যে জীবন ঘাসফড়িঙের, যে জীবন রঙিন প্রজাপতির, ঐ জীবন পেলে মন্দ হতো না।
-এই যে শুনুন, আমি কিন্তু পাখি হয়েই গেলাম শেষ পর্যন্ত! এখন আয়নায় নিজেকে খুঁটিয়ে দেখছি, খুব কি বাজে দেখতে আমি?
-পাখি কেন এই অসময়ে? আর আমি কি করে বলব আপনি কেমন? আমি তো আপনাকে দেখিনি কখনোও।
-এইটাই তো মজা। যখন তখন যা মনে চায় তাই হয়ে যাবো। রাত বিরেতে পেঁচা হয়ে গান গাইব।
আর আমি দেখতে কেমন আপনাকে জিজ্ঞেস করিনি। বলেছি আমি নিজেই আয়নায় দেখে ভাবছি, "খুব কি বাজে দেখতে আমি?"
-ওহ্। কিন্তু, এখন তো পাখিদের ঘুমের সময়।
-পেঁচা রাতে ঘুমায়?
-না, ঘুমায় না।
-তাহলে?
-কিছু না।
-আমি পেঁচা হবো। তবে হুতুম পেঁচা নাকি কালপেঁচা তা এখনও বুঝে উঠতে পারিনি। আচ্ছা, লক্ষ্মীপেঁচা হলে কেমন হয়?
-আপনি লক্ষীপেঁচা।
-কি করে বুঝলেন?
-হুম, কিছুটা তো জানতেই হয়।
-লক্ষ্মীপেঁচা কিন্তু ট্যারা হয়।
আমি কি ট্যারা? উঁহু। একদম না
-তাতে সমস্যা নেই ওটা লক্ষীটেরা। আপনিও লক্ষীট্যারা।
-উঁহু। আমি ট্যারা না।
আমার চোখ একদম ঠিক।
-আচ্ছা, তাই? আমার লক্ষীট্যারা ভালো লাগে তো তাই বলেছিলাম।
-হুম। তাই।
-কিছু মনে করবেন না যেন।
আমি রোদ্দুর হবো,গাছ হবো; পাখি হবোনা।
-আমি কিন্তু পাখিই থাকবো। কোনও এক ঝাপানো গাছের ডালায় জেঁকে বসে ভোরের রোদ্দুর গায়ে মাখিয়ে রাতের আলসেমি দূরে ঠেলে দেবো। কান পেতে বাতাসের গান শুনবো। ভোরের বাতাস গাছের পাতায় কাঁপন তুলে আমাকে ভৈরবী শুনাবে।
ভোরের রোদ্দুরের আহ্লাদী উত্তাপ নিতে নিতে আর বাতাসের গান শুনতে শুনতে গাছের ডালায় পাতার বিছানায় সুখনিদ্রায় নিজেকে সঁপে দেবো।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।