তারা বলেছেন, বিএনপি-ছাত্রদল নেতার নির্দেশেই নগরীর পলিটেকনিক এলাকায় লেগুনায় পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করা হয়েছিল।
এতে গুরুতর দগ্ধ লেগুনা চালক মো. মিতুল ঘটনার চারদিন পর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে মারা যায়।
কোতোয়ালি ও পাঁচলাইশ থানা পুলিশের একটি যৌথদল মঙ্গলবার রাতভর নগরীর পলিটেকনিক এলাকার মোজাফ্ফর নগর, হিলভিউ আবাসিক ও শেরশাহ এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওই তিনজনকে গ্রেপ্তার করে।
এরা হলেন- ওসমান গণি, নজরুল ইসলাম ও সুজা মিয়া।
পাঁচলাইশ থানার ওসি আবু জাফর মো. ওমর ফারুক বলেন, এদের মধ্যে ওসমান ও নজরুল বুধবার চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম আহমেদ সাইদের আদালতে ঘটনা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, তারা লেগুনাটিতে পেট্রোল ও হাতবোমা নিক্ষেপ এবং স্থানীয়ভাবে বিএনপির রাজনীতির সাথে যুক্ত বলে স্বীকার করেছে।
জবানবন্দিতে দুইজনই জানিয়েছেন, ঘটনার দিন ৬ জানুয়ারি সন্ধ্যায় তাদের ককটেল ও পেট্রোল বোমা বানানোর জন্য এক ছাত্রদল নেতা নির্দেশ দেয়। রাতে লেগুনা চালকের পাশের জানালা দিয়ে দুইজনই পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে এবং তাতে আগুন ধরে যায়।
লেগুনার পেছনে একটি ককটেল নিক্ষেপ করা হলেও সেটি বিস্ফোরিত হয়নি বলেও জবানবন্দিতে তারা উল্লেখ করেছেন।
ওসি আবু জাফর জানান, দুইজনই জবানবন্দি ও জিজ্ঞাসাবাদে বলেছে ছাত্রদলের এক নেতার নির্দেশেই এসব কাজ করেছে।
এছাড়া এ ঘটনার সাথে যুক্ত আরো দশজনের নাম উল্লেখ করেছে, যা তদন্তের স্বার্থে গোপন রাখা হচ্ছে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।