আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

‘মোদির স্ত্রীর স্বীকৃতি না পেয়ে কষ্ট নেই’

সেই ১৭ বছর বয়সে বিয়ের পর তিন বছরের সংসার ফেলে চলে যাওয়া মোদি আর কোনো যোগাযোগ না রাখায় কোনো দুঃখ নেই বলেও জানিয়েছেন গুজরাটের অবসরপ্রাপ্ত এই শিক্ষিকা।    

ভারতের ইংরেজি দৈনিক ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে এই নারীর নাম প্রকাশ করা হয়েছে এক শব্দে- যশোদাবেন। অবসরে যাওয়ার পর ৬২ বছর বয়সী এই নারী পশ্চিম গুজরাটের এক গ্রামে ভাইয়ের সঙ্গে বসবাস করছেন।

এনডিটিভি লিখেছে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী পদে বিজেপির প্রার্থী নরেন্দ্র মোদি (৬৩) কখনোই বিয়ের কথা স্বীকার করেননি।

মোদির জীবনী লেখক নিলাঞ্জন মুখোপাধ্যায়ের মতে, আগামী মে মাসের নির্বাচন সামনে রেখে জনমত জরিপে শক্ত অবস্থানে থাকা মোদি হয়তো রাজনীতির সিড়ি বেয়ে ওঠার পথ খোলা রাখতেই বিয়ের বিষয়টি গোপন রেখে এসেছেন।

রাষ্ট্রীয় শ্যামসেবক সংঘ আরএসএসের শীর্ষে পৌঁছানোর জন্য মোদির সামনে অবশ্য আর উপায়ও ছিল না, কেননা কট্টর হিন্দু জাতীয়তাবাদী ওই সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের ব্যক্তিগত অনেক বিষয়েই কড়াকড়ি মানতে হয়।

নিলাঞ্জন মুখোপাধ্যায় অবশ্য মনে করেন, যশোদাবেনের সঙ্গে মোদির বিয়ে হলেও তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক ছিল না।  

 

সাক্ষাৎকারে যশোদাবেন বলেন, বিয়ের তিন বছরের মাথায় মোদি তাকে ছেড়ে যান, আর কখনো তিনি যোগাযোগ করেননি।

মোদির কাছে স্ত্রীর স্বীকৃতি না পেয়ে কোনো কষ্ট নেই বলেও জানিয়েছেন এই সাবেক শিক্ষিকা। তিনি বলেন, “আমি জানি, একদিন সে প্রধানমন্ত্রী হবে।

যশোদাবেনের বিশ্বাস, ‘নিয়তি ও দুঃসময়’ মোদিকে ওই আচরণ করতে বাধ্য করেছে।  

“এরকম পরিস্থিতিতে তাকে অনেক কিছু করতে হয়, অনেক মিথ্যাও বলতে হয়। ”  

২০০৯ সালে একটি সাপ্তাহিক পত্রিকা যশোদাবেনকে খুঁজে বের করে, তখন তিনি একটি স্কুলে পড়ান। সে সময় সাক্ষাৎকার দিতে অস্বীকার করে যশোদাবেন বলেছিলেন, তার ক্ষমতাধর স্বামীর বিষয়ে তিনি ‘ভীত’।  

অবসর নেয়ার পর মাসে ১৪ হাজার রুপি ভাতায় চলছে সাবেক এই শিক্ষিকার জীবন।

সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, মোদি তাকে সব সময় পড়ালেখা চালিয়ে যেতে বলতেন। অল্প দিনের হলেও সময়টা তাদের সুখেরই ছিল।

“আমাদের মধ্যে ঝগড়া হতো না। তিনটা বছর আমরা একসাথে ছিলাম, কিন্তু মনে হয় যেন তিনটা মাত্র মাস। ”

এখনও মোদিকে নিয়ে যেখানে যা কিছু পান, এক নিঃশ্বাসে পড়ে ফেলেন যশোদাবেন।

তবে মোদি কখনো ফোন করবেন- এমন আশাও তিনি আর দেখেন না।


সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.