জনাব,
ফখরুদ্দীন আহমেদ আপনি কোথায়? আপনাকে আজ আমদের খুবই প্রয়োজন। আপনিই আসল দেশ প্রেমিক। আমি জানি অনেক রাজনীতিবিদরা আপনাকে দেখতে পারে না। কেন দেখতে পারে না তা আপনিত জানেনই। কিন্তু আমরা আপনাকে অনেক ভলোবাসি।
আপনার মত অসাংবাধানিক সরকারই আমাদের মত রাজনীতি না করা মানুষগুলোকে এই দেশে একটু শান্তি দিতে পারে। যে দুই বছর আপনি ছিলেন সেই দুই বছর আমাদের এত উদ্বেগ-উৎকন্ঠার মধ্যে দিন যাপন করতে হয়নি। আপনার কারনে অনেক শান্তিতে অন্তত লেখাপড়া আর পরীক্ষা চালিয়ে যেতে পেরেছিলাম। আর আজ আমি গত দেড় মাস থেকে পরীক্ষাত দূরের কাথা ভার্সিটির মুখই দেখতে পাচ্ছি না। আপনিত রাত ১২ টার পর মানুষ (চোর) ধরতেন।
এখন আমাদের (মানুষ) দিনের বেলাতেই ধরা হয়। আমাদের এখন বাড়ি থেকে বের হলে বাবা-মার কাছ থেকে শেষ বিদায় নিয়ে বের হতে হয়। আজ আমাদের মত সাধরন মানুষের জীবনের কোন দামই নাই। এখন বিএনপি-জামাত নামধরী পশুগুলা বোমা মারে, আর সরকারের পুলিশ নামধারী আরেকটি সন্ত্রাসীদল চালায় গুলি। আর এর মাঝখানে আমরা হয়ে গেছি পাখি।
পাখিকেও এত নির্মমভাবে শিকারীরা মারে কিনা তাতে আমাদের সন্দেহ হয়।
ফখরুদ্দিন আহমেদ আপনি যখন ক্ষমতায় এসেছিলেন তখন শত্রু ও অপরাধীদের যে ডান্ডা মেরে ঠান্ডা করেছিলেন, এখন সেই ডান্ডাটাই আবার খুব দরকারি হয়ে উঠেছে। হানিফ, তাপোষ, আবুল, মখা, সুরঞ্জিতের মত কিছু নেতা নামধারী চোরগুলাকে শায়েস্তা করার আবার সময় এসেছে। এরা বিএনপির নেতাদের মতই রাষ্ট্রের সম্পদ নিজেদের মনে করে নিয়েছে। তাই এইসব নব্য মৎসজীবীদের জন্য লাঠির বাড়ি ফরজ হয়ে গেছে।
অহঃ! আপনি না "না" ভোটের ব্যবস্থা করেছিনেন? সেই "না" ভোটের ব্যবস্থা কিন্তু হাসিনা ভয়ে ভোটের বিধান থেকে বাতিল করে দিয়েছে। আর কি একটা সংবিধান বানিয়েছে যেটা নাকি কোরআন শরিফের (আল্লাহ মাফ করুন) থেকেও দামি জিনিস। ঐটা নাকি না হলে আর দেশ চালানো যাবে না। আমার প্রশ্ন আপনার কাছে দেশ আগে নাকি সংবিধান আগে?
প্রিয় ফখরুদ্দিন আমি জানি আপনি আমার এই লেখা হয়ত কোনদিনই পড়বেন না, তবে আপনার মত অনেক ফখরদ্দিন আমাদের এই দেশে ছড়িয়ে আছে তরা যেন আমাদের মত এই সাধারন মানুষগুলার কথা একটু ভাবে।
আমরা প্রতিদিন দুই দলের নেতাদের মুখে গণতন্ত্রের শুধু বুলিই শুনে গেলাম কিন্তু গণতন্ত্র যে আসলে কি সেটাই দেখলাম না।
তাই আমাদের কাছে বিচার-বিশ্লেষন করে মনে হয়েছে এই দেশে আর গণতন্ত্রের দরকার নাই। যারা এই দেশে অগণতান্ত্রিক ভাবে আসে তারাই আমাদের ভালো রাখে। তাই আমি পরিশেষে একজন বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে ফখরুদ্দিন আপনার মত মানুষগুলোকে আগামী দিনে দেখতে চাই।
ইতি
ফখরুদ্দিনের ভক্ত
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।