গত মাসে ল্যাবের এক জুনিয়রকে নিয়া কফি খাব বলে আমাদের বাংলাদেশী সংস্কৃতি (সিনিয়র-জুনিয়র সম্পর্কের ব্যাপারে) কিছু বক্তব্য প্রদান করার পর ভেন্ডিং মেশিনে একটি ১০০০ ওন এর একটি নোট প্রবেশ করাইলাম। কিন্তু মেশিন দেখি আমার নোটটা গ্রাস করলো। সেইদিন নিজেকে এই বলে সান্তনা দিলাম যে কোরিয়ার অর্থনৈতিক উন্নয়নের স্বার্থে আমি এই অনুদান প্রদান করলাম কিন্তু কোরিয়া যে এইভাবে আমার উপর নির্ভর হয়ে যাবে তা আমি কল্পনাও করিনি।
আজকে কিছু দৈনন্দিন জিনিস কেনার জন্য বাজারে গেলাম। কেনাকাটা শেষে বিল দেখে তো এমনিতেই আমার মাথায় হাত সাথে এক পোলিশ দোস্ত গেছিলো, সে বললো চল আজকে বাইরে খাই।
আমরা অনার্সের সময় একটা কথা প্রায়ই বলতাম- "কি আর হবে, মরলে ফার্টিলাইজার বাচলে হর্টিকালচার। " এই মূলমন্ত্র বুকে ধারণ করে আমিও বললাম ঠিক আছে। কি আর হবে। ......... তো খাওয়া-দাওয়া শেষে ডরমিটরিতে এসে একাউন্ট চেক করে দেখি রূপসী সেলসগার্ল আমার একাউন্ট থেকে অতিরিক্ত ৫৭০০ ওন কেটে নিছে। এখন আর কি করবো......."কোরিয়ার অর্থনীতিতে এক বাংলাদেশীর অসামান্য অবদান" এই শিরোনামে একটা রিপোর্ট লিখলাম ।
আশা করি ভবিষ্যতে আমি আরও অবদান রাখবো এবং আমার অনুদানের উপর ভিত্তি করেই কোরিয়া একটি উন্নত দেশে পরিণত হবে।
আর এই আশাবাদ ব্যক্ত করে আপনাদের কাছ থেকে বিদায় নিলাম............................ ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।