দূর্বোধ্যতা নয়, প্রাঞ্জলতা বা সহজবোধ্যতাই হোক রচনার ধর্ম ।
পরীক্ষার হল শুধু আতঙ্ক কিংবা সাফল্যের মূলমন্ত্র প্রয়োগের জায়গাই নয়, বিনোদনের জায়গাও বটে । একটা ঘটনা বলি-
আন্তর্জাতিকমানের প্রস্তুতি নিতে গিয়ে পরীক্ষা শুরুর মাত্র এক মিনিট আগে হলে প্রবেশ করেছি । সিট পড়েছে ইলেকট্রিক্যাল ল্যাবে, সিট প্ল্যান অনুযায়ী এক টেবিলে দুইটি আলাদা বিভাগের দুইজন বসবে ।
দরজা দিয়ে প্রবেশ করে সারা রুম ঘুরেফিরে শেষে দেখি দরজার সামনেই সিট! আইসসালা! সাথে মেয়েও আছে ।
এইবার কোন কল্পকাহিনী নয়, মেয়েতো আধুনিক সুন্দরী!
লক্ষ করলাম আমি মেয়েকে দেখে যেমন আনন্দিত, মেয়েও আমাকে দেখে খুশি (!) তার চোখেমুখে উত্তেজনার ছাপ স্পষ্ট, তবে তার যথার্থ কারণ খুঁজে পাইনি ।
আমি কিছু বলে উঠার আগেই জানতে চাইলো আমি কোন বিভাগের । অন্য বিভাগের শুনে মুহুর্তেই আনন্দ পরিণত হলো বিষাদে!
আমি আবার যেচে জানতে চাইলাম, ‘কোন ডিপার্টমেন্ট?’ (একটু ভাব জমানোর ইচ্ছে আরকি!)
উত্তরে সে বিভাগ বললো বাড়তি বললো ‘এইটথ সেমিস্টার । ’ আমি সিক্সথ, সে এইটথ-এই বিষয়টাই কী পরিষ্কার করতে চাইলো?
ভাবতে ভাবতে আমি ততোক্ষণে প্রশ্নের উত্তর লেখা শুরু করে দিয়েছি । দু’একবার ভেবেছি, দুই সেমিষ্টারের সিনিয়র কোন বিষয় না ।
কথা বাড়াবো না, ঘটনায় চলে যাই-
মেয়ে সামনের জনকে পরীক্ষার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যেই পরিমাণ স্মরণ করেছে, তাতে সেই ছেলের নাম আমার মুখস্থ হয়ে গেছে!
ছেলেও সিরিয়াস ভাব নিয়ে বলছে, তোমারে দেখাইলেও তুমি পাশ করতে পারবানা । আমারে লেখতে দ্যাও প্লিজ!
হলে ফিসফিস করে কথা বলাও অন্যায়, এইবার মেয়েটি অল্পবয়সী পরীক্ষকটির সাথে ভাব জমানোর চেষ্টা করছে! (হাতে সময় অফুরন্ত, কী আর করবে!)
তাদের কথোপকথন দিয়ে লেখা শেষ করছি ।
-ম্যা’ম, আপনার বাড়ি কী সাতক্ষীরা?
-কেন?
-না মানে, কথা শুনে ওরকম মনে হলোতো...।
-তোমার বাড়ি সাতক্ষীরা?
-না, আমার শ্বশুর বাড়ি সাতক্ষীরা ।
জল্পনাকল্পনার অবসান এখানেই ।
আমার পরীক্ষাটা অবশ্য ভাল হয়েছিল, নইলে আরেকটি হতাশার গল্প লেখা হতেও পারতো!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।