ফাঁসির আদেশ দেওয়ায় ক্ষোভে বিচারককে অভিশাপ দিলেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুত্ফুজ্জামান বাবর। অন্যদিকে রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন বলে জানালেন ফাঁসির দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত অপর আসামি সাবেক শিল্পমন্ত্রী ও জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামী।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চট্টগ্রামের বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক এস এম মজিবুর রহমান অস্ত্র চোরাচালান মামলায় মতিউর রহমান নিজামী, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুত্ফুজ্জামান বাবরসহ ১৪ জনকে ফাঁসির আদেশ দেন। এছাড়া অস্ত্র আটক মামলার দুটি ধারায় এই ১৪ জনকে যাবজ্জীবন ও সাত বছর করে কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়।
রায়ে ক্ষুদ্ধ হয়ে লুত্ফুজ্জামান বাবর বলেন, এই বিচারে আমি ন্যায়বিচার পাইনি।
এই বিচারকের পরও বিচারক আছেন। তিনি আল্লাহ। আখের রাতে আমি সেই বিচারকের কাছ থেকে ন্যায়বিচার পাবো।
যারা অস্ত্র এনেছিলেন তাদের বিচারও দাবি করেন তিনি। এ সময় তার কাছে জানতে চাওয়া হয়, অস্ত্রগুলো কারা এনেছিল? এর জবাব তিনি এড়িয়ে যান।
তিনি বলেন, আমাকে অন্যায়ভাবে জড়ানো হয়েছে। এটি সাজানো রায়।
অন্যদিকে, রায় ঘোষণার পর অনেকটা শান্ত দেখায় সাবেক শিল্পমন্ত্রী ও জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামীকে। রায়ের পর তিনি বলেন, আমার প্রতিক্রিয়া আমার আইনজীবী দেবেন। এ আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করব।
যে রায় দেওয়া হয়েছে তা অন্যায়ভাবে দেওয়া হয়েছে।
অস্ত্র চোরাচালান মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া অন্য আসামিরা হলেন- ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন উলফার সামরিক কমান্ডার পরেশ বড়ুয়া, সাবেক শিল্পসচিব নুরুল আমিন, প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) সাবেক মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আবদুর রহীম, পরিচালক উইং কমান্ডার (অব.) সাহাব উদ্দিন আহাম্মদ, উপপরিচালক মেজর (অব.) লিয়াকত হোসেন, এনএসআইয়ের মাঠ কর্মকর্তা আকবর হোসেন খান, সিইউএফএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মহসিন উদ্দিন তালুকদার, মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) কে এম এনামুল হক, হাফিজুর রহমান, দীন মোহাম্মদ ও হাজি আবদুস সোবহান।
এদের মধ্যে পরেশ বড়ুয়া ও নুরুল আমিন পলাতক। হাজি আবদুস সোবহান জামিন ছিলেন। তবে আজ আদালতে হাজির ছিলেন।
অস্ত্র চোরাচালান মামলায় ৩৮ জন খালাস পেয়েছেন। আসামি ছিলেন ৫২ জন।
অস্ত্র আইনের মামলায় একই ১৪ আসামিকে ১৯ (এ) ধারায় যাবজ্জীবন এবং ১৯ (সি) ধারায় ৭ বছর কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে। এই মামলায় খালাস পেয়েছেন ৩৬ জন। আসামি ছিলেন ৫০ জন।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।