আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রসুনের রসায়ন

প্রতিটি জিনিসের ভিন্ন ভিন্ন সৌন্দর্য বোঝার ক্ষমতা মানুষের নেই , যদি কোনো মানুষের থেকে থাকে তবে সে মহামানব নয়ত মহাবেকুব ।

রসুন মানবদেহের সুস্থতার জন্য এক অতি প্রয়োজনীয় উপাদান । অনেকেই রসুনের গন্ধ সহ্য করতে পারেন না , আবার অনেকেই রসুন এড়িয়ে চলেন মুখে পড়ার ভয়ে । নিচে রসুনের কিছু উপকারিতা তুলে ধরা হল ।

১. একটি মাঝারি সাইজের রসুনে ১
লাখ ইউনিট পেনিসিলিনের সমান
অ্যান্টিবায়োটিকের
কার্যক্ষমতা রয়েছে।



২. ব্যাকটেরিয়া ও প্রোটোজোয়ার
মাধ্যমে সৃষ্টি অ্যামিবিক
ডিসেনট্রি নির্মূলের ক্ষেত্রে রসুন
বেশ কার্যকরী ।

৩. শরীরের রোগ সংক্রমণ দূর করার
জন্য একসাথে তিন কোয়া রসুন
দিনে তিন থেকে চারবার
চিবিয়ে খান ।

৪. রক্তের চাপ ও রক্তের
কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানোর জন্য
প্রতিদিন তিন থেকে ১০ কোয়া রসুন
খেতে পারেন ।

৫. উচ্চরক্তচাপ ও রক্তের
কোলেস্টরলের মাত্রা কমিয়ে হৃদরোগ
প্রতিরোধে রসুনের ভূমিকা অপরিসীম ।
রসুন রক্ত জমাট
নিরোধী অ্যাসপিরিনের মতোই
শক্তিশালী ।



৬. রসুন খেতে হলে কাঁচা রসুন চিবিয়ে খেতে হবে।
চিবিয়ে না খেলে রসুনের রাসায়নিক
উপাদান এলিসিন নির্গত হবে না ।
এলিসিনই
হচ্ছে শক্তিশালী অ্যান্টিবায়োটিক ।
অ্যান্টিবায়োটিক
ক্ষমতা কাজে লাগানোর জন্য
কাঁচা রসুন চিবিয়ে খাওয়াই উত্তম ।

৭. যাদের শরীর থেকে রক্তপাত
সহজে বন্ধ হয় না , অতিরিক্ত রসুন
খাওয়া তাদের জন্য বিপজ্জনক ।

রসুন
রক্তের জমাট বাঁধার
ক্রিয়াকে বাধা প্রদান করে ।
ফলে রক্তপাত বন্ধ
হতে অসুবিধা হতে পারে ।

৮. অতিরিক্ত রসুন
শরীরে এলার্জি ঘটাতে পারে । এসব
ক্ষেত্রে অতিরিক্ত রসুন না খাওয়াই
উত্তম ।

৯. রসুন খাওয়ার
ফলে পাকস্থলীতে অস্বস্তি বোধ করলে রসুন খাওয়া বন্ধ রাখুন ।



১০. শিশুকে দুগ্ধদানকারী মায়েদের
রসুন না খাওয়াই ভালো । কারণ রসুন
খাওয়ার ফলে তা মায়ের দুধের
মাধ্যমে শিশুর পাকস্থলীতে ঢুকে শিশুর
যন্ত্রণার কারণ ঘটাতে পারে ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১২ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।