চলতি মাসেই এগুলো বিতরণ করা হতে পারে বলে সংসদ সচিবালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব আশরাফুল মকবুল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন।
গত নবম সংসদে ‘সংসদ সদস্যগণের কানেকটিভিটি সৃজন ও জাতীয় সংসদে ইন্ট্রানেট এপ্লিকেশন তৈরির কর্মসূচি’ শীর্ষক এক প্রকল্পের আওতায় প্রায় আড়াই কোটি টাকা খরচ করে ল্যাপটপ ও অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার কেনা হয়।
ল্যাপটপ কেনার পর শুরু হয় বিতরণের নীতিমালা তৈরির কাজ করতে গিয়েই গোল বাঁধে। তখন থেকে এ ল্যাপটপগুলো সংসদের গুদামেই রয়েছে।
নীতিমালায় সংসদের মেয়াদ শেষে ল্যাপটপ ফেরত দেয়ার শর্ত রাখায় বেশ কয়েকজন সাংসদ আপত্তি তোলেন, কয়েকজন নিতেও অস্বীকার করেন।
এর পরে আর সেগুলো বিতরণ করা হয়নি।
সংসদ সচিবালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০১১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে সরকারি টাকায় এ প্রকল্পের বাস্তবায়ন শুরুর পর চলতি বছর জানুয়ারিতে কেনা হয় ৩৫০টি এইচপি ল্যাপটপ। প্রতিটির জন্য ৭০ হাজার করে মোট দাম পড়ে ২ কোটি ৪৫ লাখ টাকা।
ফাইল ছবি
নবম সংসদের মেয়াদ শেষে ফেরত পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা এবং নীতিমালা চূড়ান্ত না হওয়ায় এসব ল্যাপটপ বিতরণ করা হয়নি। সম্প্রতি এসব ল্যাপটপ বিতরণের নীতিমালা চূড়ান্ত করেছে সংসদ সচিবালয়।
আশরাফুল মকবুল বলেন, “সংসদের মেয়াদ শেষে ল্যাপটপ ফেরত দিতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা আছে। সেই নির্দেশনা মানার শর্তে ল্যাপটপগুলো বিতরণ করা হবে।
”
“মাননীয় স্পিকার এরইমধ্যে ল্যাপটপগুলো বিতরণের নির্দেশনা দিয়েছেন। আশা করি এ মাসের মধ্যেই সেগুলো বিতরণ করা হবে। ”
ল্যাপটপ প্রস্তুত ও বিপণনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো সাধারণত এক বছরের ‘ওয়ারেন্টি’ বা বিক্রয়োত্তর সেবা দেয়। যা গত জানুয়ারিতে সেই মেয়াদও পেরিয়ে গেছে।
সংসদ সচিবালয়ের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “অ্যান্টি ভাইরাসগুলো নতুন করে কেনা হবে।
আর ওয়ারেন্টির ব্যাপারে একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কথা হচ্ছে। এগুলো ঠিক হয়ে গেলেই ল্যাপটপ বিতরণ করা হবে। ”
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।