চট্টগ্রাম কোতোয়ালি থানার এসআই মো. কামারুজ্জামান জানান, সোমবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে কে বা কারা মৃদুলকে ওই বাজারে অচেতন অবস্থায় ফেলে রেখে যায়।
“সংজ্ঞা ফিরলে মৃদুল বাজারের নৈশপ্রহরীর মোবাইল ফোন থেকে চট্টগ্রামে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পরিবার আমাদের জানালে আমরা বুড়িচং থানায় খবর দেই। ”
মৃদুল চৌধুরীকে বুড়িচং থানায় রাখা হয়েছে। তাকে বাড়িতে নিয়ে যেতে চট্টগ্রাম কোতোয়ালি থানা পুলিশের একটি দল কুমিল্লায় গেছে বলে কামারুজ্জামান জানান।
চট্টগ্রামে পুরাতন টেলিগ্রাফ রোড থেকে গত ১১ ফেব্রুয়ারি মৃদুল চৌধুরী অপহৃত হওয়ার পর তার পরিবার অভিযোগ করে, র্যাব ও ডিবি পুলিশ পরিচয়ে একটি দল তাকে তুলে নিয়ে গেছে।
পরিবার ও স্থানীয় স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ৮০ ভরি স্বর্ণ লুটের অভিযোগে মৃদুল ঢাকার সিএমএম আদালতে র্যাবের রকিবুল আমিনসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এর পরপরই অপহরণের ঘটনা ঘটে।
অপহরণের ঘটনার দিনই মৃদুলের ছোট ভাই শিমুল চৌধুরী কোতোয়ালি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন, পরে তা অপহরণ মামলায় রূপান্তর করা হয়।
মৃদুল ‘নিখোঁজ’ হওয়ার পর ছয় দিনেও মুক্তিপণের দাবিতে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি।
তাকে উদ্ধারের জন্য চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ৪৮ ঘণ্টা সময়ও বেঁধে দিয়েছিলেন।
মৃদুল চট্টগ্রাম নিউ মার্কেটের দুলহান জুয়েলার্সের মালিক। হাজারিগলিতেও তার একটি গয়নার দোকান আছে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।