প্রতি ৬ সেকেন্ডে একজন, প্রতিদিন প্রায় ১৫ হাজার এবং বছরে ৫৪ লক্ষ মানুষ তামাকজনিত রোগে মারা যায়। পরোক্ষ ধুমপানের কারনে প্রতিবছর ৬লক্ষ মানুষ মারা যায়। ২০৩০ সালে নাগাদ এ মৃত্যু ৮০ লক্ষ ছাড়িয়ে যাবে। যার ৭০ ভাগের বেশি বাংলাদেশসহ উন্নয়নশীল দেশে।
বাংলাদেশে তামাক সেবনজনিত কারনে ক্যান্সার, হূদরোগ, উচ্চরক্তচাপ, স্ট্রোক, ডায়বেটিস, যক্ষা, হাঁপানিসহ মৃত্যুঘাতি প্রধান ৮টি রোগে আক্রান্ত হয় বছরে ১২ লক্ষ মানুষ।
এর মধ্যে ৩লক্ষ ৮২ হাজার মানুষ অকাল মৃত্যু বরন করে এবং ৫৭ হাজার মানুষ সরাসরি মৃত্যু বরন করেন।
আজ সকালে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে শহীদ শামসুদ্দিন সম্মেলন কক্ষে ধুমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রন) আইন ২০০৫ বাস্তবায়ন বিষয়ক সেমিনারে এ তথ্য প্রদান করা হয়।
তথ্য আরো বলা হয়, বাংলাদেশে শুধুমাত্র দরিদ্র বিড়ি সেবনকারীরা প্রতিবছর গড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা অপচয় করে। তাদের এ টাকা দিয়ে ৭২ লাখ অপুষ্ট শিশুর প্রতিদিন এক গ্লাস করে দুধ খাওয়ানো যাবে।
বিড়ি-সিগারেটের ধোয়ায় নিকোটিন, ডিডিটি, কার্বন মনোক্সাইড, টার, মিথানল, ন্যাপথলিন, বিষাক্ত ট্রেস ধাতু, সীসা, ক্যাডিয়াম, ক্রোমিয়াম, পারদস তামাকের ধোয়ায় সাত হাজারের বেশি ক্ষতিকর রাসায়নিক উপাদান রয়েছে।
যার মধ্যে ৬০টি সরাসরি ক্যান্সার সৃষ্টির জন্য দায়ী।
সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক বিল্লাল হোসেন। এছাড়াও দি ইউনিয়নের টেকনিক্যাল এডভাইসর ইশরাত চৌধুরী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক কে. এম. আলী আজম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) তন্ময় দাস, জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট শফিকুর ইসলাম, ডেপুটি সিভিল সার্জন আবুল ফারেজ, বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোটের প্রতিনিধি আমিনুল ইসলাম সুজন, সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মাহমুদুল হক, নাইমা আফরোজ ইমা, টিনা পাল, তথ্য অফিসার রেজাউল করিম সিদ্দিকী, এনডিপির নির্বাহী পরিচালক আলাউদ্দিন খান, সাংবাদিক হেলাল আহমেদ, এনামুল হক খোকন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
।অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।