আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

খাদ্য, হোমল্যান্ড, ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং, ফুড স্টোরেজ সিস্টেম, ফুড ডিস্ট্রিবিউশন, ফুড ফর এলাইভ এন্ড এন্টারটেইনমেন্ট। (পর্ব-২)

সকল পরিবর্তনের সাথে আমি ছিলাম। আবারও এসেছি সেই পরম সত্য নিয়ে। তোমাদের মনের মাঝেই লুকিয়ে আছে সেই মহাকালের শক্তি। আজ তাকে জাগাবার দিন এসেছে।

আমাদের তরুন সন্তানেরা কৃষি কে ওল্ড পেষা ভেবে ভুল করেন।

আমরা এই সিস্টেম কে ইয়ং করে তুলে পার্টটাইম কাজ করে ইংয়ং করে খারার উপায় জানি।

আমরা ছোট বেলায় দেখেছি বাংলার মেলায় এক ধরনের গাড়ি পাওয়া যেতো। হাতের মুঠে ধরে নিজেদের উঠনে রাস্তায় চালাতাম। তার সাথে আবার উপরে পাখাও থাকতো। আজও পাওয়া যায়।



আপনাদের মেধা খাটিয়ে এমন কিছু একটা তৈরি করুন যা দিয়ে একতা দিয়ে খেলা করতে করতে জমি চাষ করা যায়। তাহলে জমির আয়তন যতো ছোটই হোক না কেনো আমরা কিন্তু মটির বুকে চাষ করতে পারবো আবার স্টাটাস বা কোনো স্মার্টনেসের ও ঘাটতি হবে না। কনে হেড ফোন লাগিয়ে হাতে হাতে ধরে হেসে হেসে চাষ করে হলেও সবার মুখে অন্ন তুলে দেবো।

কে বলেছে বাঙালীরা প্রযুক্তি নিয়ে আসতে জানে না? আমরা রিকশ সাইকেলের বেয়ারিং খুলে গাড়ি বানিয়ে তারপর ঠেলে ঠেল চলতে শিখেছি। এতো ঠেলা খাবার পর যে আমাদের প্রকৃতি শিক্ষার পথ পাবো তা বুঝে উটতে পারি নি।

আজ যখন বুঝেছি প্রয়োজনে একজন কোনো কিছুর উপর বসে থাকবে আমরা ছোট বেলার বেয়ারিং এর গাড়ির মতো ঠেলে ঠেল জমি চাষ করার প্রযুক্তি বের করছি। এখনই কাজ শুরু করে দিন। ইলেকট্রনিক হলে বিদ্যুত বা ব্যাটারির ব্যবস্থা করা সম্ভব।

যে জাতি পানি কে ভাগ করা শেখে নিজেদের বড় ভাবে তাদের মতো বোকা আর কে আছে বলুন। হৃদয়ের বাঁধ যখন ভেঙেছে তখন গঙ্গা-জমুনা-স্বরস্বতী-পদ্মা-তেতুলিয়া-সুগন্ধা-বিষখালী-মেঘনা সহ সব নদী কৃষ্ণের যমুনা পাড়ের বংশির সুরের মতো বাঁধাহীন হয়ে যাবে।



আমরা ছোট বড় জাহাজ তৈরি করে ঢাকা কলিকাতা সরাসরি নদীপথে নৌবিহার ও হবে আবার পন্য পরিবহন হবে। চায়না, নেদারল্যান্ড আর ডেনমার্ক আমাদের নদী পথের উপযোগী ব্যালেন্সড নৌযান এর প্রযুক্তি জ্ঞান শিখানোর জন্য প্রস্তুত আছে। এখনও যেটুকু আছে তা দিয়েই রুট চালু করুন। আমরা আর আলাদা নই। ঢাকা-ক্যালকাটা একই দুটো আলাদা নাম মাত্র।



আগে জায়গা বা নাম নয় আগে কাজ শুরু করতে হয়। বর্ডারে যারা আছে প্রয়োজনে আপনারা অস্ত্র ফেলে ফুল গাছ লাগান। তবে অস্ত্র পাশে রাখুন। দিল্লী বা অন্যকেউ কোনো কথা বলে এগিয়ে আসলে আমরা ডিফেন্সিভ হবো। আমাদের গায়ে আগে আঘাত আসলে আসু্ক।


এতো মানুষের রক্তই যখন গেছে। আর ভয় কিসের? দু’একজন নওযুয়ান ধুকে ধুকে বেঁচে থাকার চেয়ে নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য হলেও পূর্ণজনমের পথে এগিয়ে যাবেন। তারপর হামলার জবাব দেয়া শুরু করতে দ্বিধাহীন হবেন না।

আমরা চাই বৈরিতা ভুলে দিল্লী মিয়ানমার এবং বড় ভাই চায়না ওহ আরো যারা প্রতিবেশী বর্ডার আছে তারা আমাদের সুন্দর করে নতুন মধুর এক সীমানা নামক সামান্য ভাষা পরিবর্তনের জায়গাটা চিনিয়ে দেবে।

যত দলের যত পলিটিশিয়ান আছেন তারা সবাই একযোগে কাজ করবেন।

বি.এন.পির জিয়া যখন নিজের হাতে কোদাল নিয়ে আপনাদের শিক্ষা দিয়ে গেছেন। আপনারা এমন একটি সুন্দর সময়কে সমালোচনায় নষ্ট না করে আসুন ভাই অনেক তো জীবনে বকাবকি করলাম এবার না হয় সব রৈরিতা ভুলে যাই।

তৃনমূল কগ্রেস নেত্রী মমতা ব্যানার্জী জি আপনি সুচিত্রাকে সরাসরি দেখেছেন। তার চোখে কি দেখেছেন যে তিনি বাংলাদেশে জন্মেছিলেন নাকি বাঙালী? এবার বিবেচনা আপনার নিজের।
বি.জে.পি. আমাদের বন্ধু সম।

বি.জে.পি. দেবে-গৌড় আর অটল বিহারী বাজপাইকে আমরা ভারতীয় হিসেবে চিনি নি বরং আমাদের দূর্দিনে তারা আমাদের ফিরান নী।
আসামের সন্তান ভ্রুপেন হাজারিকা কিন্তু বি.জে.পি দল করেও মানুষের জন্যই গান গেয়ে বলেছিলেন “মানুষ মানুষের জন্য...”
জৈতি বসু আজিবন মনে মনে বাঙালীই ছিলেন আশা করি জতীবসুর হোক আর সুবাশ বোশই হোক। বোস বা বসু বাদ দিয়ে দেখুন তারা আমাদের জন্য কতো দরকারে এসেছিলেন। তারা যে সি.পি.এম. এর থেকে অনেক বেশী বাঙালীই ছিলেন।

আম-জনতা তো বড়দের পথে বাঁধা হতে পারে না।

যদি হয় তখন দেখা যাবে। বেয়াদবীর জবাব বাংলারীরা দিতে জানে। তা নিজের সাথে হলে ক্ষমা করা যায়। মুরুব্বীদের বা মায়ের সাথে হলে তার জন্য শাসন করে হলেও শিক্ষা দিতে বাঙলী কর্পন্ন করে না।

এখন থেকে আমাদের পতাক হবে লাল সবুজ।

পরে সময় এলে দেখা যাবে ভিতরে কি ফুল ফুটিয়ে আরো বেশী সুন্দর ও সাবলীল করা যায়।

আমার যখন আজ সবাই নিজেদের কাছে মাফ চেয়ে এক হয়ে গেছি তখন আল্লাহ্ আর ভগবান হোক তিনি আমাদের তাওহীদেরই খোদা তা আমরা জানি।
তিনি সবসময় ন্যায় ও সাম্যের পক্ষে।

একবার চিন্তা করে দেখুন বন্ধু আজ যদি ঐ দশ ট্রাক (৮ট্রাক অস্ত্র আর বাকিটা সহকারী সরঞ্জাম) অস্ত্র যদি আমাদের বাংলাদেশের সন্তানদের চোখ এড়িয়ে ঢুকে যেতো। আজ তো স্বজন হারিয়ে চিতকার করে কাঁদতেন।

যখন কান্না থেকে স্রষ্টাই আমাদের সেইভ করে এনেছেন। তখন আর স্বজন হারানো নয় এবার পাবার আনন্দে নিজেদের সীমানা নিজেরা বুঝে নিন।

মালাশেয়া থেকে পাম গাছ এনে লাগিয়ে আমাদের ভোয্য তেলের চাহিদা মিটাতে জানি। মালাশিয়াও আমাদের মতো দুঃখিই ছিলো। তাদের মালয় ভাষার সাথে আমাদের অনেক অনেক মিল।

কিন্তু আমরা তা দেখেও দেখতে পাই নি।

বাংলার প্রতিটি ঘরের আঙীনায় বা একটু ফাকা জায়গায় ভ্যানগগের “দ্যা সানফ্লোয়ার” ছবির মতো সূর্যমুখী ফুল ফুটিয়ে হলেও অনেক ভয্য তেলের চাহিদা মিটানো যাবে। পাম আর সূর্য়মুখী তেল থাকলে আমাদের আর ফ্যাটে ভরা সোয়াবিন না হলেও চলবে। বরং আমরা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে খাদ্য তেল বিনাপয়সায় দিয়ে তাদের খাবারের আনন্দ বোঝাবো। আমাদের পূর্বপুরুষ রা না খেয়ে কষ্ট করে শুধু সপ্নই দেখে গেছে।



তাদের স্বপ্ন হারায় না বন্ধু। আমরা শুধু ভুলই বুঝি। আর ভুল নয় এখন থেকে সবাই মানুষ।

গাঙ্গার প্রবাহ সহয বা সব নদীর গতিপথ বাঁধাহীন থাকলে থাকলে আমাদের যে পরিমান ইঁলিশ বা অন্যান্য মাছ বাড়বে তা শুটকি করে হলেও প্রক্রিয়া জাত করে নিজেরা খেয়ে অন্যদের ও উপহার দিতে পারবো।

কি নেই আমাদের? শুধু আমার ভিতরে যে বাঙালী ঘুমিয়ে ছিলো মাত্র।

আজ সেই বাঙালী ঘুম থেকে ফ্রেস হয়ে জেগেছে। এখন সে বুঝেছে দাঁত থাকতে দাঁতে মর্ম জানা কতো জরুরী।

আমরা সবাই বাঙালী। আমরা সবাই মানুষ। আমরা একে অপরের জীবন নিজের প্রাণ দিয়ে হলেও রক্ষা করে আমাদের মুক্ত করবো।

ইনসাআল্লাহ্

আল্লাহ্ যদি বাঁচানই যেনো মানুষের মতো মানুষ হয়ে বেঁচে থাকবো। আর আমরা জনি মনের মধ্যে যদি “যদি হবে কিনা” সন্দেহ থাকে সেটা বেইমানী বা শয়তানের বাঁধা ছাড়া কিছু না তা আমাদের অন্তরের নিরঞ্জন কে দিয়ে অনুভব করতে জানি।

আমি এখন বরিশাল। বরিশাল নাম এসেছে বরিসল্ট থেকে। আমরা লবন ছাড়া খেতে পারি না।

বাঁচতে কষ্ট হয়। আমরা প্রেম ছাড়াও মিলেমিশে থাকতে জানি না। কষ্ট হয়। তাই আমাদের ভালোকরে বাঁচতে হবে বন্ধু!

আজ কেউ বড় ছোট নয়। আমরা সবাই মানুষ।

সবাই সবার জন্য।


চলবে...

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.