পশ্চিমবঙ্গে ৩৪ বছরের দীর্ঘ বাম জমানার পরিবর্তনের পর এবার প্রতিবেশি রাজ্য ত্রিপুরাতেও পরিবর্তনের ডাক দিলেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো তথা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। আজ মঙ্গলবার আগরতলার বিবেকানন্দ স্টেডিয়ামে এক প্রকাশ্য জনসভা থেকে ত্রিপুরার বাম সরকারের সমালোচনা করে মমতা বন্দোপাধ্যায় বলেন, গত ৩৭ বছরে এই সরকারের আমলে রাজ্য উন্নয়নে পিছিয়ে রয়েছে, এরাজ্যের সরকারী কর্মচারীদের রুপি নেই, ভাল রাস্তা নেই। ত্রিপুরার প্রত্যেকেই বঞ্চিত, লাঞ্ছিত। সিপিআইএম-এর কোনও 'মিশন' নেই, কোনও 'ভিশন' নেই। তারা শুধু মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে।
যদি পরিবর্তন চান, তাহলে তৃণমূলকে ক্ষমতায় আনুন। ত্রিপুরাবাসীর কাছে তার আহ্বান, ত্রিপুরার নতুন প্রজন্ম অন্য কোন সরকার দেখেনি, তাই এবার তৃণমূলকে ক্ষমতায় আনুন।
ত্রিপুরায় পরিবর্তনের পাশাপাশি কেন্দ্রেও সরকার বদল চেয়ে পরিবর্তনের ডাক দিলেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো। কয়েকদিন আগে কলকাতার ব্রিগেড থেকে পরিবর্তনের ডাক দিয়েছিলেন মমতা। এবার সেই বার্তা দিলেন ত্রিপুরা থেকে।
ত্রিপুরাবাসীর কাছে মমতার আহ্বান রাজ্যের স্বার্থেই দিল্লিতেও সরকার পরিবর্তন চাই। লোকসভা নির্বাচনে ভোটবাক্স উল্টে দিন। জোড়াফুলে ভোট দিন।
কার্যত ত্রিপুরা থেকেই আজ রাজ্যের বাইরে প্রচার শুরু করলেন তৃণমূল নেত্রী। ত্রিপুরাবাসীর মন জয়ের চেষ্টা করতেও কসুর করলেন না দলনেত্রী।
তিনি বলেন, বাংলা ত্রিপুরার পাশেই আছে, এরাজ্যের সঙ্গে আমাদের আত্মিক যোগও আছে। তিনি আরও বলেন, আমি চাই আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে ত্রিপুরার দুইটি আসনের (ত্রিপুরা পূর্ব এবং ত্রিপুরা পশ্চিম) একটিতে উপজাতি এবং অন্যটিতে বাঙালী প্রার্থী দাঁড়াক এবং জিতে আসুক।
কেন্দ্রের কংগ্রেস জনবিরোধী নীতির সমালোচনা করে মমতা বলেন, কংগ্রেস কোমায় চলে গিয়েছে। গত আড়াই বছরে ৭০ হাজার কোটি রুপি কেটে নিয়ে গেছে। তবু পশ্চিমবঙ্গের উন্নয়ন আটকাতে পারবে না।
পৃথক তেলেঙ্গানা রাজ্য গঠনের বিরোধীতা করে মমতার অভিযোগ, কংগ্রেস জোর করে অন্ধ্রপ্রদেশ ভেঙে দুই টুকরো করে দিয়েছে। এই কাজে কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে বিজেপি। এরা একসাথে মিলে দেশটাকে বিক্রি করে দিচ্ছে। কংগ্রেস এবং বিজেপি কেউই ত্রিপুরার উন্নয়নে কোন কাজ করেনি বলেও তার অভিযোগ।
ত্রিপুরার মাটি থেকে গত আড়াই বছরে বাংলার উন্নয়নের ফিরিস্তিও তুলে ধরেন মমতা।
তৃণমূল নেত্রী বলেন, ১০০ দিনের কাজে পশ্চিমবঙ্গ শীর্ষস্থানে। গত আড়াই বছরে ৫৭ লক্ষ সংখ্যালঘুকে বৃত্তি দেওয়া হয়েছে, সরকারী কর্মীদের গৃহঋণ দেওয়া হয়েছে, ১ লক্ষ ২ হাজার পুকুর কাটা হয়েছে। গত বছর ১৩ লক্ষ ছেলেমেয়েকে চাকরি দেওয়া হয়েছে বলেও মমতার দাবি।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।