনপি আসলে দেশ পরাধীন (??) জঙ্গি, পাকিস্থান ইত্যাদি ইত্যাদি হয়ে যাবে। --- বিএনপি গত ২ বার এসেছে। তখন কি দেশ পাকিস্থান হয়ে গিয়েছিল? পাকিস্থানের সাথে এতটা দহরম মহরম ছিল যতটা আওয়ামীলীগের ভারতের সাথে আছে।
আওয়ামীলীগ সরকার ভারতের সাথে তাদের স্বার্থে একের পর এক চুক্তি করেছে জনগণকে ভাল করে না জানিয়ে, ভারতের স্বার্থে রামপাল করে সুন্দরবন ধ্বংসের রিস্ক নিচ্ছে, ট্রানজিট দিয়েছে বিনামূল্যে, মংলা পোর্ট ব্যবহারের অনুমতি দিচ্ছে, ভারতের মন্ত্রী সচিবরা প্রকাশ্যে বাংলাদেশের রাজনীতি নিয়ে কথা বলছে, তারা প্রকাশ্যে বলছে আওয়ামীলীগ কে আসতে হবে ক্ষমতায়, তারা এই ব্যাপারে সাহায্যের কথা বলছে, সিমান্তে প্রায়ই খুন হচ্ছে বাংলাদেশী ভারতের বিএসএফ এর হাতে আর সরকার তা নিয়ে টু শব্দও করছে না, ভারতের মুদ্রা এদেশে চালুর কথা উঠছে অর্থ মন্ত্রনালয়ে ইত্যাদি ইত্যাদি এসব দেখে আপনার কাছে কোনটা বেশি গ্রহণযোগ্য মনে হয়? বিএনপি আসলে পাকিস্থান হয়ে যাওয়া নাকি আওয়ামীলীগের ভারতের হয়ে যাওয়া?
৩। দেশের ভালোর জন্যই আওয়ামীলীগের ক্ষমতায় থাকা দরকার। বিএনপি আসলে সংখ্যা লঘূদের উপর নির্যাতন হয়।
---- দেশের জন্য কোনটা ভাল কোনটা খারাপ তা জনগণকে চুজ করতে দিন। নিরপেক্ষ নির্বাচন দিন, জোর করে ক্ষমতা দখল কেন? কেন ভাবছেন যে নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে আওয়ামীলীগ সরকার গঠন করতে পারবে না? তার মানে কি আপনি স্বীকার করে নিচ্ছেন যে জনগণ এর বেশীরভাগ অংশই আওয়ামীলীগ কে সমর্থন করে না? আর সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতনের অনেক ঘটনায় আওয়ামীলীগের নেতা কর্মী জড়িত থাকা প্রমাণ হয়েছে তারপরও কিভাবে বলেন যে আওয়ামীলীগ থাকলে এটা হবে না।
বরং আওয়ামীলীগ এই সংখ্যা লঘু নিয়ে রাজনীতি করে যেমনটা কংগ্রেস করে মুসলমানদের নিয়ে। তারা আবার নির্যাতন উস্কেও দেয়। কারন যতই সংখ্যালঘু নির্যাতন হবে ততই তাদের ভোট বাড়বে। আর সংখ্যা লঘু সংখ্যা লঘু বলে তারাই কিন্তু হিন্দু জনগস্টিকে আলাদা করে বিভাজন সৃষ্টি করছে। বাংলাদেশে হিন্দু মুসলিম যেমন সহবস্থানে থাকে তেমনটা ভারতেও থাকে না।
তবুও কেন সাম্প্রদায়িকতা নিয়ে এমন রাজনীতি?
৪। জনগণ অশিক্ষিত । গ্রামের মানুষ অসচেতন, দেশের ভাল মন্দ বুঝে না, ১০০ টাকায় ভোট বিক্রি করে দেয়,গোল্ড ফিস মেমরি ইত্যাদি ইত্যাদি।
---- তাহলে এই ২ বার যে আওয়ামীলীগ আসল সরকার এ তখন জনগণ কোন যাদুবলে শিক্ষিত হয়ে গিয়েছিল? নাকি বিরোধী দলের টাকা কমে গিয়েছিল তাই ভোট কিনতে পারেনি? হাস্যকর যুক্তি। যদি এমনটাই ভাবেন তাহলে শুধু তথাকথিত শিক্ষিত বুদ্ধিজীবী আর সুশীল দেরই শুধু বা শুধু শহুরে দেরই ভোটাধিকার চালু করলেই পারে।
মুখে গণতন্ত্র গণতন্ত্র বলে কেন চিৎকার করেন তথাকথিত গণতন্ত্রের মানসকন্যা?
৫। সবশেষে তাদের যুক্তি, আসলে সব দলই একই। একই মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ। তাই এই সিস্টেম বন্ধ হওয়া দরকার। আওয়ামীলীগ জোর করে ক্ষমতায় থাকবে এবং বিরোধী দল আন্দোলন করবে, দেশে বড় কিছু একটা হোক, তাতে হয়তো বড় একটা পরিবর্তন আসবে।
---- তাদের সর্বশেষ যুক্তি দেখে আর কিছু বলার থাকে না। তারা চায় এই অস্থিতিশীলতা আরও বাড়ুক , চলতে থাকুক তাতে নাকি নতুন কিছু একটা আসবে। সেটাও আবার আওয়ামীলীগ কে ক্ষমতায় রেখে। অর্থাৎ যেভাবেই হোক আওয়ামীলীগকে ক্ষমতায় থাকতেই হবে। অনেকটা “সালিশ মানি কিন্তু তালগাছ আমার” “ ঠাকুর ঘরে কেরে আমি কলা খাইনা” এবং সবশেষে “ ভণ্ডামির অনেক রং”
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।