এ বছরই ভারতের সঙ্গেও সমুদ্রসীমা নিয়ে বিরোধ নিষ্পত্তি হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্রসীমা নিয়ে বিরোধ নিষ্পত্তির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, আর এর মধ্য দিয়ে বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশ তার ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় সক্ষম হবে।
শনিবার দুপুরে চট্টগ্রামে নৌ বাহিনীর দুটি যুদ্ধ জাহাজের কমিশনিং অনুষ্ঠানে তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভূ-রাজনৈতিক কারণে বাংলাদেশের জলসীমা রক্ষা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর জলসীমা রক্ষায় নৌ বাহিনীর গুরুত্ব অপরিসীম।
তবে কেবল অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা রক্ষাই নয়, বরং আন্তর্জাতিক শান্তি রক্ষায়ও বাংলাদেশের নৌবাহিনী ভূমিকা রাখবে।
দেশের অধিকাংশ মানুষ সমুদ্র এবং এর সম্পদের ব্যাপারে সচেতন নয় উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, অর্থনৈতিক সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও জলপথে দেশের নিরাপত্তা এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির লক্ষ্যে একটি ত্রিমাত্রিক নৌবাহিনী গড়ে তোলার কোনও বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, নৌবাহিনীকে একটি কার্যকর বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এটি ২০৩০ সালের মধ্যে বাস্তবায়িত হবে। বাংলাদেশের নৌবাহিনীকে ত্রিমাত্রিক নৌবাহিনীতে পরিণত করতে এই বাহিনীতে ২০১৫ সালের মধ্যে দুটি সাবমেরিক সংযোজেন করা হবে।
তিনি আরও বলেন, পটুয়াখালীর রামনাবাদে একটি বৃহৎ নৌঘাঁটি স্থাপনের প্রক্রিয়া চলছে। সেই সঙ্গে একটি সাবমেরিন ঘাঁটি স্থাপনেরও চিন্তা-ভাবনা চলছে।
।অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।