যুদ্ধের জন্য তৈরি সেনাপতি। এতটুকু সংশয় নেই জয় নিয়ে। কিন্তু তবুও যদি পরাজয় হয়? তাহলে কংগ্রেসের সহ-সভাপতি হিসেবে তার সম্পূর্ণ দায়িত্ব মাথা পেতে নেবেন তিনি- জীবনের প্রথম টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে টাইমস নাও'কে এমনটাই জানালেন কংগ্রেসের ভাইস-প্রেসিডেন্ট রাহুল গান্ধী।
ভারতীয় রাজনীতির ধরন পছন্দ নয় রাহুলের। এই 'সিস্টেমটা বদলাতে চান তিনি।
আর এজন্য চান ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ।
তিনি বললেন, মাত্র ৫০০ জন মিলে একটা এত বড় দেশ চালায়। আরও অনেক বেশি মানুষের অংশগ্রহণ করা উচিত। বিশেষত নারী ও তরুণদের। আমি সেভাবেই দেশকে তৈরি করতে চাই।
নতুন সেই ভারতের জন্য দুর্নীতিমুক্ত, স্বচ্ছ শাসনব্যবস্থা চান রাহুল। গণতন্ত্রকে ছড়িয়ে দিতে চান দেশের কোণায় কোণায়। ছোট সমস্যাগুলো থেকে চোখ সরিয়ে আঘাত করতে চান সমস্যার গোড়ায়। এজন্য অস্ত্র হতে পারে আরটিআই বা লোকপালের মতো ব্যবস্থা, জানালেন রাহুল।
কয়েকটি বিষয় ঘুরেফিরে এসেছে সাক্ষাতৎকার জুড়ে।
যেমন: নরেন্দ্র মোদী, দাঙ্গা ও দুর্নীতি। বলেছেন নিজের কথাও। তিনি বলেছেন, আগে বুঝুন রাহুল গান্ধী কী, তার পর বাকি প্রশ্নের উত্তর দেব।
প্রশ্ন ছিল, প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হননি তিনি। তাহলে কি ভয় পাচ্ছেন সরাসরি মোদীর সঙ্গে লড়াইয়ে যেতে? উত্তরে তিনি বলেন, খুব ছোটবেলাতেই আমি আমার ঠাকুমার মৃত্যু দেখেছি।
দেখেছি বাবার মৃত্যু। কোনও কিছুকেই ভয় পাই না আমি।
ভারতীয় রাজনীতির সিস্টেম বদলানোর প্রসঙ্গে এসেছে পরিবারতন্ত্রের কথাও। রাহুল গান্ধী বলেন, আমাকে যারা চেনেন, সবাই জানেন আমি পরিবারতন্ত্রের কতটা বিরুদ্ধে। আমি তা কোনওদিন চাইনি।
এটা একটা বদ্ধ ব্যবস্থা। এই অচলায়তন ভাঙতেই হবে।
তার মানে কি তিনিও রাজনীতিতে এসেছেন সেই পরিবারতন্ত্রের ফাঁদে পড়েই? সেটা অবশ্য তিনি স্বীকার করেননি। বরং বলেছেন, হতে পারে আমার পরিবারের সঙ্গে যা হয়েছে সে জন্যই আমার ক্ষমতার প্রতি লোভ নেই।
রাহুলের কাছে সরাসরি প্রশ্ন ছিল, তথ্যের অধিকারের আওতায় রাজনৈতিক দলগুলিকে কি আনা উচিত? এক্ষেত্রে রাহুলের যুক্তি হলো, সব দল যা চাইবে তাই-ই হওয়া উচিত।
তবে ব্যক্তিগতভাবে তিনি মনে করেন, একটি ব্যবস্থা যতটা খোলামেলা হবে, ততই ভালো। তাই তিনি রাজনৈতিক দলকে এই ব্যবস্থার আওতায় আনার পক্ষপাতী। পাশাপাশি এ-ও বলেন, বিচারবিভাগ, সংবাদমাধ্যম এর বাইরে। কাজেই সর্বসম্মতভাবেই সব সিদ্ধান্ত হওয়া উচিত।
সাক্ষাৎকারের মাঝখানে প্রশ্ন এড়িয়েছেন অনেক বার।
থমকেছেন৷ তারও মধ্যে যে দু'একবার তার আত্মবিশ্বাসী কণ্ঠ শোনা গেছে। আর সেই আত্মবিশ্বাস নিয়েই জানিয়ে দিয়েছেন, দল জিতবেই।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।