নিরন্তর সত্যের উপর পথ চলি, দুমড়ে মুচড়ে দেই সব বাধা!
আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টিতো দুরের কথা, জাসদ, ওয়ার্কাস পার্টি এমনকি এক নেতা ও গুটি কয়েক সদস্যের দল সাম্যবাদী দলেও (দিলীপ বড়ুয়া) কোন গনতন্ত্র নাই, চলে কর্তার ইচ্ছায় কীর্তন। এইসব নেতারা এমনকি নিজ দলেও কখনো কর্মীদের কথা শুনেন না যতক্ষণ না কর্মীরা সংঘবদ্ধ হয়, তাদের চাপে বেশ একটা বেকায়দা অবস্হায় পড়েন। সুতরাং হাসিনা খালেদার সংলাপের যারা এখনও আশা করেন কোন রকম বেগতিক অবস্হা ছাড়া তারা সত্যিই বসে আছেন আহাম্মকের স্বর্গে!
বেশী কথা না বলে শুধু বিগত দুবছরের ইতিহাস দেখেন, সত্যিকারভাবে খালেদা জিয়া তখনই আন্তরিক আলোচনার আহবান জানিয়েছেন যখন তার পা'য়ের তলা থেকে মাটি সরে গিয়েছে, আবার ঠিক শেখ হাসিনার ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। তিনিও ৫ইমে হেফাজতের মিটিং এর আগের দিন সত্যিই চাইছিলেন একটা সমঝোতা, যেমনটি চেয়েছিলেন অক্টোবরের টেলিফোন সংলাপে। খালেদা তখন শুনেন নাই, তারপর ছলে বলে কৌশলে যখন ওই বিপদ কেটে গেছে হাসিনাকে তখন আর কে পায়! তিনি এখন পর্যন্ত সংলাপের কোন তাগিদ অনুভব করছেন না।
আর সংলাপই বা কিসের? কোন রকাম নির্বাচন একটা করে ক্ষমতা দখলে রাখা, সরকার পরিচালনা করা আগামী ২০২১ সাল পর্যন্ত সেটার ব্যবস্হা অনেকটা পাকা। এবার দিয়েছেন ভিশন ২০৪১! খাইছে আমারে! ভিয়েতনামের সেই তামা তামা ভাব!
মুল বক্তব্য একটাই, শেখ হাসিনা যেমনটা গতকাল বলেছেন, নিজের জোর বড় জোর। তার জোর এখন, আপাত দৃষ্টিতে সর্বত্র, একমাত্র সংখ্যাগরিষ্ঠ অবলা জনগন ছাড়া। অবলা জনগনকে সবলা করতে যে হ্যাডাম লাগে, তা কি খালেদা জিয়ার আছে? নিজের না থাকলে, যাদের আছে তাদেরকে একত্রিত করতে হবে, দেশের স্বার্থে, গনতন্ত্রের স্বার্থে। কিন্তূ তার আগে তাকে পরিস্কার করতে হবে, ভবিষ্যতে গনতন্ত্র তার হাতে কি নিরাপদ থাকবে? আগেতো ছিল না! খালেদা জিয়া যতক্ষণ এই কথাটা বুঝতে ও অর্জন করতে না পারছেন ততক্ষণ কেউ তাকে বাড়ীতে এসে ক্ষমতা, নির্বাচনি মোয়া মুখে গুজে দিয়ে যাবেন না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।