আগের টিউনে আপনাদের বলেছিলাম, স্মার্টফোন কি? এবং এর বিস্তারিত। আপনি যদি না পড়ে থাকেন তাহলে প্রথমে পড়ে আসতে পারেন। প্রথম যখন এপল আইপ্যাড বাজারে আনল, তখন কিন্তু অনেক মার্কেট এনালাইজার প্রশ্ন তুলছিলেন এর স্থায়ীত্ব আর প্রয়োজনীয়তা নিয়ে। প্রশ্ন উঠেছিলো এর ব্যবহারকারী এবং ক্রেতাদের নিয়েও। কিন্তু মাসখানেকের মাঝেই সবার সব প্রশ্নের উত্তর দিয়ে দেয় এপলের আইপ্যাড।
সেই একইভাবে আমরা স্মার্টওয়াচ বা স্মার্টঘড়ি ইন্ডাস্ট্রির উত্থান দেখছি।
আপনি হয়ত এখন প্রশ্ন করতে পারেন এই স্মার্টওয়াচ কেনো ব্যবহার করবেন? প্রশ্ন তুলতে পারেন, কি কি সুবিধা পাবেন এই স্মার্টওয়াচ এর কাছ থেকে? আপনার একটি স্মার্টফোন আছে, কেনো আপনি শুধু শুধু টাকা খরচ করবেন একটা ঘড়ির জন্য? আসুন দেখে নিই একটা ঘড়ি আপনাকে কি কি নতুন সুবিধা দিচ্ছে।
১. বহনযোগ্যতাঃ নামেই বোঝা যায় এটি একটি ঘড়ি, এবং সবচেয়ে ভালো বিষয় হচ্ছে এটি একটি হাতঘড়ি। আর একটা হাতঘড়ি কখনোই বেশি বড় আর ভারী কিছু হবে না। হাতে পরে সহযেই ঘুরে বেড়ানো যাবে।
এমনকি গোসল করার সময়ও হাতে পরে রাখতে পারেন যদি ওয়াটারপ্রুফ হয়।
২.দ্রুত সংযোগঃ আপনি আপনার হাতের এই ঘড়ির মাধ্যমে আপনার গুরুত্বপূর্ন নোটিফিকেশনগুলো পকেট বা ব্যাগ থেকে ফোন বের না করেই জানতে পারবেন, খোঁজ নিতে পারবেন।
৩. বাড়িয়ে নিন আপনার ফোন ফাংশানালিটিঃ আপনার হাতের স্মার্টফোনের অ্যাপসগুলো ছাড়াও স্মার্টওয়াচে আপনি আপনার মনের মত অ্যাপস ব্যাবহার করতে পারেন।
৪. জিপিএসঃ আপনি কি পায়ে হেটে অভ্যস্ত, নাকি সাইকেল চালান নাকি আপনার বাইক আছে? যাই হোক নতুন যায়গা খুজে নেওয়া সহজ হবে অনেক বেশি হাতের স্মার্টওয়াচের জিপিএস অপশন ব্যাবহার।
৫. সোশ্যাল নেটওয়ার্কঃ ধরুন, আপনার বান্ধবী আপনাকে গুরুত্বপূর্ন ঝাড়ি দিয়েছে, কিন্তু আপনি চেক না করলে আরো বেশি ঝাড়ি খাবার সমূহ সম্ভাবনা ।
তো আপনার ফেসবুক বা টুইটারের ম্যাসেজ জানতে পারবেন সাথে সাথেই, আর উত্তর দিন সেই সব ম্যাসেজের যা দেওয়া জরুরী আপনার স্মার্টওয়াচের মাধ্যমে।
৬. আপনি আপনার প্রয়োজনীয় কল রিসিভ করতে পারবেন আপনার হাতের ঘড়িটির মাধ্যমে কলার আইডি সহ।
৭. আপনার স্মার্ট ডিভাইসটির নিরাপত্তা বাড়বে আপনার হাতের স্মার্টওয়াচের মাধ্যমে। কিভাবে? আপনি গাড়িতে বা রিকশায় আপনার স্মার্ট ডিভাইসটি হাতে নিয়ে কথা বলার সময় বা অসতর্কতায় আপনার প্রিয় জিনিষটি হারিয়ে ফেলতে পারেন অথবা চিন্তাই বা চুরিও হতে পারে। স্মার্টওয়াচ ব্যাবহারে আপনার ডিভাইস্টি নিরাপদেই থাকবে যদিনা চোর ঘড়ি হাত থেকে খুলে নিয়ে যাবার মতো স্মার্ট হয়।
৮. তৎক্ষণাৎ একটি নাম্বার বা ঠিকানা নোট করা দরকার এমন অবস্থায় আছেন যে পকেট থেকে ফোন বের করা সম্ভব না আর সাথে কাগজ কলমও নেই। এই সময় আপনার স্মার্টওয়াচ আপনাকে পরিত্রান দিতে পারে। কারন স্মার্টওয়াচে আপনি সহযেই আপনার ছোট-খাটো নোট, টু-ডু লিস্ট, তারিখ, নাম্বার সেভ করতে পারেন।
৯. দূরে কোথাও জার্নি করছেন, কানে হেডফোন গুজে মনের আনন্দে গান শুঞ্ছেন। এমন সময় আপনার লিস্টের এমন এক গান বেজে উঠল যেটা ঠিক শুনতে চাইছেন না।
পকেট থেকে ফোন বের করতেও আলসেমী লাগছে, নো চিন্তা আপনার হাতের স্মার্টওয়াচ দিয়ে মুহুর্তেই পরিবর্ত্ন করুন গান। আসলে শুধু গান নয় আপনার ফোন বা ট্যাবলেট এর রিমোট কনট্রোল হিসেবে কাজ করতে পারে এই স্মার্টওয়াচ।
১০.ফ্যাশন প্রোডাক্ট হিসেবে স্মার্টওয়াচ অতুলনীয়। একটা স্মার্টওয়াচ আপনাকে বদলে দেবে আপনার আশেপাশের আরসব মানুষের তুলনায়। আপনি আপনার ফ্যাশনেও পরিবর্তন আনতে পারবেন হাতের রিস্ট ব্যান্ড পরিবর্তন করে খুব সহযে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।