বুধবার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় দাঁড়ান আওয়ামী লীগের এই যুগ্মসাধারণ সম্পাদক।
দশম সংসদ নির্বাচনে কুষ্টিয়া-২ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হানিফ বলেন, আইন সভায় আসতে ১৯৯৬ সাল থেকে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি।
“৯৬ সালে নতুন প্রার্থী এবং সাংগঠনিক দুর্বলতার কারণে জয়ী হতে পারিনি। ২০০১ এ চক্রান্তের কারণে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায় আসে। ”
“২০০৭ সালে আমাকে নিজ আসন থেকে সরিয়ে কুষ্টিয়া-১ আসনে মনোনয়ন দেয়া হয়।
ওই সময় আমার আসন জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনুকে দেয়া হয়। সেই নির্বাচন বাতিল হয়। এ কারণে আমি এটাকে অর্ধেক নির্বাচন ধরি। ”
“২০০৮ সালে জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনুর জন্য আমাকে প্রার্থিতা ছেড়ে দিতে হয়েছে। এজন্য আমি এটাকে সিকিভাগ ধরছি।
আর এবার আমি কুষ্টিয়া-২ আসন থেকে জয়ী হয়েছি। ”
অধিবেশনে সভাপতিত্বকারী ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া প্রথমবারের মতো সংসদে আসা হানিফকে আলোচনার জন্য ২০ মিনিট সময় দেন।
বক্তব্য শেষ না হওয়ায় তাকে পাঁচ মিনিট সময় বাড়িয়ে দেয়া হলে হানিফ আরো সময় চেয়ে বলেন, “আমি আমার নেত্রীর কথা বলেছি।
বিরোধীদলীয় নেত্রীর সম্পর্কে বলতে হবে। বিএনপি নেত্রীর কথা বলতে আমি চিফ হুইপকে বলেছিলাম আধাঘণ্টা সময় দিতে। অনেক সাধনার পর নির্বাচন করে সংসদে এসেছি। ”
এরপর এই আওয়ামী লীগ নেতা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সমালাচনা করে বলেন, “বিএনপি হুমকি দিয়ে জাতিকে বিভ্রান্ত করছেন। ”
এক পর্যায়ে ডেপুটি স্পিকার সময়ের বিষয়ে মনোযোগী হলে হানিফ বলে উঠেন, “ঘড়ির দিকে তাকালে কথা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে মাননীয় স্পিকার।
”
হানিফ এসময় ১০ ট্রাক অস্ত্র নিয়ে খালেদা জিয়া, তার ছেলে তারেক রহমানের সমালোচনা করেন।
পাঁচ মিনিট সময় শেষ হওয়ার পর ডেপুটি স্পিকার আরো দুই মিনিট সময় দেন হানিফকে। তিনি আরো সময় চাইলেও তা আর পাননি।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।