দিনের আলো প্রায় শেষ । হাঁটতে হাঁটতে আগ্রাবাদ মোড়ে আসলাম । পকেটে ৩ টা মোবাইল ... একটা বাসার, ঠিক করতে আনছি আর দুইটা নিজের । পকেটে হাজার খানেক টাকা নিয়ে গন্তব্য জি.ই.সি মোড়। একেকটা বাস আসে আর সবাই দৌড়ায় ।
মোড়ের large screen এ বেবি ডায়পারের এড দেখতেসি আর মনে মনে অলিম্পিকে বাঙ্গালির ব্যর্থতার কারন আনুসন্ধান করতেসি । ১০ নম্বর বাস দেখে কিছু না ভেবে উঠে গেলাম । প্রচণ্ড ভিড়ে কোন রকমে হ্যান্ডেল ধরে দাঁড়ালাম । গাড়ি ছারতেসে এমন সময় দুইটা ছেলে উঠলো, পরে উঠলো আরো ২ জন । সবার বয়স ১৫ - ১৭।
বাসে দাঁড়াই আছি আর একটু পর পর পকেটে মোবাইল, মানি ব্যাগ চেক করতেসি । টাইগার পাস আসতেই আমার পাশে দাঁড়ানো লোক বলে উঠলো , পকেটে হাত দেস কেন ? এই বলে সে পরে ওঠা একটা ছেলের হাত ধরল। ওদের দিকে তাকাতেই দেখি দুইজনই আমার গায়ের সাথে প্রায় লেগে আছে । সাথে সাথে ছেলেটা বললো, আমার মোবাইল নিয়ে গেছে , গাড়িতেই কেউ আমার মোবাইল নিয়ে গেছে । একটু ভয় পেলাম এবং নিজের পকেট চেক করলাম ।
তখন ওই ছেলের সাঙ্গ পাঙ্গ খুব চিল্লাচিল্লি করতেসে আর প্রথম জনের পকেট চেক করতেসে, যেন সেই চোর। নিজের একটু অস্বস্তি লাগতেছিল, ছেলেটা ছিল আমার পাশে । পকেট চেক করে যদি তিনটা মোবাইল পায়, তাহলে আর কথা বলা লাগবেনা... মাইর একটাও মাটিতে পরবেনা। বাসের অন্য কাউকে খুব একটা চিন্তিত মনে হল না। ছেলেগুলা অন্য কাউকে চেক ও করল না।
পরের স্টপেজেই নেমে গেল। ওদের কাজ দেখে পুরাই স্পিকার হয়ে গেলাম...
ছেলেগুলো নেমে যাওয়ার পর বাসের কন্ট্রাক্ট্রর বললো আসল কথা। এই ছেলেগুলা পকেটমার। একজন পকেট কাটে। সে ধরা পরলে, উল্টা victim কেই আক্রমন করে পরিস্থিতি পরিবর্তন করে।
অন্য ছেলেগুলো ওকে সমর্থন দিতেই বাসে ওঠে।
বঝেন অবস্থা... সাবধানে থাকবেন... শুভ রাত্রি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।