সিরিজ হার এড়াতে হলে অবশ্য মঙ্গলবার জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে শুরু হওয়া দ্বিতীয় টেস্টে জিততেই হবে স্বাগতিকদের। আর এ জন্য ব্যাটসম্যানদের ওপরই ভরসা করছেন অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম।
আগের ম্যাচের বাজে পারফরম্যান্সেও ব্যাটসম্যানদের ওপর আস্থা হারাননি অধিনায়ক। তার দৃঢ় বিশ্বাস, ব্যাটসম্যানরা আরেকটু দায়িত্ব নিয়ে খেললে আকর্ষণীয় লড়াই হবে চট্টগ্রাম টেস্টে।
“ব্যাটসম্যানদেরই এই টেস্ট নিয়ন্ত্রণ করতে হবে, আশাকরি আমরা সেটা পারবো।
”
এ জন্য টপ অর্ডারের কাছ থেকে একটা ভালো শুরুর প্রত্যাশা করছেন মুশফিক।
“শুরুতে কোনো উইকেট না হারালে পরের স্পিনাররাও খুব একটা সুবিধা করতে পারবে না। ”
বাংলাদেশ দলের অনুশীলনের ফাঁকে প্রধান নির্বাচক ফারুক আহমেদ জানান, দ্বিতীয় টেস্টে খেলা হচ্ছে না মার্শাল আইয়ুব ও রবিউল ইসলামের।
ঢাকায় প্রথম ইনিংসে ৪০ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ৫০ রানে সাজঘরে ফিরেছিলেন প্রথম তিন ব্যাটসম্যান। প্রত্যাশা অনুযায়ী খেলতে না পারায় বাদ পড়ছেন তিন নম্বর ব্যাটসম্যান মার্শাল।
তার জায়গায় দলে ফিরছেন ইমরুল কায়েস, ২০১১ সালের অক্টোবরে শেষ টেস্ট খেলেছিলেন তিনি। এর আগে ইনিংস উদ্বোধন করলেও এবার তিন নম্বরে ব্যাট করবেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।
কব্জির চোটের কারণে খেলা হচ্ছে না পেসার রবিউলের। তার বদলে বাঁহাতি স্পিনার আব্দুর রাজ্জাক ও অলরাউন্ডার মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের যে কোনো একজন খেলবেন বলে জানিয়েছেন মুশফিক।
অবশ্য পেসার রুবেল হোসেন বাদ দিয়ে এমনিতেই একজন স্পিনার খেলানোর কথা ছিল।
রবিউলের চোটের কারণে প্রথম টেস্টের ব্যর্থতা ঘোচানোর সুযোগ পেলেন রুবেল।
ঢাকায় তিন পেসার নিয়ে খেললেও চট্টগ্রামে স্পিনেই নির্ভরতা খুঁজছেন মুশফিক।
“চট্টগ্রামে শেষ টেস্টে সোহাগ, সাকিব ভালো করেছিল। চট্টগ্রামে উইকেট একটু স্পিন সহায়ক হয়ে থাকে। আশা করি আমাদের মূল শক্তি স্পিন স্বরূপে ফিরবে এবং সাফল্য পাবে।
”
চট্টগ্রামে শেষ টেস্টে শতক ও হ্যাটট্রিকের অনন্য কীর্তি গড়েছিলেন অফস্পিনার সোহাগ। তারপর থেকে সময়টা ভালো কাটেনি তার। তবে মুশফিক আস্থা হারাননি।
চোটের কারণে খেলা হচ্ছে না শ্রীলঙ্কার অভিজ্ঞ স্পিনার রঙ্গনা হেরাথ ও পেসার সামিন্দা এরাঙ্গার। তবে তাতেও অতিথিদের শক্তির খুব একটা হেরফের হবে বলে মনে করেন না মুশফিক।
শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসের কণ্ঠেও একই সুর। “কাল হেরাথ এরাঙ্গা খেলবে না এনিয়ে আমাদের কোনো দুশ্চিন্তা নেই। দুবাইয়ে এক টেস্ট খেলা নুয়ান প্রদীপও উইকেট পেয়েছেন। আমাদের বেঞ্চও বেশ শক্তিশালী। ”
স্পিন সহায়ক উইকেটে অজন্তা মেন্ডিসের উপস্থিতি তাকে যোগাচ্ছে বাড়তি নির্ভরতা।
“ক্যারিয়ারে সবারই খারাপ সময় আসে। সময়টা মেন্ডিসেরও ভালো যাচ্ছিল না। তবে তিনি ভালো বোলিং করেছেন এবং নিজেকে ফিরে পেয়েছেন। ”
প্রথম টেস্টে আশাতীত সহজ জয়ের পরও ম্যাথিউসের ধারণা দ্বিতীয় টেস্টে লড়াই করতে পারে বাংলাদেশ।
“বাংলাদেশের হারানোর কিছু নেই।
ওরা দৃঢ়ভাবে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করবে। আমাদের সেই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে হবে। এটা ওদের নিজেদের কন্ডিশন। আর ওরা ঘরের মাঠে ভালো খেলে। ওদের কাছ থেকে শক্ত চ্যালেঞ্জ আসবে ধারণা করছি।
এখন শ্রীলঙ্কা অধিনায়কের ‘প্রত্যাশিত’ চ্যালেঞ্জ মুশফিকরা ছুড়ে দিতে পারলেই হয়।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।