আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আপনার জীবনকে আপনি কোন দিকে নিয়ে যাচ্ছেন?

কয়েক মাস আগের কথা। বাস যাত্রার সময় এক ভদ্র লোকের সাথে বিভিন্ন কথা হচ্ছিল। তিনি বায়িং হাউজের মার্কেটিং অফিসার। বয়স ৩০-৩২ হবে। কথা বলার এক পর্যায়ে ভাইকে জিজ্ঞাসা করলাম- ভাই আপনার জীবনের লক্ষ্য কি? তিনি একেবারে খুব সাভাবিক ভাবেই বললেন – এইতো চাকরি করছি ; আরো ১৫-২০ বছর করবো।

তারপর ৪০-৫০ লক্ষ টাকা ব্যাংকে সেভ করে গ্রামের বাড়ি যাব; শেষ জীবন গ্রামেই কাটাব। ব্যাংকথেকে যা আসবে তা দিয়েই চলেযাবে। আমি তাকে জিজ্ঞাসা করলাম- সমাজের মানুষের জন্য কিছু করবেন না? উত্তরে বললেন- যদি পারি তবে করবো। মাঝে-মাঝে আর্শ্চয্য হই। জীবনের এই কি লক্ষ্য? স্রষ্টা কেন এই জীবন দিলেন? তার লক্ষ্য কি? তার সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীবের এটাই কি লক্ষ্য হওয়া উচিত্? কেউ কেউ গর্ব করে বলেন- জীবনটা একটা পালহীন নৌকার মত; যখন যে দিকে বাতাস বয়, সেই দিকেই যায়।

তারা কি দেখেনা- পালহীন নৌকা ঝড়ো বাতাসে কূল হারিয়ে ফেলে। অনেক নৌকা পানির নিচে নিঃচুপ করে থাকা চড়ের সাথে আটকে যায়। কখনো ঝড়ো বাতাসে যাত্রীসহ পানিতে তলিয়ে যায়। তার কি এটাই চায়? তা কেউ চায় না! আমার সন্মানিত শিক্ষক নাসির আহমেদ বলতেন- কিছু মানুষ এমন, দেখলে মনে হয় যেন ‘ চাবি মাইরা দিলাম ছাইরা জনম ধইরা চলিতেছে’। তারা মনে করে তাদের করার কিছুই নাই।

আসুন, একবার দেখি জীবন সম্পর্কে কে কি বলেন? কেউ কেউ বলেন- জীবন মানে- প্রতিদ্বন্দিতা, সুতরাং জিততেই হবে, জীবন মানে- কর্তব্য, তা পালন করা; জীবন মানে- খেলার মাঠ, সুতরাং খেলতে হবে; জীবন মানে- প্রতিজ্ঞা, তা পালন করা; জীবন মানে- দুঃখ, বের হয়ে আসতে হবে; জীবন মানে- ঝুকি, বের হয়ে আসতে হবে; জীবন মানে- গান, গাইতে হবে; জীবন মানে- সবপ্ন, উপলব্ধি করতে হবে; জীবন মানে- যুদ্ধ, জিততেই হবে; জীবন অনেক দামি, এটাকে ধবংস করনা; জীবন মানে- বহতা নদী, কখনো থেমে থাকে না; ব্যার্থ প্রেমিক-প্রেমিকার কাছে- জীবন মানে যন্ত্রণা, এই জীবন আর চাই না। তারা কোন জীবন চায় তা তারা নিজেরাও জানে না। তবে মাদার তেরেসা বলেন- জীবন অনেক বড় সুযোগ, যত পারেন সুযোগ কাজে লাগান। স্রষ্টার পক্ষ থেকে অনেক বড় উপহার। যা আপনাকে এক বারের জন্য দেয়া হয়েছে।

এখানে ২য় কোন সুযোগ নাই। উপহারের যথাযথ মূল্যায়ন করুন, অবমূল্যায়ন করা যাবে না। অনেক লোককে তার ভাগ্যকে দোষ দিতে দেখি। বলে- ‘ভাগ্যে যা ছিল তাই হইছে, চাইছিলাম পাইনাইকা’। এদের কথা শুনে মনে হয়, যে পেয়েছে- সে এমনিই পেয়েছে।

তার কোন চেষ্টা করতে হয় নাই। এরা সিকা ছিড়ে মিষ্টির হাড়ি পরবে; এই ভরসায় চুপ করে বসে থাকে। অবশেষে দেখে- মিষ্টির হাড়ি অন্য জন (যে পারতে জানে) নিয়ে গেছে। যদিও বা কখনো পরে, হাড়ি ভেঙ্গে যাওয়ায মিষ্টি খাওয়ার অযোগ্য হয়ে যায়। এই কি তবে জীবন? ।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.