শনিবার খুলনার রুপসা ঘাট এলাকা থেকে আক্তারুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি এবং প্রতাপনগর গ্রামের আব্দুল গফুর সরদারের ছেলে।
খুলনা মহানগর পুলিশের বরাত দিয়ে আশাশুনি থানার পরিদর্শক হারুন অর রশিদ জানান, আক্তারুজ্জামান সকালে রুপসা ঘাট এলাকায় সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করছিলেন।
জিজ্ঞাসাবাদের এক পযার্য়ে পরিচয় জানালে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। পরে বেতার বার্তায় আশাশুনি থানাকে তার গ্রেপ্তারের বিষয়টি জানানো হয়।
তিনি আরো বলেন, হরতালে নাশকতা, প্রতাপনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ অফিস ও ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় ভাংচুরসহ বিভিন্ন অভিযোগে আশাশুনি থানায় তার বিরুদ্ধে তিনটি মামলা হয়।
এসব মামলায় তিনি পলাতক আসামি। এছাড়া বাগেরহাটের রামপালের একটি হত্যা মামলারও আসামি আক্তারুজ্জামান।
ওসি আরো জানান, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি মানবতাবিরোধী অপরাধে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর রায় ঘোষণার পর সাতক্ষীরা শহরসহ বিভিন্ন স্থানে জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীরা তাণ্ডব চালায়।
এর ধারাবাহিকতায় আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগরের তালতলা এলাকায় সাঈদীর মুক্তির দাবিতে জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীরা সাঈদী মুক্তি মঞ্চ তৈরি করে।
এই মঞ্চে প্রতাপনগর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আক্তারুজ্জামানও উপস্থিত থেকে সরকারবিরোধী বক্তব্য দেন।
এ ব্যাপারে সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, আক্তারুজ্জামানকে আদালতের মাধ্যমে সাতক্ষীরায় নিয়ে আসার প্রক্রিয়া চলছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।