আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পরিবারতন্ত্রের হালচাষ।

আমার কথা শুনিতে খারাপ লাগে তাদের..., যারা অন্যের গৌরবে গর্ভবতী আগে থেকেই। সে গর্ভবতী নর নারীদের বমি হইবার সম্ভবনা শত ভাগ। তাই সাবধানে..... :) http://shonarbangla-blog.blogspot.com/
>>( ১)এটা বানাইতে যে টাকা লাগছে তার বিন্দু পরিমান অংশ মনে অয় নিচের ছবির(২) মানুষটির ও আছে। কবরের ভিতরের মানুষ এবং এই মানুষটির পার্থক্য? >> জাতির সব স্বপ্ন নিয়ে বঙ্গবন্ধু স্বপ্নের দেশে কিন্তু দালানের মাজারের টাকার কিছু অংশ মনে অয় উপরের(২) ছবির মানুষটির ও আছে। জয় বাংলা.... কবর পূজা বা মাজার পূজা, পীর পূজা বা নেতা পূজা, দল পূজা।

পূজার কোন শেষ নাই ! এত পূজার মইধ্যে ও পরিবারতন্ত্রের পূজায় বাংলাদেশের মানুষ মহামারী ভাবে আক্রান্ত । শুধু একটা প্রশ্ন মাথার মইধ্যে ঘুরে বঙ্গবন্ধু বা জিয়াউর রহমান কি মৃত্যুর আগে ভক্তকূল কে তাহার প্রতি এবং তাহার পরিবারের প্রতি পূজা দিতে বলিয়া গিয়াছে? তবু তারা আমাদের রাম, কৃষ্ণ হয়ে গেছে । শুধু তারা রাম কৃষ্ণ হইলে তো বাঁচা যেত কিন্তু বংশ ক্রমের চানাপোনারা ও যে স্বরসতী, রাধা হয়ে গেছে । জানি দেশের নিম্ন পর্যায় থেকে মধ্য, উচ্চ পর্যায়ের এই বিশাল মনুষ্য প্রানীকূলের চিকিৎসা অসম্ভব ব্যাপার। সেইকাল থেকে আজ পর্যন্ত কোন বাংলাদেশী এই রোগের কোন টিকা আবিস্কার করতে পারে নাই ।

কত মতের কত ল্যাব অথচ আবিস্কার শুন্য । আবিস্কারের চেষ্টা হয়তো হয়েছে তবে দেবীদের পদ লেহনকারী সুশীলতার আড়ালে স্বার্থ চিন্তাকারী বুদ্ধিখোর অতি নিশি জেগে পূজাকারীরা দিনের আলোয় সত্য কে লুকিয়েছে এবং লুকিয়ে যাচ্ছে! তাতে যদি দেবীদের পরশে কিছু পাওয়া যায়। অনেক চুনোপুটি এমন লীলা খেলার পরশ পাইলো যে রাতারাতি রুই কাতল বোয়াল হয়ে গেলো । আমার কথা গুলা অতি পূজা বিদ্বেষী হইবার কোন কারন নাই! কারণ আমার জিল্লু কাহায় কইচে ওনার দেবী কোন ভুল করতে পারে না। (পা চাটতে দে দেবী..)তাহলে আমি কিভাবে বিদ্বেষী হইলাম?? অথবা রাধার ঘুমে যে গনতন্ত্র নামের পরিবারতন্ত্রের অদল বদলে নয় ছয় হলো।

সে ভুল কি রাধা পূজাকারীর দেবরেরা আজ পর্যন্ত স্বীকার করেছে? তাহলে দোষ কার? মইনের। কিন্তু জমি চাষ করেছে কে? দুই বলদ দেবী নয় কি? >> কে বাঁশি বাঁজাবে? যাই হোক আসল কথায় আসি "গনতন্ত্র" নামের শব্দটারে নিয়া এত কথা শুনেছি বা এখনো শুনি গত দুই বছর এবং ৯০য়ের সময়। আসলে কি এই দেশের মানুষ গনতন্ত্র নামের শব্দটার অর্থ বুঝে? হাঁ বুঝে ৫ বছর পর পর ভোট দিয়া আসে পরিবারতন্ত্রের বাক্সে। তারপর দেবীরা বুঝায় গনতন্ত্র কেমন ও কত প্রকার। বঙদেশের দেবীদের বিনোদন গুলা মাঝে মাঝে আমারে বড়ই আনন্দ দেয় তবে টিভি বা ফিল্ম না! এই যেমন গনতন্ত্রের মানস কন্যা! কন্যাটা হয়েছে কিন্তু অগনতান্ত্রিক পন্হার গর্ভ থেকে।

ডটার অব পিচ প্রয়োজনে মাস বছর হরতাল দেয়া হবে। শুধু ভাবি বার্মার সূ চি কেন এই রকম হরতাল দেয় না? সে কেন ডটার অব পিচ পায় না? জননেত্রী। অথচ নেত্রী খাচার মধ্যে বসে ভাষন দেয়! >> রাজ পরিবারের আর্শীবাদ। দেশ নেত্রী। যে দেশের চিন্তা না করে কোকো রহমানের চিন্তা করে।

ভাগ্য ভালো যে উনি এখন ও কোন ডক্টরেট পায় নাই। আশাকরি পাইবো লেহনকারীর অভাব নাই। আব্দুল জলিলের অনেক সমালোচানা হয়েছে, আমি ও করেছি এ ব্লগে। তবে তার প্রতি গনতন্ত্রের নামে অগতান্ত্রিক অবিচার করা হয়েছে। এক পত্র লেখিয়া আব্দুল জলিল আ.লীগের জন্য তার শত ট্রাম্পকার্ডের অর্জন ধুলোয় মিশিয়ে দিলো? শত কিছুর পরে ও সে একজন মুক্তিযোদ্ধা।

এই দেশের জন্য তার বিন্দু পরিমান অবদান হলে ও আছে। জানি সেই বিন্দু হাজার ভুল রাজনীতির ছায়ায় ঢাকা পড়েছে। কিন্তু প্রশ্ন ট্রাম্পকার্ডের সূত্র কোন দেবী তাকে দিয়েছ? পরিবারতন্ত্র তুমি সত্যেই মহান। কি বিচিত্র যৌবনে যে পদ্মাতে গর্জন হতো আজ এই কাল বেলায় ধোলাই খালের মেশিন চোরের গলায় সে গর্জন!! আব্দুল জলিল পত্র লেখার ট্রাম্পকার্ডে পরাজিত কিন্তু শেখ সেলিম সারা পৃথিবীতে রেকর্ড বাজিয়ে পুরস্কিত হইলো!!! "শেখ" দিয়ে শুরু বলে কথা। পরিবারতন্ত্র মেশিনে যা বানায় তাতে রক্ত থাকে।

আমু, তোফায়েল, রাজ্জাকতে কি আসে যায়? যদি স্বয়ং দেবী উহাদের চেয়ে উত্তম হইতেন। পরিবারতন্ত্র বলে কথা। যে কার্ডে জলিল ব্যর্থ হইয়া দু' পা কবরে দিয়া ক্রদনরত সেই কার্ডের শেষ খেলা খেলিয়া আশরাফ আজ সফল। জয় দেবী কী..। কিন্তু না উহাতে ও পরিবারতন্ত্র আছে।

অগনতান্ত্রিক ভাবে সিলেক্ট সাধারণ সম্পাদক হইয়া সিনিয়র কাদেরের স্বপ্নে বাঁশি বাজিয়ে দিলো। অথচ এই কাদের ও কিন্তু একজন মুক্তিযোদ্ধ। সকল জাগায় মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পদ ভাগাভাগির কারবার যোগ্যতায় কি আসে যায়? তবে তার যোগ্যতা কি কম? যাগ্গে পরিবারতন্ত্র নিয়া অনেক মন্ত্র পাঠ করলাম। জানি ফলাফল সেই শুন্য সংস্কারবাদ। সংস্কারবাদী আতন্কে অনেক হৃদ রোগী আজ দিশেহারা! দুই দেবীর দরবারেই সংস্কারবাদীদের লিংগ সংস্কার করা হচ্ছে।

এই যে সংস্কারের পন্হা এটা গনতান্ত্রিক? নেত্রী বিরুদ্ধীতা করা কি দল বিরুদ্ধীতা? যেখানে বিরুদ্ধীতা নাই সেখানে গনতন্ত্র নামের আজব জিনিষটা বাস করে কিভাবে? ঐ যে পরিবারতন্ত্র ভিক্টোরীয় দুই দল বিশিষ্ট রাজতন্ত্র। বাঙালীরা যেমন ছিলো তেমনই থাকতে চায় উন্নতি বা অর্জনের চেয়ে যতটুকু সম্ভব নীচুতে বাস করতে ভালোবাসে। তারা নিজেরা নায়ক হতে চায় না। স্বপ্ন দেখে না! দেবীদের স্বপ্নে নিশি জাগে! তবে নানা স্হানের কাহিনীতে পোষা নায়ক নায়িকাদের স্বপ্নের দিন বদলের নির্মিত ইশেতাহারের রুপ কথা শুনে পন্চো বছর পর পর হায় মাতাম তোলে....., সেই পরিবার। যাই হোক আল্লাহ না করুক।

হায়াত মোত উপর ওয়ালার কাছে। আজ না হোক কাল অথবা ৫ বছর না হোক ১০ বছর পরে কিন্তু ঠিকই এই দুই দেবী পরপারে যাইবেন। সেখানে অবশ্য পরিবারতন্ত্র বলে কিছু নাই । দুই দেবী রাস্তা ক্লিয়ার করবেন আশাকরি জেন্দা অবস্হায়। তবে প্রশ্ন হলো পরিবারতন্ত্রের হালচাষের রাজা রাণী কে হবে? এক রাণী, এক রাজা? নাকি দুই এ হবে রাজা? তারা যোগ্যতার কারনেই রাজা রাণী হবে।

আর পরিবারহীন জাতির এতিম সন্তানেরা বাপ রাজা না থাকার শোক পুষে লেহন করবে আজন্ম। সেই পরিবারতন্ত্রে......., জয় হোক তোমাদের। আমাদের বুদ্ধিখোর টকশোওয়ালা অতি লেহনেরকারীদের ভেজা ভেজা একটা বাণীর মর্ম কথা দিয়ে শেষ করি.... "দেশের গনতন্ত্রের জন্য পরিবারতন্ত্রের দরকার আছে। এই দেশে গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করার পিছনে জননেত্রী শেখ হাসিনা এবং দেশ নেত্রী খালেদা জিয়ার অবদান কেউ অস্বীকার করতে পারবে না!" দেবীর পা চাটাতে স্বর্গ মিলে... কস কি রে (অ)মমিনের দলেরা ? আমি যে গনতন্ত্র দেখি নি দেখেছি পাঁচ বছর পর শেখ'ময় আর জিয়া'ময়ের লেহন ,ধ্বনি শুনেছি পাঠা কন্ঠের ভ্যাঁ.. । >> এই জায়গাটার মালিক আমরা(জনগণ)।

এই দুই ম্যুরাল বানাইতে যে টাকা লাগছে তা আমাদের। ভাঙতে যে টাকা লাগতেছে তা আমাদের। খেলা তাদের.... সব কিছুর পরে এইটাই সত্য যে আমরা সেই কালে আবার ফিরে যাবো...... যেভাবে ঢেকে যাচ্ছে প্রয়োজনের চেয়ে অপ্রয়োজনীয় আবেগে বর্তমান। সব চেয়ে সুখের বিষয় "শেখ" পরিবার লেহন শেষে আজ আমাদের রমেশ, ফারুক, দীপু, আবুল হোসেন, এমপি শেখ মুজিবুর রহমান, রাজ্জাক, এবং উপদেষ্টারা আন্তর্জাতিক লেহনে ও মন দিয়েছে তাতে দুই কাজ এক সাথে হচ্ছে। টিপাই আর করিডোর।


 

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.