আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রাজাকার ধর্ম ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে যেভাবে সবচেয়ে বড় ব্যবসাটা করছে আওয়ামিলীগ

© এই ব্লগের সকল মৌলিক লেখার স্বত্ত্ব লেখকের। তাই লেখকের অনুমতি ব্যতীত অন্য কোন প্রিন্ট বা ইলেক্ট্রনিক মিডিয়াতে ব্যবহার না করার অনুরোধ রইল... অনেক দিন এই পোস্টটা টাইপ করেছি, কিন্তু পোস্ট/শেয়ার করিনি ক্যাচালের আশংকায়। আজকে খুব সংক্ষেপে ত্যানা না পেঁচিয়ে সরাসরি বলি। দল-মত নির্বিশেষে বাংলাদেশের প্রতিটি সচেতন নাগরিক যুদ্ধাপরাধের বিচার চায়। কৌশলগত কারণেই আমরা সবাই জানি, বিএনপি কখনো এর বিচার করবেনা।

তাই ধরে নিয়েছিলাম, যুদ্ধাপরাধের বিচার যদি হয়, তাহলেই সেটা আওয়ামিলীগই করবে। দুঃখের বিষয় হলো, ২০০৮ সালে যে মুলা ঝুলানো হয়েছে, এখনো তা ঝুলেই আছে। প্রশ্ন হলো সত্যিই কি বিচারটা হবে, নাকি তা চিরাচরিত আওয়ামি চরিত্র অনুযায়ী প্রহসনের মাঝেই সীমাবদ্ধ থাকবে, সেটার উত্তর সময়ই বলে দিবে। কিন্তু, বিচার প্রক্রিয়াকে দীর্ঘায়িতকরণের মাধ্যমে আওয়ামিলীগই সবচেয়ে বেশি লাভবান হচ্ছে, আর প্রতারিত হচ্ছে সাধারণ জনগণ। কিভাবে জানেন? এই ইস্যুটি নিয়ে সবচেয়ে সিরিয়াসলি ভাবে তরুণ প্রজন্ম, বিশেষত শিক্ষিত তরুণ প্রজন্ম।

আর তরুণ প্রজন্মই যেকোন অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারে। পরিতাপের বিষয় হলো, আওয়ামিলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই, দু-দিন পরপরই “যুদ্ধাপরাধ বিচার বানচালের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে”- এই মর্মে তরুণ প্রজন্মকে এত বেশি ব্যস্ত রেখেছে যে, এই ইস্যুর আড়ালে ঢাকা পড়ে গেছে: ● বিডিআর বিদ্রোহ ● শেয়ার মার্কেট কেলেংকারি ● ইউনিপে/এমএলএম কেলেংকারি ● হলমার্ক কেলেংকারি ● পদ্মা সেতু কেলেংকারি ● সুরন্জিতের অর্থ কেলেংকারি ● ইলিয়াস আলি সহ অসংখ্য বিরোধী দলীয় নেতাকর্মী/শ্রমিক নেতা/সাধারণ মানুষ গুম ● নিমতলি অগ্নিকান্ড/সাংবাদিক দম্পতি সহ শত শত সাধারণ মানুষ হত্যা ● তাজরিনে অগ্নিকান্ড ● প্রতিটি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস ● নিয়োগের প্রতিটি ক্ষেত্রে নগ্ন দলীয়করণ ● ছাত্রলীগের সীমাহীন সন্ত্রাস, নৈরাজ্য ● চাঁদাবাজি/টেন্ডারবাজি/ধর্ষণ ● যে তত্ত্ববধায়ক সরকারে জন্য আওয়ামিলীগ রাজপথে আন্দোলন করেছে, নিজেদের হীনস্বার্থ চরিতার্থ করে বাকশাল কায়েমের উদ্দেশ্যে নিজেরাই সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে তা বাতিল করেছ। ● বিশ্বজিত হত্যাকান্ডের মত বড় বড় হাজার হাজার ঘটনা ঘটনা। যুদ্ধাপরাধের বিচার হোক, এটা সবাই চায়। সরকারে আওয়ামিলীগ, সংবিধানের বৈধ কর্তৃপক্ষ/প্রয়োগকারী তারা।

আইন, বিচার ও নির্বাহী বিভাগের নিয়ন্ত্রণ তাদের হাতে, তাহলে বিচার প্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত করা হচ্ছে কেন? সবাই জানে সাইদী/গু-আজম/নিজামী রাজাকার। তাহলে ঝুলিয়ে দিলেই হয়, কিসের এত নাটক?? কিসের জন্য এত অপেক্ষা? এই ইস্যুর আড়ালে যে প্রতিদিন খুন হচ্ছে মানুষের মৌলিক অধিকার, ধর্ষিত হচ্ছে মানবতা, এর দায়ভার কে নেবে??? আমি যদি বলি দৈনন্দিন ঘটতে থাকা সকল অন্যায়ের বিরুদ্ধে জনগণের, বিশেষত তরুণদের চোখ সরিয়ে নিতেই এই দীর্ঘসূত্রিটা, এটা কি ভুল হবে? পুনশ্চ: যুক্তি দিয়ে যারা এই পোস্টের বিরোধিতা করতে পারবেন না, তারা দয়াকরে মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকুন। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.