টানা পাঁচদিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে হার মানতো হলো শাহিনা আক্তারকে (৪২)। রাজনৈতিক সহিংসতার আগুনেপুড়ে একমাত্র সন্তানকে রেখে চিরদিনের জন্য চলে যেতে হলো তাকে। আজ বুধবার রাত ২টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় শাহিনার।
রাজধানীর রমনার পরিবাগে যাত্রীবাহী মিনিবাসে পেট্রোলবোমা হামলায় দগ্ধ হয়েছিলেন শাহিনা আক্তার। এরপর তাকে ভর্তি করা হয়েছিল ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে।
সেখানের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ) পাঁচদিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছিলেন তিনি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত প্রাণ রক্ষা হলো না।
বুধবার সকালে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং শাহিনার পরিবারের কাছ থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
উল্লেখ্য, ৩ জানুয়ারি সকাল ৭টার দিকে পরিবাগে আবদুল্লাহপুর থেকে গুলিস্তানগামী একটি যাত্রীবাহী মিনিবাসে পেট্রোলবোমা ছোড়ে দুর্বৃত্তরা। এতে শাহিনা আক্তারের শরীরের ৪০ শতাংশ দগ্ধ হয়।
এছাড়া বাসের চালক বাবুল হাওলাদার ও অপর এক যাত্রী ফল বিক্রেতা ফরিদ মিয়াও অগ্নিদগ্ধ হন। এরপর তাদের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়।
শাহিনা একটি জীবন বিমা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ছিলেন। তার গ্রামেরবাড়ি খুলনার টুটপাড়ায়। অফিসের কাজে খুলনা থেকে ঢাকায় এসেছিলেন।
কাজ শেষ করে ঘটনার দিনই খুলনার উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।