রহস্য
আগে শুনতাম যারা গ্রামে – গঞ্জে সবুজের মাঝে থাকেন তাদের মাঝে এক ধরনের মানসিক প্রশান্তি বোধ কাজ করে। আবার সবুজের দিকে তাকিয়ে থাকলে নাকি চোখ এবং মনে প্রশান্তি চলে আসে। বিজ্ঞানীরা এইটুকু শুনে বা বিশ্বাস করেই ক্ষান্ত হননি, করেছেন পরীক্ষা -নিরীক্ষাও। সম্প্রতি জার্নাল ইনভায়রমেন্ট সায়েন্স এন্ড টেকনোলজিতে এমনি এক গবেষণার খবর দিয়েছেন ইংল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অব এক্সেটের মেডিক্যাল কলেজের গবেষকরা। এই নিরীক্ষার ফলাফলে সম্প্রতি নিয়ে এসেছেন এই তথ্য।
তারা ১০০০ জনের মাঝে পাঁচ বছর ধরে এই নিরীক্ষা চালিয়েছেন। এই ১০০০ জনকে তারা দুটি দলে ভাগ করেছেন। একদল ছিল যারা সবুজ গ্রামের আশেপাশে পার্কের আশেপাশে কিংবা এদের অনেকে আবার বাড়িতে সবুজায়নের ব্যবস্থা করেছেন। আর দ্বিতীয় দল ছিল শহরে যেখানে তুলামূলক গাছপালা কম। এই দুই দলকে পাঁচ বছর ধরে কঠোর নিরীক্ষার আওতায় রাখা হয়।
ফলাফলে দেখা যায় যে দল সবুজের মাঝে ছিল তাদের শারীরিক সুস্থতার হার ছিল অনেক বেশী। একই সাথে তাদের মেধা – মনন এবং বুদ্ধির উন্নয়ন ঘটে প্রভুত হারে। গবেষকদের মতে যারা সবুজের মাঝে থাকেন তাদের তুলামূলক মানসিক উন্নয়ন অন্যদের তুলনায় তিন বছরেরও বেশী ঘটে। অর্থাৎ আমরা যারা সবুজের মাঝে থাকি না আমাদের বুদ্ধির উন্নয়ন তিন বছর পিছিয়ে থাকে। একই সাথে শারীরিক ক্রিয়াও বেশ বেগবান হয়।
আমরা যারা শহরে থাকি তাদের জীবন হয় পাথুরে, সবুজের কোমলতা আমাদের ছোঁয় না, আমরা কিন্তু খুব সহজেই পারি বদলাতে। নিজেদের ঘর – বারান্দায়, টবে আমরা যদি গাছ লাগাই তবে হয়তো সহজেই বদলাবে অনেক কিছু। শুধু দরvoid(1);কার শুরুটা করা। শুরু করুন, আরামেই থাকবেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।