রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে পুলিশের সঙ্গে সন্ত্রাসীদের হঠাৎ 'বন্দুকযুদ্ধে' দুই যুবক নিহত হয়েছেন। এরা হলেন সালাউদ্দিন (৩৫) ও জুয়েল ওরফে হিমেল (২৭)। গতকাল বিকালে সূতিখাল পাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। হঠাৎ গোলাগুলিতে ওই এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়।
আতঙ্কগ্রস্ত মানুষ ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ করে বসে থাকেন।
এ ঘটনা সম্পর্কে দুই ধরনের বক্তব্য পাওয়া গেছে। পুলিশের দাবি, সালাউদ্দিন চিহ্নিত সন্ত্রাসী। জুয়েল তার সহযোগী। সালাউদ্দিন গ্রুপের সঙ্গে পুলিশের বন্দুকযুদ্ধে এরা দুজন নিহত হন।
স্থানীয়দের দাবি, এ দুজনকে পুলিশ দুপুরে গ্রেফতার করেছিল। পরে তাদের গুলিবিদ্ধ লাশ পড়ে থাকে খালপাড়ে।
ময়নাতদন্তের জন্য লাশ দুটি স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশের ওয়ারী বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) ইলিয়াস শরীফ দাবি করেন, সূতিখাল পাড় এলাকার একটি গলিতে সালাউদ্দিনসহ কয়েকজন সন্ত্রাস কর্মকাণ্ডের উদ্দেশ্যে বৈঠক করছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ তাদের গ্রেফতারে অভিযান চালায়।
টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। পুলিশও আত্দরক্ষার্থে গুলি ছুড়লে 'সন্ত্রাসী' সালাউদ্দিন ও তার সহযোগী জুয়েল নিহত হন। এ ঘটনায় যাত্রাবাড়ী থানার দুই এসআই ও এক কনস্টেবল আহত হয়েছেন। গোলাগুলির পর লাশের পাশে পড়ে থাকা একটি পিস্তল ও একটি রিভলবার উদ্ধার করা হয়েছে। ডিসি ইলিয়াস আরও জানান, নিহত সালাউদ্দিন এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী।
তার নামে যাত্রাবাড়ী থানায় ৭টি মামলা রয়েছে। এর প্রতিটিতেই তিনি প্রধান আসামি। এর মধ্যে ৩টি মামলায় তিনি সাজাপ্রাপ্ত। কয়েক দিন আগে সালাউদ্দিন জামিনে বের হয়ে আসেন। এদিকে নিহতদের পরিবার ও স্থানীয় বিভিন্ন সূত্রে দাবি করা হয়েছে, গতকাল দুপুরে যাত্রাবাড়ীর কাজলা নয়ানগর থেকে ওই দুজনকে গ্রেফতার করা হয়।
পরে তাদের নিয়ে অস্ত্র উদ্ধারের নামে পুলিশ সূতিখাল পাড় বালুর মাঠে যায়। সেখানে তাদের গুলি করে হত্যা করা হয়। যাত্রাবাড়ী থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম জানান, তারা দুজনই বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।