কষ্টটা চাপা থাকুক। আসলে কি কষ্ট চাপা রাখা যায়। ভাষার মাসে ভাষা নিয়ে শিক্ষার্থীদের কিছু পড়িয়েছি। কিছু বইয়ের কাজ করেছি। আমার কাছে মনে হয়েছে এটাই যথেষ্ট নয়।
আরো কিছু করা দরকার। একেবারে তৃণমূল পর্যায় থেকে ভাষার আন্দোলনের মূল চেতনা বাংলাভাষাকে সমাজে সর্বত্র ছড়িয়ে দেওয়া দরকার। এই কাজটা একটা কেবল শহীদ মিনার প্রতিষ্ঠা করেই সব অঞ্চলে দায়িত্ব পালন শেষ! একুশে এতে ফুল দিলেই আর দায়িত্ব নেই। আজকের শিশুদের বাংলা ভাষার সঠিক চর্চা কতটুকু করতে পারছে। কয়টা স্কুলে লাইব্রেরী সরব আছে।
এপ্রশ্নগুলো এখন অনেক বেশি মনে পড়ছে।
গ্রাম থেকে গ্রামাঞ্চলে ডিজিটালের একটা ছোঁয়া তো লেগেছে। এটা মোবাইলেই হোক, আর বিদ্যুতেই হোক। আরো বেশী ডিজিটালাইজেশন জরুরি। এতে আমরা সবাই উপকৃত হই।
মেঘনার উপর সেতু, যমুনার উপর সেতু এবার পদ্মার উপর হবে। এতে আমরা সবাই রাস্তা পার হতে পারি।
যাকগে সেকথা। বলছিলাম, ভাষার মাসের কথা। মাস এলেই কেবল মনে পড়ে।
কাজ হচ্ছে তবে তা কি যথেষ্ট। ঢাকার বইমেলার বাতাসের কিঞ্চিত কি পৌঁছে যাচ্ছে গ্রামে। না। এক্কেবারেই না। কোথাও তো ব্যতিক্রম আছেই।
ভাষা নিয়ে আরো বেশী সচেতনতা জরুরি। এখনকার টিভি সিরিয়ালগুলো যেমন ভাষার বারটা বাজিয়ে দিচ্ছে তেমনি আমরা শিশুদের বেড়ে উঠতে তেমনটাই বারটা বাজাচ্ছি। কোথাও ইংরেজীর ধাক্কা, কোথাও উর্দুর ধাক্কা, কোথাও আঞ্চলিকতার ধাক্কা সামাল দিতে আমাদের শিশুরা খেই হারিয়ে ফেলছে। পরিত্রাণের উপায় কি? এই সচেতনতা ফিরে আসবে তো!।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।