আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পাহাড়ে স্ট্রবেরি চাষের উজ্জ্বল সম্ভাবনা

পাহাড়ে টসটসে, রসালো, মিষ্টি ফল স্ট্রবেরি চাষের উজ্জ্বল সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। তামাক চাষ থেকে চাষীদের ফিরিয়ে আনতে পাহাড়ের মাটিতে স্ট্রবেরি চাষের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে রাঙামাটি জেলা কৃষি সমপ্রসারণ অধিদপ্তর সহযোগিতায় উদ্যোগী হচ্ছে জেলা পুলিশ বিভাগ। রাঙামাটি সুখী নীলগঞ্জ এলাকায় পুলিশ বিভাগের বাগানের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে গড়ে তোলা হয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির ফলজ, বনজ, ঔষধীসহ বিভিন্ন গাছের বাগান। এসব মিশ্র ফলের গাছের পাশাপাশি বাড়ানো হয়েছে স্ট্রবেরি চাষ। উৎপাদিত স্ট্রবেরি দেখে আকৃষ্ট হচ্ছে স্থানীয় চাষীরা।

কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের সূত্রে জানা যায়, সাধারণত যেসব এলাকায় শীত বেশি পড়ে ও বেশিদিন শীত থাকে সেসব এলাকায় স্ট্রবেরি চাষ করা যেতে পারে। যেমন: পঞ্চগড়, রংপুর, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও এমনকি পাবনা, নাটোরেও স্ট্রবেরি চাষ করা হয়। তবে দেশীয় আবহাওয়া, মাটি ও পরিবেশের ভারসাম্যকে কাজে লাগিয়ে পাহাড়ের মাটিতে সঠিকভাবে চাষাবাদের মাধ্যমে স্ট্রবেরির উজ্জ্বল সম্ভাবনাকে কাজে লাগানো সম্ভব। এতে করে স্থানীয় চাষীরা আর্থিকভাবে লাভবান হবে।

রাঙামাটি সদরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আশরাফুজ্জামান জানায়, রাঙামাটি কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাদের পরামর্শে ও পুলিশ বিভাগের সুষ্ঠু তত্ত্বাবধানের কারণের সুখী-নীলগঞ্জ এলাকায় স্ট্রবেরির চাষ করা সম্ভব হয়েছে।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি পাহাড়ে কৃষির সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে সামাজিক দায়িত্ব হিসেবে দেখছে রাঙামাটি পুলিশ বিভাগ। তিনি বলেন, ২০১২ সালে ছোট একটি বাগান থেকে আমরা স্ট্রবেরির বাগান শুরু করেছি। সেখান থেকেই চারা তৈরি করে এবার স্ট্রবেরি চাষটা বাড়ানো হয়েছে। ফলনও ব্যাপক হয়েছে। কারণ বাংলাদেশের মধ্যে রাঙামাটির মাটি খুবই উর্বর।

তাছাড়া স্ট্রবেরির বাজার মূল্য খুবই ভালো। তাই পাহাড়ে তামাক চাষ কমাতে কৃষিবিভাগ সহযোগিতায় স্ট্রবেরি চাষে কৃষকদের উৎসাহিত করা হচ্ছে।

রাঙামাটি জেলার কাপ্তাই রাইখালী কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান কর্মকর্তা ড. হারুনুর রশীদ জানান, সুখী নীলগঞ্জ এলাকায় পুলিশ বিভাগের বাগানে স্ট্রবেরির উৎপাদন ভালো হয়েছে। যে ফলন পাওয়া গেছে তা অবাক করার মতো। এ সম্ভাবনাকে কাজে লাগানো গেলে রাঙামাটিতে স্ট্রবেরি চাষ ব্যাপকভাবে প্রসারিত করা সম্ভব।

তাছাড়া স্থানীয় চাষীরা যদি পদ্ধতিগতভাবে স্ট্রবেরি চাষাবাদ শুরু করলে ভালো ফলন পেতে পারে।

এ ব্যাপারে রাঙামাটি জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক নরেশ চন্দ্র বারই জানায়, রাঙামাটি কৃষি কর্মকর্তার সহযোগিতায় জেলা পুলিশ বিভাগের নিজেদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় গড়ে তোলা স্ট্রবেরির বাগান সফলতা এনেছে। এ সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে পারলে স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে  তা বাইরেও রপ্তানি করা সম্ভব। রাঙামাটির ৪টি উপজেলা এ কার্যক্রমের আওতায় আনা হয়েছে। পাহাড়ের মাটিতে স্ট্রবেরি চাষের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে আরো উদ্যোগী হচ্ছে রাঙামাটি কৃষি বিভাগ ও জেলা পুলিশ বিভাগ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।