আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

তথাকথিত প্রেম-ভালবাসা কিংবা কৈশরের আবেগ!!!



[ একটু ধৈর্য ধরে পড়বেন, কোনো বিপরীত মন্তব্য থাকলে যুক্তিসহ উপস্থাপন করবেন ]

মানুষের শারীরিক ও মানসিক চাহিদা প্রবল। বিশেষ করে কৈশর বয়সে তার প্রবনতা বিরুপ আকার ধারন করে যার ফলশ্রুতিতে মানুষ বিপরীত লিঙ্গের প্রতি একটা মোহে আচ্ছন্ন হয় যার নাম কিন্তু অনেক। কেউ বলে প্রেম, কেউ ভালবাসা, কেউ বা আবার প্রণয় তবে আমার মতে এসব প্রেম-ভালবাসা-প্রণয় একটি মিথ্যে মোহের জাল যা আবেগ দিয়ে তৈরি।

আপনারা হয়তো আমাকে প্রশ্ন করতে পারেন যে, “মাম্মা, ছেকা খাইছো মনে হয় ?” (ছেকা - এটাও কিন্তু আপনাদেরই তৈরি একটা তথাকথিত বিষাদময় Ridiculous বাক্য) না। আমি ছেকা-টেকা কিছু খাইনি।

আমি আমার এক্সপেরিমেন্ট থেকে সবকিছু বলতেছি।

আমি বলছিলাম যে প্রেম-ভালবাসা এসব আবেগেরই সৃস্টি। এখন আপনি হয়তো জিজ্ঞেস করবেন, “মাম্মা, আবেগ আবার কি ?” আমার মতে আবেগ হলো সেই জিনিষ যার সাহায্যে কথা গুলো বিভিন্ন রকমের অঙ্গিভঙ্গির দ্বারা প্রকাশ করা যায়। যেমনঃ একটু কাঁদো কাঁদো ভঙ্গিতে যদি আপনার তথাকথিত প্রেমিকা আপনাকে বলে, “আমি তোমাকে ছাড়া বাঁচব না” তাহলে আমি নিশ্চিত আপনি আপনার তথাকথিত প্রেমিকার সেই কথা গুলো সত্য বলে গ্রহণ করে নিবেন।
কিন্তু সময়ের স্রোতে যখন সে আপনাকে ব্রেক আপের কথা বলে দুরে চলে যাবে আর তখনো যদি আপনি সেই মোহে আচ্ছন্ন থাকেন তবে আমি নিশ্চিত আপনি আপনার আবেগী সুর দিয়ে তাকে বলবেন, 'তুমি একটা ছলনাময়ী, তুমি আমার সাথে এরকম প্রতারণা কেন করলে ? আমি তো তোমাকে সত্যি ভালবাসতাম… ব্লা।

ব্লা। ব্লা। ' এটা যে আবেগ তা কি আপনি এখনো বুঝতে পারেন নি ? যদি না বুঝে নেশার জগতে শান্তির জন্য হাতড়ে বেড়ান তাহলে আপনাকে মুর্খ বলাও আমার ভুল হবে।

এবার আপনি বলেন তো আপনার চোখে দেখা এরকম কয়টি তথাকথিত প্রেম-ভালবাসা দীর্ঘদিন স্বার্থহীনভাবে টিকেছে ? ছ'মাস ? এক বছর ? দুই বছর ? তারপর ? শেষ। আজকাল তো 'ব্রেক-আপ' আপনাদের কাছে নিত্যনৈমিত্তিক ব্যপারও বটে।



প্রেম-ভালবাসার অন্তর্বর্তীণ সময়ে প্রেমিক-প্রেমিকারা আসলে কি করে ? কি আর করবে রাত জেগে ফোনে কথা বলে সিম কোম্পানী গুলোর প্রচুর লাভ করে দেয়। আচ্ছা ভাই, নিজের মা-বাবার কস্টার্জীত টাকা খরচ করে ওরা এতো সময় ফোনে ওরা কি আলাপ করে ? নিশ্চয় অশ্লীল কোনোকিছু কিংবা অযৌক্তিক হাবিজাবি বিষয় নিয়ে আলাপ করে। করে না ? অনেকে আবার লেকের পাশে কিংবা পার্কের নির্জন বেঞ্চে বসে হাতাহাতি, ফ্রেঞ্চ কিস করে। এবার আসি লিটনের ফ্ল্যাটের কথা। লিটনের ফ্ল্যাটের কথা নিশ্চয় সবার অজানা নয়।

তথাকথিত প্রেম-ভালবাসার কিছু দিনের মধ্যেই সবাই লিটনের ফ্ল্যাটে গিয়ে তাদের শারীরিক চাহিদা টা মেটায়। তারপরেই মালটা পুরনো হয়ে যায় তাই নতুন মালের পিছনে ছুটে যায়।

সহজ সরল মেয়েরা যখন এই তথাকথিত প্রেম-ভালবাসায় তাদের সর্বস্ব বিলিয়ে দিয়ে ও প্রেমিকের সঙ্গ পায়না তখন তারা আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। অবশ্য তাদের জন্য আমার কস্ট হয়না। এটা তাদের প্রাপ্য।


আচ্ছা, আমরা কি পারিনা আমাদের কৈশরের আবেগটুকু ধরে রেখে সুন্দর একটি আগামীর দিকে অগ্রসর হতে ? যেখানে মা-বাবা, ভাই-বোন আর লালটুকটুকে শাড়ী পরা একজন সুন্দরী বউ কিংবা পাঞ্জাবি, শেরওয়ানি ও পাগড়ী পরা একজন প্রতিষ্ঠিত বর আমাদের জন্য অপেক্ষা করতেছে। আমরা পারি। আমাদের কে পারতেই হবে।

পরিশেষে বলব, মোহের এই কৈশরের আবেগ বা প্রেম-ভালবাসা-প্রণয় থেকে দুরে থাকুন। আর সঠিক মানুষটির জন্য অপেক্ষা করুন।

নিশ্চিত থাকুন, সে আসবে, আসতেই হবে, তাকে আসতে দিন।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.