আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ভূপেন হাজারিকাকে নিয়ে সিনেমা

মিডডে পত্রিকা জানিয়েছে, সিনেমাটির চিত্রনাট্য লিখছেন কল্পনা। তবে লিখে শেষ করার জন্য আরেকজন চিত্রনাট্যকারের সাহায্য প্রয়োজন তার। আর তাই আপাতত চলছে চিত্রনাট্যকার খোঁজার কাজ। সেই সঙ্গে সিনেমার প্রযোজকের খোঁজেও রয়েছেন কল্পনা।

সম্প্রতি মিডডেকে কল্পনা বলেন, “আমি সিনেমাটির চিত্রনাট্য লিখছি, লেখা শেষ করার জন্য আপাতত একজন সহ-লেখকের খোঁজে আছি।

মহেশ ভাট আমাকে এ বিষয়ে সার্বিক সহযোগিতা করছেন। ”

কল্পনা জানান, প্রযোজকের খোঁজ পাওয়ার পরই তিনি সিনেমার কলাকুশলী নির্ধারণ করবেন।

তিনি বলেন, “চিত্রনাট্য লেখার জন্য কাউকে না পেলেও সমস্যা নেই। এরপর আমি প্রযোজকের খোঁজে বের হব। প্রযোজক পাওয়ার পরই আমি কলাকুশলী খুঁজব, এর আগে নয়।

মিডডে আরও জানিয়েছে, কল্পনার এই সিনেমাটি প্রযোজনা করবেন পূজা ভাট। আর সিনেমায় কল্পনার চরিত্রে অভিনয়ও করতে পারেন পূজা।

সত্তরের দশকে কল্পনার সঙ্গে পরিচয় ঘটে হাজারিকার। পরবর্তীতে তার দুজন একসঙ্গে নির্মাণ করেন ‘এক পল’ (১৯৮৬) নামের একটি হিন্দি সিনেমা। ওই সময় থেকেই হাজারিকার সহকারী হিসেবে কাজ শুরু করেন কল্পনা।

এরপর থেকে আমৃত্যু হাজারিকার পাশেই ছিলেন তিনি।  

প্রয়াত বলিউডি নির্মাতা গুরু দত্তের ভাগ্নি কল্পনা লাজমি মূলত নারীকেন্দ্রিক সিনেমা তৈরি করেন।

১৯৯৩ সালে কল্পনার সিনেমা ‘রুদালি’তে অভিনয় করে সেরা অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিলেন অভিনেত্রী ডিম্পল কাপাডিয়া।

২০০১ সালে কল্পনা পরিচালিত ‘দামান’ সিনেমায় অভিনয় করে জাতীয় পুরস্কার জেতেন অভিনেত্রী রাভিনা ট্যান্ডন। ‘রুদালি’ এবং ‘দামান’ দুটি সিনেমাতেই সংগীত পরিচালনা করেছিলেন ভূপেন হাজারিকা।

তবে এখন পর্যন্ত বাণিজ্যিকভাবে সফল হয়নি কল্পনার কোনো সিনেমা। তার সর্বশেষ সিনেমা ‘চিঙ্গারি’ মুক্তি পেয়েছিল ২০০৬ সালে। দীর্ঘ বিরতির পর এবার ভূপেন হাজারিকাকে নিয়ে সিনেমা নির্মাণ করবেন কল্পনা।

ভারতীয় উপমহাদেশের কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী ভূপেন হাজারিকা সংগীতের পাশাপাশি সিনেমা পরিচালনাও করেছেন। পঞ্চাশের দশক থেকে আশির দশক পর্যন্ত ১৪টি সিনেমার সংগীত পরিচালনা করেছিলেন তিনি।

পঞ্চাশের দশকে মূলত আসামের ভাষায় গান গেয়ে ক্যারিয়ার শুরু করেন ভুপেন হাজারিকা। পরবর্তীতে  তার গাওয়া হিন্দী এবং বাংলা গানের জনপ্রিয়তা ছড়িয়ে পরে পুরো ভারতবর্ষে।

ভূপেন হাজারিকার বিখ্যাত কয়েকটি বাংলা গানের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল-- ‘আমি এক যাযাবর’, ‘মানুষ মানুষের জন্য’, ’আজ জীবন খুঁজে পাবি’ ইত্যাদি।

ব্যাপক জনপ্রিয়তার পাশাপাশি শিল্পী হিসেবে দীর্ঘ ক্যারিয়ারে তিনি পেয়েছেন নানা স্বীকৃতি ও পুরস্কার। ১৯৯৭ সালে তাকে ‘পদ্মশ্রী’ এবং ২০০৭ সালে ‘পদ্মভূষণ’ উপাধিতে ভূষিত করে ভারত সরকার।

২০১২ সালে তাকে দেশটির দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সম্মাননা ‘পদ্মবিভূষণ’ (মরণোত্তর) প্রদান করা হয়।

গুণী এই শিল্পী মুম্বাইতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ২০১১ সালের ৩০ জুন।    


সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.