সকল পরিবর্তনের সাথে আমি ছিলাম। আবারও এসেছি সেই পরম সত্য নিয়ে। তোমাদের মনের মাঝেই লুকিয়ে আছে সেই মহাকালের শক্তি। আজ তাকে জাগাবার দিন এসেছে।
বাংলাদেশের ত্রুটিপূর্ণ শিক্ষা ব্যবস্থায় যারা বড় হয়েছি তারা ম্যানেজমেন্ট কে হিউম্যানিটিজ অথবা বিজনেস স্টাডিজ এর একটি সাবজেক্ট বলেই জেনে এসেছি।
আবার যারা ম্যানেজমেন্ট এর উপর অনার্স মাস্টার্স করে চাকুরী ও ব্যবসা করছেন তারাও ম্যানেজমেন্ট এর কৌশলে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় গুলো এরিয়ে গিয়ে অপরিপূর্ণ ম্যানেজমেন্ট এর জ্ঞান থাকায় নিজের মেধাকে ভালো করে কাজে লাগাতে পারছি না। এ দোষ আমাদের না। এ দোষ কার তা খোঁজার মতো সময় আমাদের হাতে নেই। এখন শুধু এগিয়ে যাবার সময়।
বন্ধু! ম্যানেজমেন্ট এমন একটি বিষয় যা জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে দরকার হয়।
আর এই দরকারের জীনিস গুলো বেগুন তরকারীর মতো অগুণ (গুনহীন) মনে করে আমাদের কাছে দেয়া হয়নি তা কিন্তু না। বরং বিদেশী ও বাংলাদেশের কিছু স্বাধীনতার চেতনার সাথে বেঈমানী করা মানুষজন আমাদের ম্যানেজমেন্ট জ্ঞান থেকে দুরে রেখে তাদের ফায়দা লুটেছে। আজ আমরা যদি বেগুন ও হই তাতেও অসুবিধা নেই। বেগুন সব তরকারীর সাথে মিশে ভারো সাদ উপহার দিতে জানে। আবার বেগুন যদি একা থেকেও জীবনের দুখঃ কষ্টের মতো গরম তেলে পুরে পুরে তরকারী হয়ে ওঠে তাও অনেক মজার বা স্বাদ যুক্তই হয়।
যারা আমাদের ম্যানেজমেন্টাল নলেজ থেকে দুরে রেখেছিলেন তারাই আজ ভুলে গেছে যে ম্যানেজমেন্ট এমন এক বিদ্যা যা জীবনের প্রতিটা ক্ষেত্রে সময়ের সাথে আপগ্রেড করে নিতে জানতে হয়। যারা এই আপগ্রেশন সিস্টেম না জেনে নিজেদের পরিপূর্ণ করে ভাবতে শিখেছে তারাই মূলত অকেজো হয়ে গেছে।
আমরা ম্যানেজমেন্ট সাবজেক্ট পাই নি ঠিকই তবে এর কিছু পার্ট আমাদের শিক্ষা জীবনে এসেছিলো যেমন, সময়ের মুল্য, সততা, ডিসেপ্লিন, তাকওয়া ও আমাদের ব্যাক্তিগত জীবনের সব বাজে/ভালো অভিজ্ঞতার সমন্নয়। এই দুর্বলের কাছে এই জ্ঞানটুকুই বা কম কিসে।
আমরা এখন শুধু নিজেদের একটু আপগ্রেশন করে নেবো।
দেখবেন তাতেই সুবিধার অন্ত থাকবে না।
“আমরা সবাই বাঙালী” এটা আমাদের রাস্ট্রের সবমানুষের জন্য বড় একটি এ্যাডভানটেজ। এই এ্যাডভানটেডটি অনেক জাতির পেতে হলে ম্যানেমেন্টের উপরে অনেক কিছুর মিথ্যে স্তর মিশিয়ে তারপর পরিবেশন করতে হয়।
আমাদের এই “আমরা সবাই বাঙালী” বোধটি সত্যিকারের এ্যাডভানটেজ আল্লাহ আমাদের দিয়েই এই সুন্দর বাংলাদেশে জন্ম দিয়েছেন। যে শিক্ষা আল্লাহ্ তরফ থেকে নেয়ামত আকারে রহমতের বৃষ্টির মতো আর্বিভূত হয় মানুষ তার ক্ষতি করার মতো সাহোস কোথা থেকে পাবে বলুন? আসুন আজ আমরা আমাদের জীবন থেকে পাওয়া সব শিক্ষাকে কাজে লাগিয়ে ঐ রহমতের বৃষ্ট্রিতে ভিজে ভিজে এই বাংলাদেশ কে তার আদি সমৃদ্ধিশীল রূপ ফিরিয়ে দিয়ে নিজেরা শান্তিতে থাকি এবং পুরো বিশ্বকে সত্য ও শান্তির জ্ঞান উপহার দেই।
আমাদের দেশে ৪টি বিষয় নিয়ে আমরা খুব বেশী টেনশন করি।
আর তা হলোঃ
১। আমলা তান্ত্রীক জটিলতা
২। সেশন জট
৩। ছাত্র রাজণীতি
৪।
দূর্ণীতি
এখানে আমাদের মনে রাখতে হবে যে, এ চারটি সমস্যার একসাথে সম্বনয় করা সম্ভব শুধু একটি কথার মাধ্যমে, আর তা হলো “ম্যানেজমেন্টার গ্যাপ”। তার মানে সঠিক ও কল্যানকর ব্যবস্থাপনার বিপরীত শব্দ মাত্র। এই ম্যানেজমেন্টাল গ্যাপ কে যদি আমরা পজেটিভ করতে পারি, শুধু এটুকু হলেই হবে। সাথে করে অন্যান্য পরোক্ষ সমস্যা গুলোর সমাধান বোনাস হিসেবে আমাদের কাছে প্রতিষ্ঠিত হয়ে উঠবে।
আল্লাহ্ না করুন, যদি আজ আমাদের সমস্য ম্যানেজমেন্টাল গ্যাপ না হয়ে মেন্টাল গ্যাপ হতো তাহলে আমরা এমন সুন্দর সাবলিল ভাবে পুরো বিশ্বকে চ্যালেঞ্জ করার মতো যোগ্যতা রাখতাম না।
আজ আমাদের চিন্তার কোনো কারন নাই। আমরা সবাই বাঙালী, আমরা খাদ্যে সয়ংসম্পূর্ন এবং একটি সুন্দর প্রকৃতির উজার করে দেয়া সম্পদশালী একটি দেশ। এর চেয়ে বড় আশির্বাদ আর কিই বা লাগে আমাদের আজ মাথা উচুকরে দাঁরাবার জন্য। আমরা মোটেও দুর্বল না। মনে করবেন এতকাল আমরা বসে ছিলাম।
আজ আমাদের খারাপ-মন্দ সমস্যা থেকে মুক্ত হবার জন্য দাঁড়ানোর দরকার প্রয়োজন বোধ করছি বলে, কিছিদিন দাঁড়িয়ে হেটে হেটে হাশি মুখে দেশের সমস্যকে নিজের সমস্যা মনে করে দূর করে তারপর আবারও বসে যাবো। এবার বসলে সবাই একসাথে বসে থাকবো না। এবার বসলে আগের মতো ভুল আর হতে দেবো না এই প্রতিজ্ঞা নিয়ে আমাদের আমরাই পাহারা দিয়ে রাখবো। আমাদের সম্পদ আমরাই দেখে রাখার ক্ষমতা রাখি।
আমাদের এই অগ্রগতির পথে প্রধান বাঁধা যা যা ছিলো তার মধ্য প্রায় আজ সবই আমরা উত্তোরন করতে সক্ষম হয়েছি।
আমাদের নেত্রীত্বের সমস্যা ছিলো আজ তা নাই। বাংলাদেশের প্রতিটা গ্রামের প্রতিটা বাড়ীর ছেলেপান তার আপন বলে নিজ বাড়ীর নেত্রীত্ব দেয়ার ক্ষমতা রাখে। এটুকু হলেই হলো।
আমাদের আজ অনেক বেশী বিশ্বাসের অভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে। এই বিশ্বাসের মধ্যে নিজের আত্মবিশ্বাস কে নিজের মধ্য উপবব্ধি করতে পারিনি বলে অন্য বাঙালি বন্ধু হওয়া স্বত্তেও শ্রত্রু বলে বিশ্বাস করে ছিলাম।
আজ আমরা যখন বুঝেছি যে আমরা সবাই সবার কল্যানের জন্য কাজ করছি। এখন আর কেউ আমাদের সহজ, সরল ও সুন্দর মনের সুযোগ নিয়ে কুবুদ্ধি, কুটনীতি, কৃমিনালী ও জেনারেশন গ্যাপের মতো বাজে বিষয়ের চাল দিয়ে বিশ্বাস ঘাতক বানানোর মতো যোগ্যতা রাখেন না। একজন বাঙালী এখন থেকে শুধু একজন সৎ বাঙালীকেই ভয় করবে, আদর্শ মনে করবে এবং উভয়ে উভয়ের সাথে বন্ধত্বভাব বজায় রাখবে। আজ এমন অসম্ভব রকম সুন্দর, নির্ভিক ও রঙ্গীন বসন্ত ক্ষণে আমরা আমাদের সবাই সবার বাঙালী ভাই, বোন, আত্নীয় স্বজন ও সবার হাতে এমন করে শক্ত বন্ধুত্বের রাখী পরিয়ে আপন ভাববো যে সয়ং আজরাঈল সাহেবও আমাদের কাছে আসতে অনুমুতি ভিক্ষা চাইবে। এটাই সর্বকালের সব ধর্মেরই প্রধান ও পবিত্র শিক্ষা।
আমাদের বাঙালীদের মতো হাটতে, বসতে, খেতে খেতে, কাজে অকাজে, ভালো সময়, খারাপ সময়, ভরা পেটে, খালি পেটে এমন কি চরম দূর্দিনেও এতো এতো প্রবাদ বাক্য অন্য কোনো জাতির মুখ থেকে বেড়োয় না। তার মধ্যে একটি আছে নিজ “ভালো যার সব ভালো তার” । আমরা এই কথা হাট-বাজারে বলে এসেছি কিন্ত কাজে লাগাই নি। আজ কাজে লাগাবো। দেখবেন নিজে ও দেশ তো ভালো হবেই তার সাথে সাথে এই মহাবিশ্বও আমাদের কদমবুচি করবে।
এই হোক আমাদের পবিত্র অঙ্গীকার ও স্বপথ।
বাংলাদেশ সরকার ও আমাদের দেবতাসম জাতীর পিতা মুজিব কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও জানেন ও স্বীকার করেন যে সরকারী কর্মকর্তারা বেতন সময়ের দাবির তুলনায় কম পান। আমাদের দেশের দূর্নীতি কমার তালে তালে আপনাদের এই দূর্দশাও আর থাকবে না। এ বিশ্বাস সব সময় অন্তরে রাখুন। আমরা বাঙালী, আমরা বেঈমান না।
আমরা কথা দিয়ে কথা না রাখার কষ্ট বুঝি।
মানুষের জীবনে এমন এমন পরিস্থিতি আসে যখন তিনি সব বোঝেন কিন্তু করার থাকে না। আমাদের প্রবিন সকল রাজণীতিবিদদের জীবনে বার বার এই বোধটি এসেছিলো। আমাদের মনেও এসেছিলো। কিন্তু পরিবেশ পরিস্থিতি ও বিদেশীদের ভলে ভরা লোভের ফাঁদে হাটতে গিয়ে আমরা আসলেই খুব বেশী বন্দি ও নিজ মনে একাকীত্ব অনুভব করে গিয়েছিলাম।
মানুষের শরীরে আঘাত লাগলে পাঁচ জন দেখে, কিন্তু মনে আঘাত থাকার পরেও কাউকে জানাতে না পাড়ার কষ্ট যে কতো ভয়াবহ হয় তা, আমরা আমাদের নিজের অন্তর দিয়েই অনুভব করতে জানি।
আমরা এমন পরিবেশ পর্যন্ত পেয়েছিলাম যে, একজন গুরুজনের সত্য কথাকেও নীতিকথা নামক জঞ্জাল মনে হতো। আজ যখন আমরা আমাদের নীতিকে নিজের মনের মধ্যে জাগাতে পেরেছি আজ কেউ উপদেশ না দিলেও আমাদের পথ নিজেরাই করে নেবো। আমাদের বাবা, মা আমাদের মুখে হয়তো ভালো ভালো খাবার দিতে পারে নি তারপরও এটুকু অন্তত বলেছে “বাবা তুই সৎ পথে থাকবি :: মিথ্যা বলবি না :: কারও মনে জেনেশুনে আঘাত দিবি না”। আজ হয়তো সময়ের বাঁকে আমাদের জীবনের সবচেয়ে মুল্যবান সম্পদ বাবা, মা পরজগতে চলে গেছেন ঠিকই ঐ কথাগুলো আজ এতো সত্য যে, কোটি কোটি টাকার চেয়েও তাদের ঐ অমর বাণী প্রতিষ্ঠিত করার প্রত্যয় নিজের থেকেই অনুভব করেছি।
আমরা জানি ও মানি চোর, ডাকাত, লুটেরা, বদমাস, খুনি ও অসৎ মানুষ হয়তো অনেক মন্দ কাজ করতে পারে কিন্তু বাবা-মায়ের সাথে বেঈমানী করতে পারেন না। এটা যদি করতে জানতেন তাহলে আজ এই সভ্যতাই বিলীন হয়ে যেতো। আল্লাহ্ ‘র আরশ কেঁপে প্রলয় শিখার দূর্যোগে সবাইকে ভেনীস করা দেয়া হতো। একজন ডাকাত কখনও ডাকাত হতে চায় না, যদি না তার জীবনে টাকা, সম্পদ, প্রেমের টানের অভাব না হয়। এই বাজে অভাব যখন এক জাতি নিজের সম্রাজ্য বিকাশের মিথ্যে মায়ায় অন্য জাতির উপর জোড় করে ঠেলে দেয় তখন সেই সমাজে দেবদূত থাকলেও তারাও যে লুটেরা হয় যায়।
মরে যান না। মৃত্যু এতো সহজ কথা না। যখন আমার ঘরে আমার বাবা, মা থাকবেন কিন্তু খাবার থাকবে না, অন্যরা চেয়ে চেয়ে হাত নাচিয়ে কথা বলবে তখন কোনো সুস্থ্য মস্তিস্কের সন্তান তার বাবা, মায়ের আহার যোগানোর জন্য হলেও খাবার কেড়ে এনে খাওয়াবে। এটাই আল্লার সৃষ্টি মায়া মমতা। যার কেউ নেই তার আল্লাহ থাকেন কিন্তু অন্যের সহযোগীতা ছাড়া মানুষ বাঁচতে পারে না।
কে এমন বুক খুলে মাথা উচু করে বলতে পারবেন যে, আমি জীবনে সব পেয়েছি। আমাদের জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে আমরা মারি নি বিদেশীরা মেরেছেন। সেই স্বজন হারানো পরম স্বজন শেখ হাসিনা কেনো আজো আমাদের মাঝে বেঁচে আছেন? তিনি তো এক হিসেবে ২১শে আগষ্ট মারাই গিয়েছিলেন। আবারও সেই প্রবাদ-বচন চলে আসে, “রাখে আল্লাহ্, তো মারে কে”। আজ আমরা জাতির পিতা কেনো নিজের পিতা, পিতামোহদেরকে কষ্ট দেয়ার ঋণও তুলে নেয়ার যোগ্যতা রাখি।
কিন্তু আমরা হত্যার বদলে হত্যা না করে মাফ করে দেবো। এই ক্ষমার ফলে আগামী প্রজন্ম শিখবে। তারা ভালো হবে। পিতা মাতা তার সন্তানের অমঙ্গল চাইতে জানেন না। কিন্তু যারা বিদেশীদের প্রলোভন ফাঁদে পা দিবে বা ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করবে তাদের প্রয়োজনে পায়ের নিচে ফেলে পিশে মেরে ফেলতে দিদ্ধাবোধ করবো না।
এই হোক আমাদের পথচলার মঙ্গলবাতি।
ম্যানেজমেন্টের চেইন অব কমান্ড ও স্ট্রাকটার ঠিকঠাক ভাবে মজবুত করাতে হলে আমাদের কিছুটা কৌশলী হতে হবে। আমরা A টু Z ম্যানেজমেন্ট কমান্ড করবো। A টু Z পাশাপাশি Z টু A রিপোর্ট ও সংগ্রহ করবো। এটাই মূলত আসল সিস্টেম।
তাতে সবার সম্পর্কে সঠিক জনপ্রিয়তা, সততা ও নেত্রীত্ব গুন পাবো।
আমাদের পি.এস.সি. আমাদের গভমেন্ট সারভেন্ট স্টাফদের কখনও সঠিক ট্রেনিং করায় নি। এটা ট্রেইনারদের ব্যার্থতা না বরং বিদেশীদের কৃমিনালীর স্বীকার।
একটি দেশের চেইন অব কমান্ড স্ট্রাকচারে আঘাত হানা মানে সরকার কে বিপদের জন্য সব সময় যাতে কৌশলে ফল পেতে পারে সেই ব্যবস্থা খোলা রাখা। কোনো সরকারই যদি আগে তা বুঝতো তাহলে এমনিতেই ঠিক করে ফেলার চেষ্টা করতেন।
আমাদের গভমেন্টস্টাফদের মধ্য অন্যায্য গ্রুপিং কিন্তু শুধু রাজণীতির দূর্বলতার জন্য আসে নি। রাজণীতিবিদদের তার ক্ষমতা স্বায়ী করার জন্য খেলা খেলতে হয় তার ফাঁক দিয়েই বিদেশীরা রাজণীতিবিদদের যাতে আজিবন খেলার পুতুল করে রেখে ব্লাক মেইলিং করে রাখতে পারে তার জন্য এই সিস্টেম খুব কৌশলে এক্সিকিউশন করে রাখার হয়।
বাংলাদেশের অনেক বুদ্ধিমান মানুষ হয়তো এ সম্বন্ধে ভালো করেই জানেন। আমাদের গভমেন্ট স্টাফদের মধ্যে সি.ভি.আই কিন্তু আমরা তৈরি করি নি। সেই হাবির ব্যাংক কিংবা তার পিছনের ইতিহাসের দিকে তাকালেও কিন্তু একই জিনিস চোখে পরবে।
এই পলিসি সর্বপ্রথম ইউজ করেন বৃটিশরা। এপ্লাই ও করেন বৃটিশরা। এজন্যই এই পলিসিকে যারা বুঝেছেন তারাই সমৃদ্ধি পেয়েছে। এর প্রমাণ ইউরোপের বিভিন্ন দেশ। যার মধ্যে কামাল আতাতুর্কের টার্কিশ জাতি এবং আইরিশ জাতি খুব বেশী রিক্স ও আত্নবিশ্বাসের সাথে হাজার হাজার প্রতিকুল পরিবেশের সাথে যুদ্ধ করে হলেও নিজেদের ঐ সয়তানি জাল থেকে মুক্ত করেছেন।
একারণেই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে টার্কিশ, জাপানীরা ঠিক পথেই গিয়ে ছিলো। আমাদের নেতাজী সুবাস চন্দ্র বোস সহ আরো অনেকে এ ব্যাপারে সচেতন ছিলেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কে সারা বিশ্ব বাঘের মতো ভয় পেতো শুধু মাত্র তার অসামান্য জ্ঞান ও তার বড় ধরনের এক্সিকিশন করাতে জানতেন বলে, তার সততাই তাকে আমাদের মাঝে অমর করেছে কিন্তু এই সততার সাথে বিন্দু পরিমান বিশ্বাস ঘাতকতা করতে জানতেন না বলেই তাকে এভাবে অকালে চলে যেতে হয়েছিলো।
জিন্নার বেঈমাণী চিন্তার জন্য সহরোওয়ার্দী ও শেরে রাংলাকে আলাদা গ্রুপিং করে মুসলিম লীগ থেকে বেড় করে নিয়ে এসে মূলত ব্লাক মেইলিং করা হয়েছিলো। তাঁদের হাতে আসলে তেমন কিছু করার ছিলো না।
বঙ্গবন্ধু সাথে যারা মিশেছেন তারা জানেন তার সামনে পিছনে কি পরিমান গোয়েন্দারা কাজ করতেন। তারপরও তিনি স্বর্বাত্তক চেষ্টা করে গেছেন। তখনকার বাঙালীদের মধ্যে যদি এখনকার মতো কমপক্ষে অন্তত ৮-১০ জন কৌশলীও মানুষ থাকতেন তাহলে আর কথা ছিলো না। বুদ্ধিমান এক জিনিস আর সৎ বুদ্ধিমান ভিন্ন জিনিস। আমাদের খুব দুঃখ হয় আমরা একজন মানুষের সাথে দিবানীশি থেকেও সত্যিকার অর্থে তাকে চিনতে পারি নি।
তাজউদ্দীন সাহেব সৎ কিন্তু কোনোভাবেই খুব বড় মাপের পলিটিশিয়ান না।
আমি আশা করবো আনোয়ার হোসেন মঞ্জু সাহেব আমাদের সর্বাত্তক সহযোগীতা করবেন। ওনার ব্রেন অত্যান্ত সার্ফ, বিশেষ করে এই সব পলিটিক্যাল মোমেন্ট গুলো ধীরে ধীরে পরিবর্তনের জন্য।
এবার যদি আপনি ধরে নেন যে সরকার পুরোপুরি সি.ভি.আই বা নিজ দলের ছাত্র সংগঠন গুলোকে সব সময় মোকাবিলা করার মতো পরিস্থিতি নিজের হাতে থাকবে এটা ভুল ধারনা। আমাদের বুঝতে হবে সি.ভি.আই বা যে কোনো শ্রমিক অথবা অন্য কোনো ইউনিয়ন কোনো সময় একক কোনো রাজনৈতিক দলের কর্তৃত করার মতো পর্যায়ও থাকে না।
অনেক সময় এমন হয় যে সব রাজনৈতিক দল ও সরকার মিলেও নিয়ন্ত্রন হারিয়ে হঠাৎ ভয়ংকর পরিস্থিতিতে পরতে পারে। আমাদের যেমন সুবিদ্ধি আছে পশ্চিমাদের তেমন কুবুদ্ধির কারখানা আছে। তাই আমাদের দু’টোই জানতে হবে। আপনি যদি পরিস্থিতির রোগই ধরতে পা জানেন ট্রিটমেন্ট করবেন কি করে?
আপনারা শুনে খুশি হবেন যে, আমাদের সরকারি কর্মকর্তাদের যত বড় দূর্নীতিবাজ হিসেবে দেখানো হয় তারা আসলে ততটা দূর্নীতিবাজ না। যারা অসৎ তাদের মধ্যে বেশীরভাগ মানুষই সৎ হতে পরেন না।
হতে দেয়া হয় না।
এখন থেকে সরকারী কর্মকর্তারা দলবাজি না করে সবাই সবার কাজের প্রতি মনযোগী হবেন। পানি খেতে ইচ্ছে হলে পিয়নকে বলবেন, “পানি খাবো”, “একটু পানি দিতে পারো”, “সিঙ্গারা আনলে কেমন হয়” অর্থাৎ সরাসরি অর্ডার না দিয়েও একই কাজ করানোর পদ্ধতি। এমন কর্মপরিবেশে দু’জনেরই উপকার হবে। আমাদের মনে রাখতে হবে মানুষ তার পরিবারের থেকেও বেশীক্ষণ থাকে কর্মস্থলে।
সেখানে গিয়েও যদি রেশারেশি ও একজন আর একজনকে দেখতে না পারে তার উপর উপর থেকে ভালো মতো না বঝে সুঝেই ফোন আসা। উপরের কর্মকর্তাদের ভাগ বাটারা দেয়ার লক্ষ্যমাত্রা। অকাজের মানুষকে প্রমোশন দেয়া। এই সবের ফলে ঐ স্টাফরা ঘুস খেতে পারে ঠিকই কিন্ত মানুষিক অশান্তিতে ভোগেন। এখানেই বড় সমস্যা হয়।
অহেতুন হার্ড এট্যাক করা। ডায়াবেটিকস ইত্যদি ইত্যদি।
আমাদের টপ অব দ্যা ম্যানেজমেন্টে যারা আছেন। তাদের জীবনে আর কি এমন দরকার আছে যে দূর্ণীতি করবেন? তারা তো নিজেরাই নিজেদের কাছে ঠিক থেকে সবাইকে সৎ থাকার পরামর্শ দিতে পারেন।
আপনি উপরে থেকে নিজে সৎ না হয়ে যদি সৎ হবার ভান করেন তাহলে দেখবেন আপনার অধীনস্থই আপনার সাথে একই কাজ করছেন।
এ কারনেই কেউ কাউকে বিশ্বাস না করে সন্দেহ করেন। তাতে সবাই মানুষিক অশান্তিতে ভোগেন।
বাংলাদেশ পুলিশের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোয্য। নিজেরা কথাবার্তা শেয়ার করার সময় এমন এমন বাজে বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন যে, নতুন যারা আসে তাদের বাজে মনমানিষকতার না হয়ে উপায় থাকে না।
আপনার মনে রাখতে হবে যে একদম উপরে থেকে সততা নিচ পর্যন্ত ছড়ায়।
যদি মাঝে গ্যাপ থাকে বা পোস্ট ও ফাঁকা থাকে কিংবা কেউ শুধু সারাজীবন অফিস না করে রাজণীতি নিয়েই ব্যাস্ত থাকে তাহলে ইচ্ছে করলেও নিচ পর্যন্ত সৎ নীতি ছড়াবে না। আর জনপ্রিয়তা আর পারফমেন্স যাচাই করার ক্ষেত্রে একদম নিচ থেকে আপার ম্যানেজমেন্টের দিকে তাকাতে হবে। একজন পিয়নকে যেমন একজন ক্লার্ক সৎ থাকতে বলবে আবার নিয়মিত খেয়াল রাখবে যে, ঘুস বা অন্য কোনো ফায়দা নিচ্ছে কিনা ঠিক তেনমন করে পিয়নের কাছ থেকে এনি হাউ তথ্য সংগ্রহ করতে হবে যে স্যার কেমন? মানুষ সৎ লোকের নামে সাধারণত মিথ্যে বলে না। হয়তো পাগল বলে। তারপরও এই কাজ নিয়মিত করতে হবে।
তারপর অবস্থা বুঝে কিছুসংখ্যক ব্যবস্থা নিলেই আস্তে ধীরে দ্রুতই কাজের কাজ হবে।
আমাদের মনে রাখতে হবে, আমরা সবাই মানুষ। আমরা দেবতা না। আমরা খারাপ কাজ করতে জানি বলেই নিজেকে শোধরাতে জানি।
নারী গঠিত কোনো ব্যাপারে, কোনো প্রকার কেলেংকারীকে সেক্রিফাইজ করা যাবে না।
আবার খেয়াল রাখতে হবে যে, আপনাকে যেনো কৌশলে নারী ঘটিত ব্যাপারে জড়ানো না হয়। যেমন এমেরিকার নতুন একটি কৌশলের ফাঁদ হলো সমকামীতাকে মিডিয়ায় এনে বিভিন্ন ভালো মানুষকেও ভিলেন বানানো। বাংলাদেশে এরকম কয়েকটি গোষ্টির তৎপরতা আছে। ফাইভ স্টার হোটেল ও হিজরাদের মধ্যে মুখ ঢুকিয়ে আছে। তারা কিন্ত ভবিষ্যতের শয়তানদের খেলার পুতুল হতে যাচ্ছে।
ওরা এমন এক জাত অনেক আগে থেকে বিজ বপন করে রাখে। যখন সময় হয় ব্যাস কাজে লাগিয়ে দেয়।
এউ.এস.এ. বন্ধু তৈরি করে কিন্তু ওরা ওদের প্রায় সব বন্ধুদের সাথেই বেঈমানী করে। উপর থেকে অনেক ভালো মনে হতে পারে। সরল মনে হতে পারে।
কিন্তু নিজের স্বার্থের বেলায় কোনো ছাড় নাই। এখন থেকে ইউ.এস.এ. আমাদের সাথে সত্যিকারের সৎ হয়ে বন্ধুত্ব করলে করবে বলে আমার আশাবাদি। তাদের মনেও আজ শান্তি নাই। ইউ.এস.এর. বড় বড় পলিটিশিয়ানরা যদি তাদের নিরাপদ ভাবে তবে ভুল করবেন। যেখানে অসৎ লক্ষ্যে কাজ করা হয় সেখানে বন্ধুত্বর মুখশ থাকে ভালোবাসা মমতা থাকে না।
আজ আমরা সবাই নিজেকে একজন সমাজ সংস্কারক করতে পারি তাহলে সবার জন্য মঙ্গল হবে। আমরা এই পৃথিবীর সম্পদ দিয়েই বহুকাল চলতে পারি। কোনো অসুবিধা হবে না। প্রকৃতি সবসময় রূপান্তর যোগ্য। আজ যা আবিস্কার করতে পারেন নি তার অভাব এখন বুঝবেন কি করে।
আগে সবার সাথে সবার ইউনিটি তারপর ভালোচিন্তা। আমার মনে সবসময় যদি পাশের মানুষের দ্বারা ক্ষতি হবার চিন্তা থাকে তাহলে আমি আমার মানব জীবনের স্বাদ পাবো কি করে।
আমরা মানুষ। দেখবেন মাঝে মাঝে এমনিতেই মন ভালো হয়ে যায়। আবার অনেক সময় মন খুব আবেগী হয়ে ওঠে।
এই ভাব কিন্তু টাকা দিয়ে কেনা যায় না। সবকিছু অর্থ দিয়ে হয় না। সবার পক্ষে সব কাজ সম্ভব না। আমরা সবাই যদি একা থাকতে পারতাম তাহলে সমাজের দরকার ছিলো না।
আসুন আমরা সবাই আমাদের ভিতরের সত্য ও সুন্দরকে কাজে লাগিয়ে পিছনের সব বজে চিন্তা ছুড়ে ফেলে সামনের দিকে নিজেকে প্রবাহিত করি।
মনে রাখবেন মানুষের মেধা কখনও কমে যায় না। যদি সে তার মেধাকে সৎ কাজে চিন্তা করে কাজ করে। তাতে আপনি সারাজীবন যদি শুধু ভাবতেই থাকেন তাহলেও সুস্থ্য ও স্বাভাবিক থাকবেন আর যদি মেধাকে খারাপ দিকে নিয়ে যান আহলে আপনার শুধু টেনশনই আসবে কোনো দিনও মন থেকে শান্তি পাবেন না। এই একটি কারণই তৌহিদের আল্লাহ্ যে আমাদের সব পরিস্থিতি থেকে রক্ষা করতে জানেন তার বড় প্রমাণ।
আমার আমাদের বাজে মেধা দিয়ে মানুষকে বিভিন্ন ধর্মে ভাগ করলেও সব ধর্মের প্রবর্তকদের মুল বাণী এক।
এবং মানুষ তাদের স্মরন করে। সব যদি স্বাভাবিক থাকে ১০০কোটি পরও “কোরআন” কে কেউ মিথ্যে প্রমাণিত করতে পারবে না। এটাই চিরসত্য। তাতে আপনি মানেন আর না মনেন কিছু আসে যায় না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।