* টিভি ক্যামেরায় মুখ দেখাতে
বইমেলা মানে সবগুলো টিভি চ্যানেলের সারাদিন লাইভ দেখানো। এত এত টিভি ক্যামেরা একসঙ্গে পাওয়া মুশকিল। একপলক টিভিতে দেখালেই যে সেলিব্রেটি হওয়া যায়, স্ট্যাটাসে ঝড় তোলার সুযোগ তা কে না জানে? তা ছাড়া চ্যানেলের কোনো প্রডিউসারের নজরে একবার পড়ে গেলে তার মডেল হয়ে নানা উপায়ে অঢেল টাকা কামাইয়ের পথ তো খোলাই আছে। এ কারণেই টিভি চ্যানেলে মুখ দেখাতে তরুণ-তরুণীরা সেজেগুজে মেলায় গিয়ে আজাইরা ঘোরাফেরা করতে থাকে।
* ছবি তুলতে
দেশে এখন মানুষের চেয়ে ফটোগ্রাফারের সংখ্যা বেশি।
এ সংখ্যাটা এতই বেশি যে অনেকে কিসের ছবি তুলবে কার ছবি তুলবে তা ঠাহর করতে পারে না। বইমেলায় যেহেতু নানা কিসিমের মানুষের আবির্ভাব হয় সুতরাং বেকার ফটোগ্রাফাররা টুকটাক সাবজেক্ট পেলেও পেয়ে যেতে পারে সুতরাং বইমেলায় না এলে তাদের হয়ই না। ওদিকে আমাদের খেয়ে-দেয়ে তেমন কাজ নেই, স্টলের সামনে দাঁড়িয়ে ডজনখানেক পোজ না দিলে আমাদের মেলায় যাওয়ার সার্থকতা উসুল হয় না।
* নেট চালাতে
মেলায় একটা এলাকা আছে ওয়াইফাই জোন, এখানে ফ্রি নেট চালানো যায়। চোরাই স্বভাবের পাবলিক কি এই সুযোগ হাতছাড়া করতে পারে? সারা বছরের মুভি গেম সব ডাউনলোড দিয়ে আশপাশে ঘোরাঘুরি করে।
* ভিড় বাড়াতে
টিভি চ্যানেল এসে বসে থাকবে মানুষ আসবে না তা কি কখনো হয়েছে? ফাঁকা মাঠে তারা মশা মারার জন্য তো আর আসে না, তারা আসে মানুষের সাক্ষাৎকার নিতে, কেমন উপচেপড়া ভিড় হচ্ছে তা দেখাতে।
* চুল কালার করতে
মেলায় গেলে খেয়াল করে থাকবেন পুরো এলাকাসহ ধুলোর আস্তরণ পড়ে যায় চোখে-মুখে। যা স্পষ্ট বুঝা যায় চুলের দিকে তাকালে। কেমন ব্রাউন কালার নেয় মাথার চুল, চোখের ভ্রু। ফ্যাশন সচেতন অথচ মানিব্যাগে টানাটানি চলছে এমন জনতা ইচ্ছা করেই মেলায় ঘোরাঘুরি করে যাতে ধুলো জমে চুলগুলো সব ব্রাউন কালার হয়ে যায়।
* অন্যের পকেটে হাত দিতে
কিছু লোক আছে যাদের খেয়ে-বসে তেমন কোনো কাজ নেই। তাদের কাজ অন্যের পকেটের খোঁজখবর নেওয়া। সে কাজটি ঠিকভাবে করতেই অন্যের পকেটে হাত ঢুকিয়ে দেওয়ার সুযোগ কাজে লাগানোর চেষ্টা করতে থাকে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।