এখনো আছি
দুই হাত জোড় করে মাফ চাই ,মাফকরে দিয়েন।
“মাফ চাওয়ার মতো কিছু হয়নি,তুই ভাল থাকিস “
অনেক জ্বালা দিছি,জানিনা পারব কিনা,বাট ট্রাই করব ।
“পারবি”
দোয়া করবেন
“জাহিদ এভাবে বিদায় নেয়া যায়নারে বাবু,তুই নরমালি থাকতি এক্সপেক্টেশনটা শুধু ফ্রেন্ডলি ওয়ে থাকত,ভাল থাকতি । ”
কিন্তু আমি তো পারতেছিনা,প্রবলেম হয় অনেক ।
চলে যদি যাবি দূরে স্বার্থপর
আমাকে কেন জোছনা দেখালি
হবি যদি নাও ভাসিয়ে দেশান্তর
পাথরের বুকে ফুল কেন ফোটালি
আমারই সীমানায় সে তো তোর ছায়া
সেখানে করে বিচরণ দুঃখের নিবাস
রাখিস কি খবর
তোর আঘাতেই জমে গেছে
নীল আকাশের জমিনে নীল বেদনা।
জানি না কোন প্রহরে হয়েছিলো যে পরিচয়
কি পেলাম কি হারালাম সে তো এক সংশয়
নীরব এ আড়াল থেকে করেছি যে সব পরিণয়
সেই তুমি হারালে ঠিকই সেকি নয় বিষ্ময়
আমারই সীমানায় সে তো তোর ছায়া
সেখানে করে বিচরণ দুঃখের নিবাস
রাখিস কি খবর
তোর আঘাতেই জমে গেছে
নীল আকাশের জমিনে নীল বেদনা।
আঁধার এর অন্তরালে বসে যতবার ভেবেছি
শূণ্যতারই হাহকার একাকী শুনেছি
তোমারই আঁখি পটে আকাশের নীল দেখেছি
সে তো বিবর্ণ হবে কখনো ভাবিনি…
গানটা কেনো জানি জীবনের সাথে মিলে গেছে!!!জানিনা সামনে কি আছে!কোনো করূণা পাওয়ার জন্য লিখতে বসিনি । বেশি প্রত্যাশাই ভুল ছিল আমার । কিন্তু এইভাবে শেষ চাইনি । সুন্দর একটি মূহুর্তের মাধ্যমে হয়ত সমাপ্তের দাগ দুটো দিতে পারতে ।
২দিন আগে যখন চেয়েছিলাম আমি,তুমি বললা,”এইভাবে হয় না,আরো ২বছর আমার সামনে থাকবি, এভাবে চাইলেই চলে যাওয়া যায়না । ”
অনেকক্ষণ কথা হল,বললাম দেখো সামনে ২জনেরই পরীক্ষা ,আর আমি আরো তোমার প্রতি দূর্বল হয়ে পড়ছি, এরকম একটা সময়ে যদি তুমি হঠাৎ করে একদিন যোগাযোগ অফ করে দেও,তখন আমার কি হবে??
“জাহিদ ,ও আমার কাছে নাইরে,হারায় ফেলছি ,আমার ভালবাসা শেষ, প্রেমে পড়ে আমাদের দুজনের অবস্থাই খারাপ ,দুজনে ফেসে গেছি । ”
জানিনা আমি কিছু,আমি তোমাকে চাই
‘ওকে পড়াশোনা শেষ করে আমার বাসায় যা,তারা পারমিট করলে আমি যাব”
ততদিন কি থাকবা আমার জন্য,জাস্ট এটা কনফার্ম কর?
“কই থাকব?”
আমার জন্যে?
“আমি প্রেম করতে পারবনা তোর সাথে ,আমার বিয়ে হতেও লেট হবে,তুই বের হয়ে যদি বাসায় ম্যানেজ করতে পারিস দেন হবে । আর তোকে ভালবাসব কিরে,পিচ্চি একটা!!!”
তোমার প্রেম করা লাগবেনা,আর তোমার বাসা আমি ম্যানেজ করব । এটাতো আমি আগেও বলছি ।
আর জাস্ট আমার ২-১টা কথা শুনবা ,তাতেই আমি খুশি । আর দেখ আর পিচ্চি বলবানা,নেক্সট মানথ থেকে জীম কনটিনিউ করব
“হা হা হা ,আচ্ছা বাবা ঠিক আছে ,এখন যা পড়তে বস,নয়তো ঘুমা । ”
১৪ তারিখের কথা ছিল এগুলো । ১৭ তারিখ থেকে এক্সাম । কিন্তু ১৬ তারিখ সকাল থেকে তোমার খোজ নাই!!নাই নাই নাই ।
ফেসবুকে মেসেজ দিলাম রেসপন্স নাই,মোবাইলে দিলাম তাও নাই,ভাবলাম হয়ত হলে আছো,তাই এতো সকালে ঘুম ভাঙেনি,কিন্তু দুপুর ১২টার পরে মেসেজের রিপ্লে যখন পাই,“পরে বলি?”
আচ্ছা সারাদিন পর এইরকম একটা সময়ে যে বললা ,“জাহিদ আমি আর তোমার সাথে পারবনা,যোগাযোগ অফ করে দাও। ”
আমার জায়গায় নিজেকে বসিয়ে কখনো কল্পনা করছ??তুমি কি করতা এরকম একটা কথা শোনার পর??
অনেক কিছু বলছি,কারণ আমি এরকম একটা পরিস্থিতির মুখোমুখি দাড়াতে চাইনি । এর জন্যই আমি ২দিন আগে তোমাকে এত করে বললাম,বুঝালাম । কিন্তু যা ক্ষতি তা আমার হয়েই গেল” ।
তোমাকে যখন প্রশ্ন করলাম তাহলে ২দিন আগেই কেন আমাকে যেতে দিলনা?তুমি বললা“তোমাকে সান্ত্বনা দেয়ার জন্য!!!!”
তাহলে আজ কে আমাকে সান্ত্বনা দেবে??কে পাশে দাড়াবে???কে বোঝাবে আমাকে???
এই প্রশ্নগুলোর উত্তর না তুমি কখনো দিতে পারবানা ।
এরকম কিছু যখন হইছে তাহলে আমিও বা বসে রইবো কেন??আমাকেও তো তোমাকে ছাড়া বাচতে হবে তাইনা???ভুলতে হবে তাইনা??২দিন আগে চলে গেলে হয়ত তোমার কথা খুব মনে হত,কল বা মেসেজ দিতে চাইতাম । কিংবা সকাল হলেই চলে যেতাম ফ্যাকাল্টিতে বা তোমার হলের সামনে । কথা বলতে চাইতাম বা তোমাকে লুকিয়ে লুকিয়ে দেখার চেষ্টা করতাম অথবা হাটতে হাটতে তোমার পিছু পিছু হল পর্যন্ত চলে যেতাম ।
কিন্তু না !!!!এখন আর সেই রকম কিছু্ই হয়না । আমি হয়ত স্বার্থক ।
হয়ত অনেকটাই গুটিয়ে নিয়েছি । অনেকটাই বললাম এই কারণে হয়ত পুরোপুরি পারিনি । মাঝে মাঝে হয়ত ভাবি কেউ আমাকে কল দিবে বা ছোট্ট একটা টেক্সট আসবে মোবাইলে “কিরে কি করিস??”
জানি তা আর হবেনা । হয়ত ক্যান্সারের রোগীর মতো একদিন এ্ই আশাটাও শেষ হয়ে যাবে । হারিয়ে যাবা তুমি,হারাবে তোমার প্রতি আমার অনুভূতি ।
এখন হয়ত তোমার ছায়া না মাড়ানোই আমার জন্য উত্তম,তাতে হয়ত পুরোপুরি ভুলতে পারব। কখনো তাই সামনে আসতে চাইনা । একি জায়গায় যেহেতু দুজনেরই ক্লাস তাই হয়ত সামনে চলে আসতে হয় । কিন্তু আশা করি আর কিছু দিন পর তোমার সামনে আসলেও হয়ত আগের মত পুরোনা অনুভুতি আমাকে আর দূর্বল করতে পারবেনা ।
------আমার সবটুকু বিশ্বাস যে দিয়েছে ভেঙ্গে
তাকে কৃতজ্ঞতা জানাই
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।