নিরন্তর সত্যের উপর পথ চলি, দুমড়ে মুচড়ে দেই সব বাধা!
সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদকে কথায় কথায় মহামান্য মহামান্য বলতে বলতে মুখে থুবরী উঠানোর লোকের সেদিন অভাব ছিল না। অথচ যেদিন তার পতন হলো সেদিন থেকেই তাকে স্বৈরাচার বলার লোকের সংখ্যাও যেন রাতারাতি দ্বিগুন তিনগুন হয়ে গেল। তারপর দাবী উঠলো রাষ্ট্রপতি সহ কাউকে আর মহামান্য বলা যাবে না, এখন থেকে মাননীয় বলতে হবে। হয়তো মহামান্য কথাটা একজন মানুষকে আরো বেশী স্বৈরাচার হতে সাহায্য করে।
একজন ভালো ও অতি সাধারন বলে খ্যাত এ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদ সাহেব এখন দেশের রাষ্ট্রপতি হয়েছেন।
তিনি মহামান্য হন অথবা মাননীয় হন তাতে 'কই ফারাক নেহী পরতা!' কিন্তু তাই বলে তাঁর কাছ থেকে মানুষ কিছু সাহসী ও সত্য কথাই আশা করে। এরশাদ যেমন বুঝতে পারেন নাই যে মহান আল্লাহ তাঁকে সেনাবাহীনি প্রধান করেছেন, দেশের রাষ্ট্রপতি করেছেন তারপর তার আর সত্যিই চাওয়া পাওয়ার কিছু ছিল না। সাইকেল চালিয়ে সিএমএলএ সচিবালয়ে যাওয়ার যে শুরুটা তিনি করেছিলেন সেটা যদি আন্তরিকভাবে চালিয়ে যেতেন তাহলে দেশের ও তার নিজের অনেকে বড় উপকার হতো।
মাননীয় রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের কাছেও মানুষের সে রকমটাই প্রত্যাশা। তিনি রাষ্ট্রপতি হয়েছেন আর কি চাই! এবার তিনি আর কোন দলের নন।
আর কোন 'মূলা' তার সামনে নেই। তাহলে কেন তিনি বললেন, এবারের নির্বাচন সুস্ঠ হয়েছে। তিনি কি করে বলেন, "বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও ৫ জানুয়ারির নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ হয়েছে। এই প্রথমবারের মতো কোনো নির্বাচন একটি সরকারের অধীনে হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
"???
দেশের সর্বোচ্চ পদে আসীন কোন মানুষ যদি এভাবে অসত্য উচ্চারন করেন, তাহলে নীতি নৈতিকতার বালাই আর থাকে কোথায়?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।