মুহাম্মদ খোরশেদ আলম
সময় ১২ টা ছুঁই ছুঁই করছে।
মোটামুটি অনেক রাত হয়েছে বলা যায়।
আড্ডা দিতে দিতে কখন যে রাত হয়ে গেলো বুঝতে পারলাম না।
বাসা থেকে ফোন আসলো বলেই না অসচেতন মন সচেতন হয়ে উঠল।
বন্ধুর কাছ থেকে বিদায় নিয়ে চলতে শুরু করলাম আর খুঁজতে লাগলাম কোন রিক্সা পাওয়া যায় কিনা ।
পেটের দায়ে আজকাল বেশ কিছু রিক্সাওয়ালা'ই অনেক রাত পর্যন্ত বসে থাকে যদি কোন একজন যাত্রী পাওয়া যায় তার'ই অপেক্ষায়। পেয়েও গেলাম কয়েকটা।
(ঘাটতি বাজেটে আমার অবস্থান তাই) দরদাম শুরু - রাজি হচ্ছে না কেউ।
অবশেষে আমায় ডেকে তার রিক্সায় তুলে নিল। আমিও চুপটি করে বসে পড়লাম।
অতি সতর্কে খানা-খন্দ এড়িয়ে ছেলেকে নিয়ে চলেছে একজন বাবা।
আবেগের দরজায় কড়া নাড়ছে আমার অন্তর।
বাবা রিক্সা চালাচ্ছে আর আমি ছেলে হয়ে আশ্বিনের শেষ হাওয়ায় দুলছি।
ঠিক করতে পারছি না - এখন আমি কি করবো।
মনোযোগ ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য ফোন করে বন্ধুকে জিজ্ঞাসা করলাম - সে এখন কেমন আছে ?
হঠাৎ কম্পিত মনে প্রশ্ন জাগলো -
আমি কি আমার বাবাকে কখনো জিজ্ঞাসা করেছি,
আব্বু, তুমি কেমন আছো ?
নাহ্ ! [আশ্চর্য, মনোযোগ আবারও বাবার প্রতি]
কিন্তু, এই মনোযোগ দেয়া কি অন্যায় ?
যদি অন্যায় না হবে তবে কেন ?
কেন - আমরা বাবার প্রতি একটু মনোযোগ দেই না ?
কেন - আজকে এই বাবাটি তার ছেলে থাকা স্বত্ত্বেও এতো রাতে রিক্সা টেনে নিয়ে চলছে ?
এখন আমি কি করবো, ঠিক করতে পারছি না।
শুধু একটি প্রশ্ন মাথায় কিলবিল করে বেড়াচ্ছে; ছেলে, তুমি কি কখনো বাবা হবে না ?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।