শনিবার সকাল ৭টা থেকেই আবাসিক হলগুলো থেকে কয়েক হাজার শিক্ষার্থী মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ভবনের ফটকে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে। ক্যাম্পাসের টুকিটাকি চত্বরে জড়ো হতে শুরু করেছে মিছিলগুলো।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন তারা। প্রয়োজনে আরো কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে।
এই দাবিতে বৃহস্পতিবারও ধর্মঘট চলে, যে কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ে সেদিন কোনো ক্লাস-পরীক্ষা হয়নি।
সেদিন শিক্ষকদের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের বাক-বিতণ্ডাও হয়। ঘটেছে হাতবোমা বিস্ফোরণও।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ক আয়তুল্লাহ খোমেনী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অনৈতিক সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আমাদের এই আন্দোলন। ”
“একটি মহল বিভিন্নভাবে আন্দোলনকে নস্যাৎ করার পাঁয়তারা করছে। তবে আমরা সজাগ রয়েছি।
”
সকাল ১১টায় প্রশাসন ভবন ঘেরাও করে সেখানে সমাবেশ করবেন বলেও জানান খোমেনী।
এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মিজান উদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবি নিয়ে আলোচনা করার জন্য প্রশাসন সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছে। আমরা চাই, শিক্ষার্থীরা শান্ত হোক। ”
ফি বাড়ানো ও সান্ধ্যকালীন কোর্সের বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত জানিয়ে তিনি বলেন, এককভাবে এই বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত তিনি নিতে পারছেন না। এনিয়ে আলোচনা করতে হবে।
সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিকবিজ্ঞান, আইন ও কলা অনুষদের সান্ধ্যকালীন মাস্টার্স কোর্স চালু ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষাসহ বিভিন্ন ফি দুই থেকে পাঁচ গুণ পর্যন্ত বাড়ানো হয়।
এরপর গত ১৬ জানুয়ারি থেকে এর বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে শিক্ষার্থীরা। ‘বর্ধিত ফি ও সান্ধ্যকোর্স বিরোধীশিক্ষক-শিক্ষার্থীবৃন্দ’ ব্যানারে এই আন্দোলন বৃহস্পতিবার ধর্মঘটে গড়ায়।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।