প্রদশর্নীতে ছিলো ৩০টি আলোকচিত্র।
সাইফুল হক অমি বাংলাদেশ, মালয়েশিয়া ও যুক্তরাজ্যে ২০০৭ সাল থেকে ঘুরে ঘুরে মানবাধিকার নামক প্রশ্নের মুখোমুখি হওয়া মানবাধিকার হারানো রোহিঙ্গাদের ছবি তুলেছেন। সেই অভিজ্ঞতার গুরুত্বপূর্ণ একাংশ তুলে ধরা হয়েছিল প্রদর্শনীতে।
অত্যন্ত ব্যাক্তিগত কারনে রোহিঙ্গাদের নিয়ে কাজ করছেন জানিয়ে অমি বলেন, "আমি যখন প্রথম রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যাই তখন সব কিছু দেখে সিদ্ধান্ত নিলাম কাজটি আমি শুরু করতে পারি। কারণ, চেষ্টা করলেই গল্পটাকে আমি বুঝতে পারবো।
কারণ এর সঙ্গে যুক্ত আছে আমার নিজের পরিবারের গল্প। ”
তিনি জানান, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে তার পরিবারের একাংশ শহীদ হন এবং আরেক অংশ শরণার্থী হিসেবে ভারতে আশ্রয় নেয়।
তিনি বলেন, “যুদ্ধের অনেক পরে আমার জন্ম। তবে পারিবারিক পরিবেশেই সেই যুদ্ধের ভয়াবহতার ইতিহাস এবং শরণার্থী হওয়ার নানান ভীতিকর গল্প শুনেছি আমি। তাই রোহিঙ্গাদের গল্প আমার কাছে নতুন কিছু মনে হয়নি।
”
দ্য ইকুয়েল রাইটস ট্রাস্ট, থাইল্যান্ডের মাহিদল বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্য ইন্সটিটিউট ফর হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস স্টাডিজ বিভাগ ও ঢাকা আর্ট সেন্টার যৌথভাবে এই প্রদর্শনী আয়োজন করে।
আলোকচিত্র প্রদর্শনীর পাশাপাশি উদ্বোধনী সন্ধ্যায় আয়োজন করা হয় একটি প্যানেল ডিসকাশন। এতে বক্তা হিসেবে অংশ নেন দ্য ইকুয়েল রাইটস ট্রাস্টয়ের দিমিত্রিনা পেত্রোভা, বাংলাদেশে জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক কমিশনের প্রতিনিধি স্টিনা ইয়ুংডেল, পার্বত্য চট্টগ্রাম কমিশনের সদস্য অধ্যাপক স্বপন আদনান এবং আলোকচিত্রী সাইফুল হক অমি।
ছবি : আহমেদ রাসেল।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।