আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জাবির পরবর্তী উপাচার্য নিয়ে নানা গুঞ্জন

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পরবর্তী উপাচার্য কে হচ্ছেন তা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যাপক জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছে। সম্প্রতি এ বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা প্রতিকূলতা কাটিয়ে সম্পন্ন হয়েছে বহু প্রতীক্ষিত উপাচার্য প্যানেল নির্বাচন।

বিগত এক বছরে শিক্ষকদের উপাচার্য বিরোধী টানা আন্দোলন কর্মসূচির উদ্দেশ্যই ছিল সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আনোয়ার হোসেনকে বিতাড়ন করে প্যানেল নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন উপাচার্যকে পাওয়া। এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি উপাচার্য প্যানেল নির্বাচনে জয়ী তিন শিক্ষকই  উপাচার্য হওয়ার জন্য ইতোমধ্যে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে জোর লবিং চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে পারবেন এমন একজনকে উপাচার্য করার দাবি জানিয়েছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বহুল আলোচিত উপাচার্য প্যানেল নির্বাচন সম্পন্ন হয়। এতে সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক শরীফ এনামুল কবিরপন্থী প্যানেল থেকে প্রথম হন নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম, দ্বিতীয় হন পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আবুল হোসেন এবং তৃতীয় হন অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক আমির হোসেন।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশের ১১(১) ধারা অনুযায়ী আচার্য ও রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ এই তিন জন থেকে একজনকে ৪ বছরের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেবেন। তাই ক্যাম্পাসের সকল শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এখন রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছে।

এ নির্বাচনে ১ম স্থান অধিকারী অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের সম্ভাবনা জেগে উঠেছে।

উপাচার্য হিসেবে তাকে নিয়োগ দেওয়া হলে বাংলাদেশে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে প্রথম নারী নেতৃত্বের সূচনা ঘটবে। সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে নির্বাচনে অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম বলেন, উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অচলাবস্থা নিরসনে সবাইকে নিয়ে আগামী দিনে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করবো।

তবে ফারজানা ইসলাম শিক্ষক রাজনীতিতে নতুন মুখ হওয়ায় অনেক শিক্ষকই তাকে উপাচার্য হিসাবে চাচ্ছেন না। এ বিষয়ে উপাচার্য বিরোধী আন্দোলনকারী সাধারন শিক্ষক ফোরামের আহ্বায়ক ও আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের একাংশের নেতা অধ্যাপক হানিফ আলী বলেন, অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম প্রশাসনিক অভিজ্ঞতা ও শিক্ষক সংগঠনসমূহে ভূমিকার দিক দিয়ে অন্য দু'জনের চেয়ে পিছিয়ে আছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সংকট উত্তরণ করে গতিশীলতা ফিরিয়ে আনা তার পক্ষে কোনভাবেই সম্ভব নয়।

অন্যদিকে প্যানেল নির্বাচনে দ্বিতীয় স্থান অধিকারী অধ্যাপক আবুল হোসেন বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের সভাপতি। তিনি গাণিতিক ও পদার্থবিষয়ক অনুষদের ডীন হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

তৃতীয়স্থান অধিকারী অধ্যাপক আমির হোসেন বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের সাধারণ সম্পাদক। তিনি সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডীন হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। শিক্ষকদের বিভিন্ন গ্রুপের সঙ্গে রয়েছে তার ব্যাপক সখ্য।

এখন সব মিলিয়ে এখন রাষ্ট্রপতির সঠিক সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছে ক্যাম্পাসবাসী।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.