আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ফিরোজ কীভাবে সাংসদ পদে, জানাতে চায় আদালত

এক রিটের প্রাথমিক শুনানি করে বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও মো. হাবিবুল গণির বেঞ্চ সোমবার ওই আদেশ দেয়।

আইনের ‘কোন কর্তৃত্ববলে’ আ স ম ফিরোজ সংসদ সদস্য পদে রয়েছেন- তা জানাতে চাওয়া হয়েছে ওই রুলে।

আসম ফিরোজ, জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সচিব, নির্বাচন কমিশনের সচিব, আইন সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরোর পরিচালক, সোনালী ব্যাংকের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক, ওই ব্যাংকের বৈদেশিক বিনিয়োগ শাখার উপমহাব্যবস্থাপক, পটুয়াখালী জুট মিলসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, সংশ্লিষ্ট এলাকার রিটার্নিং কর্মকর্তাকে চার সপ্তাহের মধ্যে এর জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আদালতে আবেদনকারী পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রফিক-উল হক। তার সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার এবিএম সিদ্দিকুর রহমান খান ও ব্যারিস্টার এম মাইনুল ইসলাম।

রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মোখলেসুর রহমান।

বাউফল পৌরসভার মেয়র জিয়াউল হক জুয়েল েহাই কোর্টে এই রিট আবেদন করেন।

আবেদনে বলা হয়, মনোনয়নপত্র দাখিলের চার দিন আগে ২৭ নভেম্বর ঋণ পুনঃতফসিল করেন আ স ম ফিরোজ। বাংলাদেশ ব্যাংক পরদিন তা অনুমোদন করে। ফলে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ১২ (এম) ধারা অনুসারে তিনি সংসদ সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার যোগ্য নন।

“গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে মনোনয়নপত্র দাখিলের অন্তত ৭দিন আগে খেলাপি ঋণ পুনঃতফসিল করতে হয়। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরোর তথ্যমতে ২৬ নভেম্বর পর্যন্ত তিনি খেলাপি ছিলেন। ”

সিদ্দিকুর রহমান খান আদেশের পর সাংবাদিকদের বলেন, ওই সময় প্রার্থী হতে চাওয়া অন্য এক ব্যক্তি এ নিয়ে আপত্তি তুলেছিলেন। তবে সেই আপত্তি আমলে নেননি রিটার্নিং কর্মকর্তা।

আইনজীবী এম মাইনুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আইন অনুসারে কোনো ঋণ তিনবারের বেশি পুনঃতফসিল করা যায় না।

অথচ ফিরোজের ওই ঋণ এ নিয়ে মোট আটবার পুনঃতফসিল করা হয়েছে।

“এই পুনতফসিলে সোনালী ব্যাংক ১৩ কোটি ৫১ লাখ ৮২ হাজার ৬৪ টাকা মওকুফ করে। এখনো সেখানে তার ২০ কোটি ৪০লাখ ২৩ হাজার ২১৩ টাকা ঋণ রয়েছে। ”

এ নিয়ে পাঁচবার পটুয়াখালী-২ আসন থেকে সাংসদ নির্বাচিত হওয়া আ স ম ফিরোজ রাজনীতিতে আছেন কলেজ জীবন থেকেই। তিনি প্রথমবার সংসদে আসেন ১৯৭৯ সালে, জিয়াউর রহমানের বিএনপি সরকার তখন ক্ষমতায়।

১৯৮৬ সালে তৃতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে বিজয়ী হলেও পরে আওয়ামী লীগে যোগ দেন ফিরোজ। পঞ্চম, সপ্তম ও নবম সংসদেও তিনি সদস্য নির্বাচিত হন।

গত শুক্রবার বিকালে নিজ এলাকায় এক সংবর্ধনায় ক্রেস্টের বদলে নগদ টাকা চেয়ে সমালোচনার মুখে পড়েন দশম সংসদের প্রধান হুইপ।  

ওইদিন তিনি বলেন, “আগামীকাল দলীয় কার্যালয়ে সকাল ৯টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত বসব। যদি কেউর উপঢৌকন দেয়ার ইচ্ছা থাকে, তবে আর এই ক্রেস্ট না।

ক্যাশ চাই, ক্যাশ চাই। ”

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পরে তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, নিজের জন্য নয়, দলের জন্য টাকা চেয়েছেন তিনি।


সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.