সমকালের শিরোনাম দেখেই আশঙ্কাটা জাগলো-''উইনিং কম্বিনেশন ভাঙার পক্ষে নন সিডন্স'' Click This Link
ফুটবলে কোচ ডিডো আর বোর্ড কর্তাদের মতভেদের ফলতো হাতে হাতে মিলেছে। আমাদের টিমটিমে আশাভরসার একমাত্র অবলম্বন ক্রিকেটে কোন হতাশার কথা মনেও আনতে চাইনা আমরা।
গতকাল সব পত্রিকার খেলার পাতার অন্যতম প্রধান শিরোনাম ছিলো আইসিএল ফেরৎ শাহরিয়ার নাফিস,আফতাব আহমেদ,অলোক কাপালি আর ধীমান ঘোষের আসন্ন তিনজাতি ক্রিকেটের ২৬ জনের প্রাথমিক দলে ডাক পাবার খবরটি। মিডিয়ার সাথে আমরাও একে স্বাগত: জানিয়েছিলাম।
কিন্তু একদিন না যেতেই কোচ জেমি সিডন্সের কথা শুনে বুকের ভেতর ছ্যাঁৎ করে উঠলো ! কারণ কোচ সিলেক্টার মতভেদ হলে মাঠে তার কুফল ফলতে দেরী হয় না।
সিডন্স একা নন সাধারণত: উইনিং কম্বিনেশন কেউ ভাঙতে চায় না। তাহলে নতুনদের ডাকা কেন ? কিছু অদল বদল আসলে বাধ্য হয়েই করতে হবে। কারণ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তাজা এখনো সুস্থ হননি। তামিম ইকবালও এখনো ফিট নন। ১৮ ডিসেম্বর স্ক্যান করার পর বোঝা যাবে ৪ জানুয়ারি থেকে অনুষ্ঠেয় তিনজাতি টুর্নামেন্টে ( বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলঙ্কা) তিনি খেলতে পারবেন কিনা।
তিনি খেলতে না পারলে শাহরিয়ার নাফিসকে ওপেন করতে পাঠাতে অসুবিধা কোথায় ?
ডাক পাওয়া আফতাবও হামস্ট্রিংয়ে চোট পেয়েছেন। উইকেট কিপার মুশফিকও ঘাড়ে আঘাত পেয়েছেন। সে জন্যই আইসিএল ফেরৎ ধীমান ঘোষকে ডাকা হয়েছে বলে জানান প্রধান নির্বাচক। তাই সিডন্সের ভালো না লাগলেও প্রয়োজনের তাগিদেই কিছু অদলবদল করতে বাধ্য হতে পারেন নির্বাচকরা।
কাল কোচ যেভাবে আইসিএল ফেরাদের প্রতি নিস্পৃহতা দেখালেন তাতে দলে ফিরলে না আবার ঠাণ্ডা লড়াই শুরু হয়।
প্রিমিয়ার লীগের পারফমেন্সকে তিনি গুরুত্ব দিতে নারাজ। আইসিএল পূর্ব ফর্মের প্রসঙ্গও তুলেছেন কোচ। ফলে তামিমের স্থানে শাহরিয়ার নাফিসকে মেনে নিলেও রকিবের জায়গায় আফতাবকে মানতে চাইবেন না। কারণ রকিবুলের ওডিআই গড় ৩০.৫০ আর আফতাবের ২৫.৩২। সে ক্ষেত্রে আশরাফুলের জায়গায় আসতে পারেন আফতাব।
কারণ আশরাফুলের গড় ২৩.৭৮। আশরাফুলের জন্য এই দু:সংবাদ জানাচ্ছে আশরাফুলভক্ত প্রথম আলো।
http://www.bangladesh.net/prothom-alo.html
আমরা ক্রিকেটভক্তরা খুব দ্রুত এই রশি টানাটানির ইতি চাই। আগামী ২২ ডিসেম্বর তিনজাতি টুর্নামেন্টের জন্য বাংলাদেশ জাতীয় দল ঘোষনার কথা রয়েছে।
তিনজাতি টুর্নামেন্টের সময়সূচি ( দিবারাত্রি/মিরপুর,ঢাকা )
৪ জানুয়ারি বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা
৫ জানুয়ারি ভারত-শ্রীলঙ্কা
৭ জানুয়ারি বাংলাদেশ-ভারত
৮ জানুয়ারি বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা
১০ জানুয়ারি ভারত-শ্রীলঙ্কা
১১ জানুয়ারি বাংলাদেশ-ভারত
১৩ জানুয়ারি- ফাইনাল
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।