৪৯তম বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় দিন আজ শনিবার। ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বে আজ ভোরে মৃত্যু হয়েছে আরও দুই মুসল্লির। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইজতেমায় লাশের জিম্মাদার আদম আলী। এই নিয়ে ইজতেমায় শীতজনিত কারণে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ছয়জনে। এছাড়া দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে আরও এক মুসল্লির।
তাদের নামাজের জানাজা ইজতেমা মাঠে ফজরের নামাজের পর অনুষ্ঠিত হয়।
বৃহস্পতিবার রাতে শীতজনিত রোগে নিহতরা হলেন- নোয়াখালী বেগমগঞ্জ উপজেলার মৃত সাদু মিয়ার ছেলে নূরে আলম (৬৫), মাগুরা জেলার সালিকা থানার হাজরা হাট গ্রামের মিয়াজান সরকারের ছেলে তোজাম্মেল সরকার (৭২), কুমিল্লা দেবিদ্বারের আব্দুল লতিফ (৭৫) ও গোপালগঞ্জের আব্দুর রব (৭৫)।
শুক্রবার সকালে গাড়ির ধাক্কায় নিহত হেদায়েত উল্লাহর (৭০) বাড়ি নোয়াখালী সদর উপজেলার বাটিকটেক গ্রামে।
রোববার আখেরি মোনাজাত ও শেষ পর্বে অংশ নিতে শনিবার সকাল থেকেই হাজার হাজার মুসল্লি ভিড় করছেন টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে।
শুক্রবার ফজরের নামাজের পর ভারতের মুরব্বি মাওলানা মো. ইসমাইল হোসেন বয়ানের মধ্য দিয়ে ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের আনুষ্ঠানিকতা শুরু করেন।
জুমার নামাজে লাখ লাখ মুসল্লি জামাত ও মোনাজাতে অংশ নেন। এতে দেশ, জাতির শান্তি কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়। পরে আমবয়ান, জিকির, ওয়াজ শুরু হয়। শনিবার ফজরের পর থেকে শুরু হয় জিকির, বয়ান, ওয়াজ ও বিশেষ মোনাজাত। ভোর থেকেই ইজতেমাস্থল টঙ্গী শহর ও এর আশপাশের এলাকা মুসল্লিদের ভিড়ে জনসমুদ্রে পরিণত হয়।
তীব্র শীত উপেক্ষা করে আল্লাহর নৈকট্য লাভের আশায় রাজধানী ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে ইজতেমা মাঠের দিকে ঢল নেমেছিল টুপি-পাঞ্জাবি পরিহিত লাখ লাখ মুসল্লির। সবার মুখে আল্লাহর জিকির।
তুরাগ তীরের চারপাশে যেদিকে চোখ যায় সেদিকেই দেখা যাচ্ছিল সাদা পাঞ্জাবি আর টুপি পরিহিত মানুষের ভিড়।
এদিকে, আখেরি মোনাজাতকে কেন্দ্র করে ইজতেমায় নেওয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা। রোববার দ্বিতীয় পর্বের আখেরি মোনাজাতে ভিআইপি, ভিভিআইপিরাও অংশ নেবেন।
আখেরি মোনাজাতে বিশ্ব মুসলিমের সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করা হবে। সেই সঙ্গে বাংলাদেশের জন্যও দোয়া করা হবে। মোনাজাতে বিদেশি মেহমানসহ কয়েক লাখ মুসল্লি অংশ নেবেন। বয়ান শেষে মোনাজাতে আমিন আমিন ধ্বনিতে ইজতেমা মাঠের বাতাস মুখরিত হয়ে যায়।
আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষে টঙ্গী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন বলেন, দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমা সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে সরকারের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
ইজতেমায় আসা মুসল্লি, উত্তরাবাসী, বিমানযাত্রী, ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি, অ্যাম্বুলেন্স ছাড়া অন্য সব যানবাহনের চালকদের বিমান বন্দর সড়কের পরিবর্তে মিরপুর-সাভার সড়ক ব্যবহার করতে বলা হয়েছে।
ঢাকা মহানগরে যেসব মুসল্লি পায়ে হেঁটে ইজতেমায় আসবেন তাদের হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর গোলচত্বর আজমপুর-আব্দুল্লাহপুর হয়ে টঙ্গীসেতু দিয়ে না গিয়ে তুরাগ নদীর ওপর নির্মিত ভাসমান সেতু অথবা কামারপাড়া সেতু ব্যবহার করতে হবে। এছাড়া বিভিন্ন এলাকার যানবাহনের জন্য পৃথক স্থান পার্কিংয়ের জন্য নির্দিষ্ট করা হয়েছে।
২৪, ২৫ ও ২৬ জানুয়ারি বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। ৩১ জানুয়ারি দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয়েছে।
২ ফেব্রুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে বিশ্ব ই
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।