ইন্দিরা গান্ধীর পর প্রণব মুখোপাধ্যায়কে প্রধানমন্ত্রী করা উচিত ছিল বলে মন্তব্য করলেন ভারতীয় জনতা দলের (বিজেপি) নেতা ও প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নরেন্দ্র মোদী। আজ বুধবার কলকাতার ব্রিগেড ময়দানে জনচেতনা সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন। মোদী বলেন, ১৯৮৪ সালে ইন্দিরা গান্ধী মারা যাওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী হওয়া উচিত ছিল প্রণবদার। কারণ তিনি ছিলেন সবচেয়ে অভিজ্ঞ। অথচ রাজীব গান্ধীকে প্রধানমন্ত্রী করা হয়।
এমনকী, প্রণবদাকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভাতে পর্যন্ত নেওয়া হয়নি। তিনি বাঙালি বলে এই অবিচার হয়েছে। বাঙালির স্বাভিমানকে যারা এভাবে হেলাফেলা করে, সেই কংগ্রেসকে জবাব দিন এবার। ওদের মুছে দিন এই রাজ্য থেকে। তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রকে বলেছিলেন, তিন বছরের জন্য ঋণে সুদ মকুব হোক।
হয়নি। কেন্দ্রে যদি বিজেপি ক্ষমতায় আসে, তা হলে বাংলা সহায়তা পাবে। তখনই আসবে আসল পরিবর্তন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রাজ্যে কাজ করতে দিন। আমি বাংলার জন্য দিল্লিতে বসে কাজ করব।
আর রাষ্ট্রপতি ভবনে প্রণবদা বসে আছেন। উনি তো আপনাদের নিজেদের লোক। উনি সহায়তা করবেন। আপনাদের তা হলে তিনগুণ লাভ হবে। পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যাতে বিজেপি-বিরোধী কোনও জোটে না যান, সেই জন্যও বার্তা দিয়েছেন মোদী।
নরেন্দ্র মোদী বলেন, গুজরাত-মহারাষ্ট্র এত এগিয়ে। দেশের পূর্ব অংশ নয় কেন? কারণ এখানে তথাকথিত তৃতীয় মোর্চার আধিপত্য ছিল ও রয়েছে। তৃতীয় মোর্চার অর্থ হলো তৃতীয় শ্রেণীতে পড়ে থাকা। সেটাই হয়েছে। অভিযোগ করে মোদী বলেন, বাংলায় এক সময় লক্ষ্মী-সরস্বতীর আরাধানা একসঙ্গে হতো।
আজ বাংলা লক্ষ্মীহীন হয়ে পড়েছে। এই অবস্থার জন্য ৩৪ বছরের বাম শাসন দায়ী। অবস্থার পরিবর্তন হবে যদি রাজ্যের ৪২টি লোকসভা আসন থেকে বিজেপি প্রার্থীদের জিতিয়ে আনা যায়। যতবার বাঙালি ভাবাবেগ নিয়ে নরেন্দ্র মোদী কথা বলেছেন, ততবার ব্রিগেড মুখরিত হয়েছে 'মোদী, মোদী' ধ্বনিতে। এ অবস্থা দেখে মোদীও তার বক্তৃতা শেষও করেন সেই বাঙালি ভাবাবেগকে মাথায় রেখে।
তিনি বলেন, গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছিলেন, চিত্ত যেথা ভয়শূন্য উচ্চ যেথা শির। আমিও সেই মন্ত্রে বিশ্বাস করি। আসুন, ভয়শূন্য হই। দেশকে বাঁচাতে পরিবর্তন আনি দিল্লিতে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।