প্রসঙ্গঃ শিবির
প্রথমত, ১৯৯৬ সালে নির্বাচনের আগে হাসিনা মাথায় পট্টি বেঁধে তার দলের সবাইকে বলেছিলেন তিনি ৫ ওয়াক্ত + তাহাজ্জুদ নামায পড়েন এটা যেন তুমুলভাবে প্রচার করা হয়। প্রচার করা হয়েছিল। মিশনও সাকসেস হয়েছিল। ২০০৮ এ বলেছিলেন প্রতিটা ক্ষেত্রে জামায়াত-শিবির বিরোধী প্রচারনা চালাতে। প্রচারনা চালানো হয়েছিল এবং এখানেও কিন্তু মিশন সাকসেস।
প্রতিটা ঘটনায় মুখস্তভাবে জামায়াত-শিবিরকে জড়ানো হয়েছে।
কাল ব্লগে দেখলাম সশস্ত্র সংগঠন হিসেবে শিবির ৩ নম্বর স্থান দখল করে নিয়েছে। এটা আজ পুরোনো নিউজ। কিন্তু আমার কথা হল, এত কিছুর পরও শিবির ১ নম্বর না হয়ে ৩ নম্বর হয় কি করে? লবিং এর টাকা কি কম হয়ে গিয়েছিল? শেয়ারবাজার আর সোনালী ব্যাংকের এত টাকাও যদি লবিং-এ শিবিরকে এক নম্বরে না আনতে পারে তাহলে ব্যাপারটা সরকারের জন্য সত্যিই দুঃখজনক।
দ্বিতীয়তঃ সশস্ত্র সংগঠন হিসেবে পাবলিশ হওয়ার পরও কেন সরকার আবারও শিবিররে নেতা-কর্মীদের গনহারে ধরছে না? চেতনা কি ঝিমিয়ে গেছে??? এই তো আজ ষ্টেডিয়ামে যতজন পাকিস্তানের সাপোর্ট করছে সবাইকে ধরে রিমান্ডে নিলেই স্বীকারোক্তি পাওয়া যাবে যে সবাই শিবির ছিল।
এতগুলো শিবির একসাথে ধরা মানে সরকারের গায়ে আরেকটা মুকুট (?) যোগ হওয়া। আন্তর্জাতিকভাবে সবার নজর কাড়ার জন্য তো নত হয়ে থাকা মিডিয়া (?) আছেই।
শিবির ধরার আরেকটা বুদ্ধি হল, প্রতিটা থানার সকল শিবির নেতা-কর্মীদের লিষ্ট নিয়ে মসজিদের বাহিরে অপেক্ষা করা। শিবিরের নেতা-কর্মীরা হচ্ছে চূড়ান্ত বেকুব। এরা যতকিছুই হোক নামায পড়ার জন্য মসজিদে আসবেই।
তখনই ওদের ক্যাঁক করে ধরে সোজা রিমান্ডে নেওয়া যাবে। তখন সরকারের শুধু সাফল্য আর সাফল্য। নতুন করে কোন নাটকের অবতারনা করতে চিত্রনাট্য খুঁজতে হবে না।
#তবে সত্যি কথা বলতে জামায়াত-শিবিরের উপর এত ষ্টিমরোলার চালানোয় তারা হয়তো তাদের অনেক নেতা-কর্মীদের হারিয়েছে। কিন্তু সাংগঠনিকভাবে তারা হয়েছে আর দক্ষ।
আমি যতটুকু দেখেছি তাদের প্রতিটা সেক্টরে অল্টারনেট তৈরী হয়ে আছে। একজন কারাগারে গেলেই দ্বিতীয়জন সেখানে দাঁড়িয়ে গেছে। যা বিএনপির মত দলেরও নেই........
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।